ইনসাইড পলিটিক্স

এবার প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার টোপ দিচ্ছে বিএনপি


প্রকাশ: 06/01/2024


Thumbnail

আগামীকাল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না বিএনপি। গতকাল থেকেই বিএনপি নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়েছে। আজ নির্বাচন বর্জনের দাবিতে তারা দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার হরতালের ডাক দিয়েছে। আগামীকাল ভোটের দিনেও বিএনপির ডাকা হরতাল রয়েছে। কিন্তু তারপরও নির্বাচনে জনগণ যেন ভোট দিতে না যায় বা নির্বাচন নিয়ে যেন একটা জটিল এবং অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় সেজন্য চেষ্টা করছে বিএনপি। 

একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, বিভিন্ন প্রার্থীদের কাছে গিয়ে তাদেরকে মোটা অঙ্কের প্রলোভন দেওয়া হচ্ছে। তারা যেন নির্বাচন থেকে বসে যায়। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু হচ্ছে না-এই ধরনের বক্তব্য দিয়ে নির্বাচন থেকে বসে গেলে তাদেরকে মোটা অঙ্কের আর্থিক পুরস্কার দেওয়ার প্রলোভনও দেওয়া হচ্ছে। 

বিভিন্ন সূত্র থেকে খবরে জানা গেছে, এ পর্যন্ত জাতীয় পার্টির ১৮ জন প্রার্থীর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এছাড়াও আরও পাঁচজন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনের শেষ প্রান্তে এসে জানিয়েছেন যে তারা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছেন না। আর এই সব কিছুর পিছনে বিএনপির হাত রয়েছে বলে জানা গেছে। এভাবে যদি প্রার্থীরা নির্বাচন থেকে সরে যায় তাহলে জনগণের মধ্যে একটা নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হতে পারে এবং নির্বাচন সম্পর্কে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও একটা নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হতে পারে। সেই লক্ষ্যে এই ধরনের ঘটনাগুলো ঘটানো হচ্ছে বলে বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে। এ ব্যাপারে বিএনপির বিভিন্ন নেতারা প্রার্থীদের সঙ্গে নানা রকম যোগাযোগ করছে। তবে জাতীয় পার্টির যে ১৮ জন প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন, তাদের কারো অবস্থাই খুব একটা ভালো ছিল না। এই সমস্ত ব্যক্তিরা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন কীসের ভিত্তিতে সেটি নিয়ে অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কারণ নির্বাচন করার মতো যোগ্যতা বা সক্ষমতা কোনোটাই তাদের ছিল না। 

বিভিন্ন সূত্র বলছে, এদেরকে যখন বিএনপি-জামায়াতের পক্ষ থেকে টোপ দেওয়া হয়েছে, তখন তারা সহজেই টোপ গিলে আর্থিক ভাবে কিছুটা লাভবান হওয়ার কারণে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। আগামীকাল ভোটের দিনেও এই প্রবণতা লক্ষ্য করা যেতে পারে। এর ফলে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হচ্ছে না বলে সুশীল সমাজ কথা বলতে পারবে। সার্বিক ভাবে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এবং নির্বাচনকে আন্তর্জাতিক ভাবে বিতর্কিত করাই এই সমস্ত প্রার্থী প্রত্যাহারের প্রধান লক্ষ্য বলে দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে। 

সরকারের পক্ষ থেকে যেমন নির্বাচনে যেন অধিকাংশ রাজনৈতিক দল বা আসে তার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, ঠিক তেমনই ভাবে বিএনপি-জামায়াত এখন চেষ্টা করছে যত সংখ্যক প্রার্থীকে শেষ মুহূর্তে সরিয়ে দেওয়া যায় বিএনপি-জামায়াত এখন সেই চেষ্টা করছে। এই রকম চেষ্টা যদি সফল হয় তাহলে নির্বাচন সম্পর্কে এক ধরনের নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হবে। 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এর ফলে একদিকে যেমন আন্তর্জাতিকভাবে নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু হয়েছে সে নিয়ে প্রশ্ন উঠবে হবে। পাশাপাশি জনগণের মধ্যেও এক ধরনের নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হবে। তারা মনে করবে যে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হচ্ছে না। কাজেই এই ধরনের নির্বাচনে ভোট দিতে যাওয়াটা তেমন কোন প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ সার্বিক নির্বাচনকে একটি পানসে বিবরণ করাই এই প্রক্রিয়ার প্রধান উদ্দেশ্য। তবে বিভিন্ন সূত্র বলছে যে নির্বাচনে যেন এই ধরনের ঘটনা না ঘটে সেজন্য সরকারও এখন সতর্ক রয়েছে। নতুন করে ভোটের দিন প্রার্থীদের সরে যাওয়া রুখতে সরকারও পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭