ভোটের দিন গণকারফিউ দিলো গণঅধিকার পরিষদ

রাত পোহালেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক এবং একতরফা নির্বাচন বর্জন করার দাবিতে হরতালের সমর্থনে বিক্ষেভ মিছিল করেছে গণঅধিকার পরিষদ। 

শনিবার (৬ জানুয়ারি) সকাল ১১.৩০ টায় গণঅধিকার পরিষদের মিছিলটি বিজয়নগর পানির টাঙ্কি, আলরাজি কমপ্লেক্সের সামনে থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে পল্টন মোড় ঘুরে বিজয়নগর মোড় হয়ে নাইটিংগেল মোড় ঘুরে বিজয়নগর পানিরট্যাংকির মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে দলটির বিভিন্ন নেতারা বক্তৃতা দেন।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেন, ‘আগামীকাল কেও ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। ডামি নির্বাচনে ডামি ভোটার উপস্থিতি দেখানো হবে। সকলে ঘরে অবস্থান করুন। নিজ নিজ জায়গা থেকে গণকারফিউ পালন করুন। এই সরকার আপনাদের ভাত ও ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে নিউজ হচ্ছে, দেশে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার নাই, আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃত্ববাদী হয়ে উঠেছে। সংবিধান থেকে ২০১১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, ‘কেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করলো? কারণ, এই ব্যবস্থার অধীনে কেউ টানা ক্ষমতায় যেতে পারেনি। দেশের জনগণকে বলবো, রাজপথে নামুন, প্রতিবাদ করুন। আর কত চুপ করে সহ্য করবেন? আমরা গণঅধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দ আপনাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করছি। আপনাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে গণঅভ্যুত্থান রচিত হলে এই সরকার ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হবে’। 

সমাবেশে বক্ত্রিতাকালে রাশেদ খাঁন আরও বলেন, আগামীকালের নির্বাচনে কৃত্রিম লাইন সৃষ্টি করা হবে, ৫০-৬০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি দেখানো হবে। ডামি নির্বাচনে ডামি ভোটার থাকবে। বিদেশিদের দেখানো হবে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছে। কিন্তু জনগণ এই নির্বাচন বর্জন ঘোষণা করেছে। 

দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসানের সঞ্চালনায় মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, অ্যাডভোকেট সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, জসিম উদ্দিন আকাশ, ক্রীড়া সম্পাদক ইলিয়াস মিয়া, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারিকুল ইসলাম প্রমুখ।