প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে জ্বালাও-পোড়াও, মানুষ হত্যাসহ যাবতীয় সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াত প্রমাণ করেছে যে তারা জনবিচ্ছিন্ন।
রোববার (৭ জানুয়ারি) ভোটের দিন সন্ধ্যা ৭টা ১৩ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্মে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে এই বার্তা দেন তিনি।
বার্তায় সজীব ওয়াজেদ বলেন, নির্বাচন বানচাল করতে তিন মাস ধরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে বিএনপি-জামায়াত। এই তিন মাসের নাশকতায় অন্তত নয়জন নিরীহ নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। একশর বেশি যানবাহন পুড়েছে এবং রাষ্ট্রের শতকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি বলেন, বাস পোড়ানো, পুলিশ হত্যা, রেললাইন তুলে ফেলা, সড়ক অবরোধ কীভাবে গণতান্ত্রিক আন্দোলন হতে পারে! কতটা জনবিচ্ছিন্ন হলে নির্বাচন বয়কট করতে পারে এবং বিদেশি শক্তির কাছে ধরনা দিয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হতে পারে তারা!
প্রধানমন্ত্রীর এ তথ্য উপদেষ্টা বলেন, এবারের নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণই প্রমাণ করে, বিএনপি-জামায়াতকে বর্জন করেছে তারা।
আরেকটি পোস্টে ভোটের দিন চট্টগ্রামে ককটেল বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির ঘটনার একটি ভিডিও আপলোড করে সজীব ওয়াজেদ জয় মন্তব্য করেন, গণতন্ত্রকে রুখে দিতেই বিএনপি-জামায়াত অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে ভোটের দিনও। কিন্তু গণতন্ত্রকে রুখে দেয়ার সেই অপচেষ্টা নস্যাৎ করে দিয়েছেন তরুণ ভোটাররা, বলেন তিনি।
পোস্টে এক নারী ভোটারের ভিডিও আপলোড করে তিনি লেখেন, ‘আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী এবং সহিংসতামুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ চেয়ে ভোট দিয়েছি–দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে তরুণ ভোটাররা, সারাদেশে উৎসবের মেজাজ।’
সজীব ওয়াজেদ জয় লেখেন, ‘ভোটারদের ভোট দেয়া থেকে বিরত রাখতে বিএনপি-জামায়াত কয়েক মাস ধরে যে সহিংসতা চালিয়েছে, তা উপেক্ষা করেছে দেশের জণগণ। ভোটে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখা গেছে নতুন ভোটারদের। এছাড়া কষ্ট করে ভোটকেন্দ্রে এসেছেন বয়স্করাও। বিশেষ করে ভোটাধিকার প্রয়োগে নারীদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা এবং একটি সমৃদ্ধ দেশ গঠন উভয়ের জন্যই ভোটাধিকার প্রয়োগ করাকে অপরিহার্য বলে মনে করেন তারা।’
বেশ কিছু বিদেশি পর্যবেক্ষক এরইমধ্যে দেখতে পেয়েছেন যে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটের দিন উৎসবের আমেজে মজেছিল সারাদেশ।
পোস্টে শেয়ার করা ভিডিওতে মধ্যবয়সী এক নারী ভোটারকে উচ্ছ্বসিতভাবে বলতে দেখা গেছে, ‘গণতন্ত্রকে লাইনচ্যুত করার জন্য এবং আমাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে বাধা দেয়ার জন্য বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আমি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে আমার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছি।’