এডিটর’স মাইন্ড

নতুন সরকারের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ


প্রকাশ: 08/01/2024


Thumbnail

অবশেষে সব বাধা পেরিয়ে ৭ জানুয়ারির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। এ নির্বাচন নিয়ে নানা অনিশ্চয়তা ছিল। ছিল নানা ষড়যন্ত্র। বিএনপিসহ বেশ কিছু বিরোধী দল নির্বাচন বর্জন করেছিল। ভোটের আগে ট্রেনে আগুন দিয়ে অমানবিকতার এক ন্যক্কারজনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হয়েছিল। জঘন্য সন্ত্রাস, নাশকতা করে ভয়ের সৃষ্টি করা হয়েছিল। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রাখার পক্ষে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করে। গণতন্ত্র বনাম অনির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার প্রকাশ্য এক লড়াই দৃশ্যমান ছিল বাংলাদেশে। বিশেষ করে গত বছর ২৮ অক্টোবর থেকে এ যুদ্ধ প্রকাশ্য রূপ লাভ করে। ৭ জানুয়ারির নির্বাচন অনুষ্ঠান তাই গণতন্ত্রের জন্য বিজয়।

যে কোনো দেশে ভঙ্গুর, ত্রুটিপূর্ণ ও দুর্বল গণতন্ত্র অনির্বাচিত কিংবা অসাংবিধানিক সরকারের চেয়ে ভালো। সবচেয়ে খারাপ গণতন্ত্র একটি অনির্বাচিত সরকারের চেয়ে কাঙ্ক্ষিত। নির্বাচন অনুষ্ঠান তাই একটি বিজয়। তবে এ নির্বাচন চূড়ান্ত বিজয় নয়। সামনে বাকি আছে লড়াইয়ের অসম্পূর্ণ অধ্যায়। সংবিধান অনুযায়ী, এখন যারা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন, তাদের নির্বাচিত ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করা হবে। রাষ্ট্রপতির কাছে, যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে বলে প্রতীয়মান হবে, সেই দলের নেতাকে রাষ্ট্রপতি সরকার গঠনে আহ্বান জানাবেন। স্বল্প সময়ের মধ্যে দেশে একটি নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করবে। কিন্তু নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করলেই রাজনৈতিক মতপার্থক্য, বিভক্তি দূর হবে না।

অতীতে দেখা গেছে, নির্বাচনের আগে বিভক্ত রাজনীতির উত্তাপ ভোটের পর স্তিমিত হয়ে যায়। নতুন সরকারকে শেষ পর্যন্ত মেনে নেয় বিরোধীপক্ষ। নবগঠিত সরকার কিছুদিন চাপমুক্ত স্বস্তির সময় পার করে। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নাটকীয়ভাবে পরাজিত হয়েছিল। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সূক্ষ্ম কারচুপির অভিযোগ এনেছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের সেই অভিযোগ হালে পানি পায়নি। বিএনপি প্রায় তিন বছর স্বস্তির সময় কাটায়। একই অবস্থা দেখা গিয়েছিল ’৯৬-এর নির্বাচনের পরও। ওই নির্বাচনে দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে। এবার নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনেছিল বিএনপি। কিন্তু জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বিএনপির অভিযোগ স্বীকৃতি পায়নি। বরং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে নতুন সরকারে আস্থা রাখে দেশের জনগণ এবং বহির্বিশ্ব। ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনেও একইরকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। এমনকি ২০০১-এর অক্টোবরে নির্বাচনের পর বিএনপি-জামায়াতের দেশব্যাপী তাণ্ডব, সহিংসতাও জনগণ মুখ বুঝে সহ্য করেছে।

নতুন সরকারকে সময় দেওয়ার এক সংস্কৃতি বাংলাদেশের বিভক্ত রাজনীতিতে এক উজ্জ্বল ব্যতিক্রমী চর্চা। ২০১৪ সালে বিএনপি ভোট বর্জন করেছিল। সারা দেশে শুরু করেছিল অগ্নিসন্ত্রাস, নাশকতা। ওই নির্বাচনে ১৫৩টি আসনে বিনা ভোটে সংসদ সদস্যরা নির্বাচিত হন। তারপরও বাংলাদেশের জনগণ ওই নির্বাচন মন্দের ভালো হিসেবে মেনে নেয়। নতুন সরকারকে সময় দেয় নাগরিকরা। বিএনপিও তাদের আন্দোলনের কর্মসূচি কিছুদিনের জন্য স্থগিত রাখে। ২০১৪ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকার পূর্ণ মেয়াদে দেশ পরিচালনা করে। ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়েও অনেক প্রশ্ন ও বিতর্ক হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দল ওই নির্বাচন মেনে নেয়। দেরিতে হলেও বিএনপির নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেন এবং সংসদে যোগ দেন। নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পর তা যতই ত্রুটিপূর্ণ হোক না কেন, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায় সহজেই। নতুন সরকার কী করে, তা দেখার অপেক্ষায় থাকে দেশের মানুষ এবং বিশ্বের উন্নয়ন সহযোগীরা। কিন্তু অতীতের নতুন সরকারের মতো ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকার স্বস্তির সময় পাবে কি না, তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই হয়তো নতুন সরকার গঠিত হবে। দায়িত্ব নিয়েই এ সরকারকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। নতুন সরকারের জন্য কোনো ফুলের বিছানা অপেক্ষা করছে না। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যে সরকার গঠিত হতে যাচ্ছে, সে সরকারকে শুরুতেই এক কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। একাধিক প্রতিকূল অবস্থা মোকাবিলা করতে হবে। নতুন সরকারের প্রথম চ্যালেঞ্জ হবে গ্রহণযোগ্যতার স্বীকৃতি। আন্তর্জাতিক মহল সদ্য সমাপ্ত নির্বাচন কীভাবে মূল্যায়ন করে তার ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছু। ধারণা করা যায়, নির্বাচনের পরপরই ভারত, চীন ও রাশিয়া বিজয়ী দলকে অভিনন্দন জানাবে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর স্বীকৃতি পেতেও সময় লাগবে না। ফ্রান্স, যুক্তরাজ্যও স্বল্পতম সময়ে বিজয়ী দলকে অভিনন্দন জানাবে বলেই ধরে নেওয়া যায়। জাপান বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার। জাপানও নির্বাচনে জয়ী দলকে অভিনন্দন জানাতে খুব একটা বিলম্ব করবে না বলেই আমার ধারণা। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্র কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ৭ জানুয়ারির নির্বাচন কীভাবে মূল্যায়ন করে সেটি দেখার বিষয়।

নতুন সরকারের প্রথম চ্যালেঞ্জ হলো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও সমর্থন আদায়। এজন্য আন্তর্জাতিক কূটনীতি জোরদার করা হবে নতুন সরকারের প্রথম দায়িত্ব। দুই বছর ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। নির্বাচন নিয়ে মার্কিন ভূমিকা ছিল প্রকাশ্য ও আগ্রাসী। কিন্তু গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে এক অদ্ভুত নীরবতা অবলম্বন করছে। এ নীরবতার কারণ নিয়ে বিতর্ক আছে। নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্র কী প্রতিক্রিয়া দেখায়, তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের পর কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেয় কি না, তা নিয়েও নানারকম আলোচনা আছে। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের মধ্যেও এ নিয়ে শঙ্কার কথা শোনা যায়। এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা যদি আসে সে ক্ষেত্রে নতুন সরকারকে তা মোকাবিলার কৌশল বের করতে হবে দ্রুত। পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে সাহসের সঙ্গে। নিষেধাজ্ঞা না এলেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিতে হবে নতুন সরকারকে।

টানা চতুর্থবারের মতো আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। এমন এক সময় যখন অর্থনৈতিক সংকট ঘনীভূত। মুদ্রাস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের নিম্নমুখী প্রবণতা, ঋণখেলাপিদের দৌরাত্ম্য, অর্থ পাচার দেশের অর্থনীতিকে একটা সংকটময় পরিস্থিতির মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। এরকম পরিস্থিতি থেকে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার নতুন সরকারের জন্য এক কঠিন চ্যালেঞ্জ। নতুন সরকারকে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মানুষের জন্য দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতেই হবে।

সমাজে দুর্নীতি এখন এক ভয়ংকর ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। বিগত পাঁচ বছর দুর্নীতিবাজদের বেপরোয়া তৎপরতা মানুষের অজানা নয়। কারা দুর্নীতিবাজ, কারা দুর্নীতিবাজদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় সে তথ্য সবারই জানা। আশার কথা, এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য-সহিষ্ণুতা নীতি ঘোষণা করেছে। দুর্নীতি দমন করতেই হবে। নতুন সরকারকে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হতেই হবে। সরকারের আশপাশে যেন চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের না দেখা যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরলেই অর্থনীতি সুস্থ হবে। নতুন সরকারের জন্য দুর্নীতি দমন হবে এক গুরুত্বপূর্ণ কাজ। যত দ্রুত দুর্নীতি প্রতিরোধে নতুন সরকার কার্যকর ব্যবস্থা নেবে, ততই এ সরকার জনগণের আস্থা ও সমর্থন আদায় করতে পারবে, জনপ্রিয় হবে।

নতুন সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হলো আমলাতন্ত্রের প্রভাবমুক্ত থাকা। গত পাঁচ বছর আমলাতন্ত্র সরকারের নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠেছিল। আমলারাই হয়ে উঠেছিল দণ্ডমুণ্ডের কর্তা। রাজনীতিবিদরা অপাঙক্তেয়, গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছিলেন। আমলাতন্ত্রের হাত থেকে সরকারকে মুক্ত করা হবে নতুন সরকারের কঠিন চ্যালেঞ্জ। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সবচেয়ে বড় অস্বস্তি ছিল মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিসভার কিছু কিছু সদস্যের ব্যর্থতা, অযোগ্যতা জনবিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। রাজনীতি-বিবর্জিত কিছু ব্যক্তি মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে সরকারকেই বিব্রত করেছিলেন। কিছু কিছু মন্ত্রীর নির্লিপ্ততা, উদাসীনতা সরকারকে অস্বস্তির মধ্যে ফেলেছিল পুরো পাঁচ বছর। আমি বিশ্বাস করি, আওয়ামী লীগে প্রচুর যোগ্য ব্যক্তি আছেন। ত্যাগী, পরীক্ষিত রাজনীতিবিদ ও জনবান্ধব ব্যক্তিত্ব আছেন। এবারের সরকারকে আমি দুর্যোগকালীন সরকার মনে করি। এ সরকারে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় মাঠের নেতাদের প্রাধান্য দিতে হবে। এমন একটা মন্ত্রিসভা গঠন করতে হবে, যা দেখে জনগণ আশ্বস্ত হয়। জনগণ খুশি হয়। জনপ্রিয় এবং দক্ষতার সমন্বয়ে মন্ত্রিসভা গঠিত হলে জনগণ এ সরকারের ওপর আস্থা রাখবে। সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবে দ্রুত।

বিএনপির নেতৃত্বে কিছু বিরোধী দল নির্বাচন বর্জন করেছে। নির্বাচনের পর তাদের আন্দোলনের সমাপ্তি হবে এমনটি ভাবার কোনো কারণ নেই। বরং বিএনপি দীর্ঘমেয়াদি আন্দোলনের প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে আছে। নতুন সরকারকে রাজনৈতিক সমঝোতা এবং বিরোধী দলের সহিংস রাজনীতি দমনে কার্যকর পথ খুঁজে বের করতে হবে। দেশে একটি রাজনৈতিক ঐকমত্য এবং সমঝোতার আবহ সৃষ্টি করা হবে নতুন সরকারের অগ্রাধিকার।

এই নির্বাচনের মাধ্যমে জ্বালাও-পোড়াও, সন্ত্রাস এবং সহিংসতার রাজনীতির নৈতিক পরাজয় ঘটেছে। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে বিভক্তি তার অবসান হয়নি। বরং এ বিভক্তি আরও প্রবল হয়েছে। রাজনৈতিক এ বিভক্তির রেখা উপড়ে একটি ঐকমত্যের ধারায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে নতুন সরকারকে।

এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের স্বাগত জানিয়েছে। নিষ্প্রাণ নির্বাচন উৎসবমুখর করতেই আওয়ামী লীগ এ ঝুঁকি নিয়েছিল। এর ফলে সারা দেশে আওয়ামী লীগের বিভক্তি ও কোন্দল ছড়িয়ে পড়েছে। নির্বাচনের পর এই কোন্দল সহসা বন্ধ হবে এমনটি ভাবার কোনো কারণ নেই। এ কোন্দল বন্ধ করতে হবে। সংগঠন দুর্বল হলে সরকারও দুর্বল হয়। সংগঠন হিসেবে টিকে থাকতে হলে এবং সরকারকে গতিশীল রাখতে দলকে ঐক্যবদ্ধ করার কোনো বিকল্প নেই। এ কাজটি যত দ্রুত করা যায় ততই আওয়ামী লীগের জন্য মঙ্গলের। সরকার গঠনের সঙ্গে সঙ্গে সংগঠন পুনর্গঠনে নজর দিতে হবে আওয়ামী লীগকে।

নানা প্রতিকূলতা ও অনিশ্চয়তার পাহাড় পেরিয়ে ৭ জানুয়ারির নির্বাচন হলো। এ নির্বাচন অনুষ্ঠান শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতার আরেকটি প্রমাণ। শেখ হাসিনা এ নির্বাচনের মাধ্যমে অমরত্ন লাভ করলেন। শেখ হাসিনার অর্জন অসাধারণ ও অভাবনীয়। তার আর কিছু পাওয়ার নেই। ২০ বছর তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। এবার আবারও প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন বিশ্বনেতা শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন তিনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী। শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। এবার বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তার কোনো পিছুটান থাকবে না বলেই আমি বিশ্বাস করি। নির্মোহভাবে দেশ চালাবেন শেখ হাসিনা, এটাই জনগণ প্রত্যাশা করে। চাটুকার, সুবিধাবাদী, বিতর্কিতদের তিনি ক্ষমতা কেন্দ্রের চারপাশ থেকে বিতাড়িত করবেন, এটাই জনগণের প্রত্যাশা। বাংলাদেশকে তিনি উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন। এবারের সরকার সুশাসনের রোল মডেল হবে, এটাই সবার চাওয়া। একমাত্র শেখ হাসিনাই এটি পারবেন। নতুন সরকার সুশাসনে নতুন যুগের সূচনা করবে, এটাই আমাদের আকাঙ্ক্ষা।

পৃথিবীর রাজনৈতিক ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখ যায়, দুর্বল সরকারগুলো বেশিরভাগ সময়ে জনবান্ধব হয়। জনপ্রিয় কর্মসূচি গ্রহণ করে। জনআস্থা অর্জনের জন্য তারা সবসময় সচেষ্ট থাকে। খণ্ডিত নির্বাচনের মাধ্যমে ২০১৪ সালের আওয়ামী লীগ সরকার দেশ পরিচালনায় অভূতপূর্ণ সাফল্য অর্জন করেছিল। ’৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ছিল দুর্বল। আওয়ামী লীগকে নিয়ে নানা সংশয় ও অপপ্রচার ছিল। কিন্তু ’৯৬-এ আওয়ামী লীগের সাফল্য অসাধারণ। এবারও স্রোতের বিপরীতে এক প্রতিকূল রাজনৈতিক বাস্তবতায় সরকার গঠন করছে আওয়ামী লীগ। শেখ হাসিনার পক্ষেই সম্ভব এ বিরূপ এবং চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে একটি ভালো সরকার গঠন করা। মনে রাখতে হবে, একটি ভালো সরকারই সব কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারে।

লেখক: নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত





প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭