ইনসাইড পলিটিক্স

বেকায়দায় জাপা এবং ১৪ দলের শরিকরা


প্রকাশ: 06/01/2024


Thumbnail

নির্বাচনের একদিন আগে জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলের শরিক ছয়জন নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দিতা করা প্রার্থী বিপাকে আছেন। তাদের অবস্থান নড়বড়ে। শেষ পর্যন্ত যদি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তাহলে তাদের ভরাডুবির শঙ্কা রয়েছে বলেও বিভিন্ন মহল মনে করছেন। জাতীয় পার্টি এবার নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এছাড়াও আওয়ামী লীগ ২৬ টি আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীদেরকে ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু এই ২৬ টি আসনের মাত্র ছয়টিতে জাতীয় পার্টির অবস্থান ভাল। অন্য আসনগুলোতে তারা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে এবং এই আসনগুলোতে শেষ পর্যন্ত জাতীয় পার্টি জয়ী হতে পারবে কি না এ নিয়েও কারো কারো মধ্যে সন্দেহ এবং সংশয় রয়েছে। 

ইতোমধ্যে জাতীয় পার্টির ১৮ টি আসন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে এসে জাতীয় পার্টির একটা বড় অংশ নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার পাঁয়তারা করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও নির্বাচন আইন অনুযায়ী এই মুহূর্তে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। 

বিভিন্ন সূত্র বলছে যে, শেষ পর্যন্ত যদি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তাহলে জাতীয় পার্টি ১০ টির বেশি আসন পাবে কি না তা নিয়ে কারো কারো মধ্যে সংশয় রয়েছে। তবে জাতীয় পার্টির নেতারা এ ধরনের বক্তব্যকে অস্বীকার করেছেন। তারা বলছেন, জাতীয় পার্টির আওয়ামী লীগের সঙ্গে যে ২৬ টি আসনে সমঝোতা করেছে তার সবগুলোতেই তারা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। এই আসনগুলোতে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা জনপ্রিয় জন্যই আওয়ামী লীগ তাদেরকে ছেড়ে দিয়েছে। এই আসনগুলো নিয়ে তাদের কোন সন্দেহ বা সংশয় নেই। কিন্তু যে ২৬ টি আসন আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিয়েছে, এই আসনগুলোতে সরেজমিনে অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, সেখানে জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের অবস্থা খুব একটা ভাল নয়। কারণ আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা সেখান থেকে সরে গেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সরে যায়নি। তারা জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছে। 

জাতীয় পার্টির চেয়েও বেহাল অবস্থা ১৪ দলের শরিকদের। ১৪ দলের শরিকদেরকে ছয়টি আসন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একমাত্র আনোয়ার হোসেন মঞ্জু-ই সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন। আর বাকি পাঁচজনই তাদের আসনে শেষ পর্যন্ত জয়ী হতে পারবেন কি না এ নিয়ে সংশয়ে রয়েছে। ১৪ দলের শরিকদের মধ্যে সবচেয়ে ব্যাকফুটে এবং এবং বিপজ্জনক অবস্থানে রয়েছেন  রাশেদ খান মেনন। তিনি বরিশালের একটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অবশ্য এই ওয়ার্কার্স পার্টির আরেক নেতা ফজলে হোসেন বাদশা রাজশাহীতে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন।

হাসানুল হক ইনু শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছেন। এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সাথে তার অবস্থান সমানে সমান। কিন্তু অন্য প্রত্যেকটি আসনে ১৪ দলের শরিকরা অনেক পিছনে রয়েছেন। এখন তারা প্রত্যাশা করছেন শেষ পর্যন্ত সরকার তাদেরকে জিতিয়ে আনার ক্ষেত্রে কোনো উপায় উদ্ভাবন করবেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, কোনো অবস্থাতেই কোন প্রার্থীকে জিতিয়ে আনার দায়িত্ব আওয়ামী লীগ বা সরকার নেবে না। এরকম পরিস্থিতিতে নির্বাচনের আগে জাপা এবং ১৪ দলের শরিকরা বেশ বেকায়দায় অবস্থায় রয়েছে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭