ইনসাইড থট

সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিএনপিকে নিষিদ্ধ করতে হবে


প্রকাশ: 06/01/2024


Thumbnail

যখন দেশ একটি অবাধ সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে ঠিক তখনই বিএনপি-জামায়াত বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করছে। বিএনপি বাংলাদেশে একটি বৈধ রাজনৈতিক দল। কিন্তু পৃথিবীতে বহু দেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করার জন্য রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ হয়েছে। এখন চলমান নির্বাচনের পরে সরকারের প্রথম কাজ হওয়া উচিত সন্ত্রাসী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা, বিএনপিকে নিষিদ্ধ করা। 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এখন ঘটনা ঘটেছে (ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু) এটা অমানবিক এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন। এটা বোঝার জন্য পণ্ডিত হওয়ার দরকার নেই। সম্প্রতি রাজধানীতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী লাঠি মিছিল করেছেন, যেখানে দেশবাসীকে ভোট দিতে বারণ করা হয়েছে। এছাড়াও বিএনপির আরেক সিনিয়ন নেতা ড. মঈন খানও সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলনে নানান উস্কানিমূলক কথা বলেছেন, যার প্রতিফলন হল বেনাপোল এক্সপ্রেসের হামলা। 

সহিংসতা দূরীকরণে সরকারকে নমনীয় হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সরকার যদি এগুলোর সাথে কম্প্রোমাইজ করে তাহলে নিজেই নিজের কবর রচনা করবে বরং এগুলো আরও কঠোরভাবে দমন করতে হবে। যেভাবে জঙ্গিদের দমন করা হচ্ছে, যে ভাবেই যুদ্ধাপরাধের বিচার হয়েছে একইভাবে এই যে নির্বাচনকেন্দ্রিক যারা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করছে বিভিন্ন মানুষকে পুড়িয়ে মারছে এটা কোন রাজনৈতিক দলের কাজ হতে পারে না। একটা সন্ত্রাস তৈরি করতে পারে এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের নিষিদ্ধ করতে হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

বিএনপি-জামায়াত লন্ডনের ওহি নাজেল এর পরিপ্রক্ষিতে মূলত মত দলের মুখপাত্র হিসেবে দুজন মইন খান যিনি খুব শিক্ষিত লোক এবং মার্জিত লোক হিসাবেই পরিচিত রুহুল কবির রিজভী কঠিন সময়ও বিএনপির কাজ করে চলেছে। তারা সাম্প্রতিক যে সকল কাজকর্ম এবং বক্তব্য দিচ্ছেন তাতে একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমি বুঝতে অক্ষম হই যে, আসলে বর্তমান সরকার তারা কী ধরনের কাজ করছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কোন কিছু তোয়াক্কা না করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন। আমরা কোটি কোটি মানুষ এবং বিশেষ করে যারা মুক্তিযোদ্ধা তাদের মনে খুব শান্তি পেয়েছি যে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হচ্ছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে, জেল হত্যার বিচার হয়েছে; এটাকে যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ইতিহাসে দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নাম থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ক্ষমতায় আসার জন্য রাজনীতি করি না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যেটা বলেন তলে তলে। এই তলে তলে মানে কি এই যে মঈন খান বলবেন, আপনাদের যদি কেউ ভোট দিতে যায় তাদেরকে লিখে রাখবেন এবং প্রয়োজনমতো আমরা দেখব। পরবর্তীতে ট্রেনে আগুন দেওয়া হলো। রিজভী সাহেব তো লাগাতারভাবে বলে যাচ্ছেন এবং একের পর এক বিশ্বে প্রমাণিত হচ্ছে যে, বর্তমান সরকার হচ্ছে একটা দুর্বল সরকার। যে সরকার নির্বাচনের পূর্বে বলছে যে আমরা পুলিশ নামিয়েছি, বিজিবি নামানো হয়েছে। বুঝলাম কেউ এসে একটা বোম ফাটিয়ে যেতে পারে। কিন্তু আমাদের এই যে যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ করে যারা অনেক সেনসিটিভ মোকদ্দমা পর্যন্তই করেছেন। তারা আমার মনে হয় যেন দর্শকের ভূমিকা গ্রহণ করেছেন এবং এই দর্শকের ভূমিকা তারা গ্রহণ করতে পারেন না। নিশ্চয়ই সরকার থেকে সেই ধরনের কোন তারা সবুজ সঙ্কেত পাচ্ছেন না এবং সরকারও বোধ হয় আমি বুঝি না মুখে বলল তারা বিদেশীদের হুমকিতে কী তারাও কি বিএনপি যেমন এক সময় রাজনীতি বাদ দিয়ে গর্তে ঢুকত তারা ওকে বিষ রানের নিচে গেছেন কি না বিশেষ করে শীত পড়ছে লেপের নিচে কি না এটা আমার গভীর সন্দেহ হচ্ছে৷ কারণ না হলে আমি আজ থেকে ছয় মাস আগে লিখেছিলাম যে, বিএনপি-জামায়াত হচ্ছে সন্ত্রাসী দল এবং সন্ত্রাসী দলকে অবিলম্বে এ দেশে এই রাজনৈতিক দল হিসাবে তাদের যে অধিকার, রাজনৈতিক দল হিসাবে তাদের যে রেজিস্ট্রেশন সব বাতিল করা হোক। কারণ কোনো দেশে সন্ত্রাসী সংগঠনকে রাজনৈতিক দলের মর্যাদা দেওয়া হয় না। সন্ত্রাসী সংগঠন আর রাজনৈতিক দল কখনই একই বিষয় না। 

দেখা গেছে যে, যদি উদাহরণটা অনেকের কাছে পছন্দ হবে না। যখন এক লাদেনকে তারা সন্ত্রাসী হিসাবে টার্গেট করে দেখা গেল যে উনি যেখানে থাকত সেই দেশকেও সন্ত্রাস দেশ হিসেবে তারা পিনপয়েন্ট করল এবং সেই দেশটাকে ধ্বংস করে দিল।  তারপরে থাকতে পারেননি সেটা আলাদা ইতিহাস। আমাদের দেশে যখন নির্বাচন আগামীকাল হবে, সেই নির্বাচনের আগে একের পর এক এই সব ঘটনা ঘটছে এবং যারা ঘটাচ্ছে তাদেরকে সন্ত্রাসী হিসাবে আইন রক্ষাকারী বাহিনী কিছুই করতে পারছে না। আমার কাছে এটাও ষড়যন্ত্র মনে হচ্ছে। যখন সরকার বার বার বলে যে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, এখন ষড়যন্ত্রের অংশ কারা? এটি তো আমরা সাধারণ মানুষের বুঝছি না। এই কি শুধু মঈন খান আর আমাদের রুহুল কবির রিজভী সন্ত্রাসী হিসাবে তারাই কি দেশদ্রোহী? তারাই কি দেশের বিরুদ্ধে কাজ করছে? নাকি আমাদের সরকারও থেকে যারা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তারা এমন কাজ করছে, যার ফলে এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।

আমি একটি নির্বাচনী এলাকায় দেখাশোনা করছি। আমি বয়স কম হিসাবে আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কাল রাতে আমার কর্মীরা বলে যে, স্যার এইভাবে যদি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলে নির্বাচনের দিন তো ভোটার এমনি আসতে চাইবে না। এটা তো খুবই স্বাভাবিক কথা। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, এ জাতীয় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে কি করণে, সরকারের কি দুর্বলতা আছে, এটি বুঝতে আমি অপারগ। আমার মনে হয় অবিলম্বে, দরকার হলে প্রেসিডেন্সিয়াল অর্ডার দিয়ে এই জামায়াত-বিএনপিকে সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যা বিশ্বে জানিয়ে দেওয়া হোক। কে গ্রহণ করলো, কে করলো না, তাতে কিচ্ছু যায় আসে না। এরপর সন্ত্রাসী সংগঠন যেভাবে দমন করা হয় সেভাবে দমন এখনই শুরু করা দরকার। যাতে দেশ বাঁচবে গণতন্ত্র বাঁচবে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭