ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণ ৩৪ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে


প্রকাশ: 05/01/2024


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ঋণ প্রথমবারের মতো ৩৪ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। মঙ্গলবার বাইডেনের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট উদ্বেগজনক এ তথ্য প্রকাশ করেছে। 

মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের বিবৃতি অনুসারে, গত শুক্রবার পর্যন্ত দেশটির সর্বমোট সরকারি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৩৪ ট্রিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে দেশের জাতীয় ঋণ ৩৩ ট্রিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। 

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জাতীয় দেনার পরিমাণ লাগাতারভাবে বেড়েছে বলেও মন্তব্য করা হয় ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে। 

বলা হয়েছে, নতুন অর্থ বছরে গাজায় হামলার জন্যে ইসরায়েলকে এবং রাশিয়ার আগ্রাসন থেকে ইউক্রেনকে রক্ষাকল্পে অতিরিক্ত অর্থ সহায়তাসহ বিভিন্ন নতুন খাতে অধিক ব্যয়-বরাদ্দের জন্যে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রস্তাব পর্যালোচনাকালে ঋণের পরিমাণ অকল্পনীয়ভাবে বাড়ছে বলে উল্লেখ করা হয়। নীতিগত পর্যায়ে কার্যকর সিদ্ধান্তের ঘাটতি, ব্যয় বৃদ্ধি ও আয় কমে যাওয়ার কারণে ঋণ বেড়েছে বলে দাবি করেছেন অর্থনীতি বিশ্লেষকরা।

এছাড়া, দেশটির ক্রমবর্ধমান ঋণের ক্ষত কভিড-১৯ মহামারীর অভিঘাতে আরো গভীর হয়েছিল। মহামারীর কারণে ব্যবসাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি শ্লথ হয়ে পড়ে। তাছাড়া কভিডজনিত অর্থনৈতিক ক্ষতি পুনরুদ্ধারে বিপুল পরিমাণ প্রণোদনা বিতরণ করে ওয়াশিংটন। ফলে অর্থনীতির গতি পুনরুদ্ধারে ঋণ গ্রহণের পরিমাণও বাড়তে থাকে দেশটির। 

এসব ব্যয়-বরাদ্দের বাজেট নিয়ে আলোচনার মধ্যেই কংগ্রেস বড়দিন ও নতুন বছরের অবকাশে গেছে। সামনের সপ্তাহে পুনরায় ক্যাপিটল হিলে ফিরলে ব্যয়-বরাদ্দ সম্পর্কিত বাজেট নিয়ে আবারো সকলে মুখরিত হবেন।

জানা গেছে, গত বছর ট্যাক্স রিটার্নের পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে। অপরদিকে করোনার পর যুদ্ধ-বিগ্রহের কারণে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে। সামগ্রিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে এক ধরনের মন্দা বিরাজ করছে যুক্তরাষ্ট্রে। তা পুষিয়ে নিতে ব্যাংকসমূহ সুদের হার বাড়িয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির লাগাম টেনে ধরার চেষ্টায় এখনও সফলতা আসেনি।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের শুরুতে জাতীয় দেনার পরিমাণ ছিল ৩১.৪ ট্রিলিয়ন ডলার। বছরের ব্যবধানে তা ৩৪ ট্রিলিয়ন ডলারে উঠায় অর্থনীতিবিদরাও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কারণ, এই বিপুল ঋণের জন্যে দৈনিক সুদ গুণতে হচ্ছে দুই বিলিয়ন ডলার করে।

এই পরিস্থিতিতে দেশটির কংগ্রেস সদস্যেরা আবারও ঋণ নিয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন।২০২৪ সালে ব্যয়ের জন্য প্রায় এক ডজন বিল কংগ্রেসে অনুমোদন না হলে ওয়াশিংটনের সরকারি সংস্থাগুলো একরকম শাটডাউনের পর্যায়ে চলে যাবে। এ বছর দেশটির প্রেসিডেন্ট ও কংগ্রেস নির্বাচন, এই পরিস্থিতিতে ঐকমত্য হওয়াও কঠিন।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭