ইনসাইড পলিটিক্স

নতুন মন্ত্রিসভা: দল আর সরকার কী আলাদা হবে আবারও?


প্রকাশ: 09/01/2024


Thumbnail

আগামী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭ টায় নতুন মন্ত্রিসভার শপথ নেবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা চতুর্থবারের মতো আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। ’৭৫ পরবর্তী সময়ে এটি পঞ্চম বারের মতো শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মন্ত্রিসভা হতে যাচ্ছে। এই মন্ত্রিসভায় কারা থাকবে, না থাকবে এ নিয়ে জল্পনা কল্পনা চলছে বিভিন্ন মহলে। তবে ২০০৯ সাল থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভা গঠনের ক্ষেত্রে চমক দেখিয়ে আসছেন। 

তিনি ২০০৯ সাল থেকে মন্ত্রিসভায় দল এবং সরকার আলাদা করার নীতি গ্রহণ করে আসছিলেন। আর এই ধারায় গতবার অর্থাৎ ২০১৮ মন্ত্রিসভায় তিনি দলের কেন্দ্রীয় নেতা এ রকম মাত্র চার জনকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। এদের মধ্যে ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এবং ডা. দীপু মনি। এবার মন্ত্রিসভার ধরন কী রকম হবে? মন্ত্রিসভা এবং দল কী আলাদা হবে—এটি নিয়ে এখন বিভিন্ন রকম আলাপ আলোচনা চলছে। 

বিভিন্ন সূত্র বলছে যে মন্ত্রিসভা কী রকম হবে, কারা মন্ত্রিসভায় থাকবেন এটি চূড়ান্ত করেছেন শেখ হাসিনা একাই। এ ব্যাপারে তিনি তার ছোটবোন শেখ রেহানার পরামর্শ নিচ্ছেন। অন্য কেউই মন্ত্রিসভা গঠনের ব্যাপারে তেমন কিছু জানেন না। তবে এবারের মন্ত্রিসভায় রাজনৈতিক মুখ বেশি থাকবে নাকি আওয়ামী লীগ তার পুরনো নীতিতে থাকবে অর্থাৎ সরকার এবং দল আলাদা থাকবে সেই প্রশ্নটি দেখা দিয়েছে। 

বিভিন্ন সূত্র থেকে যে সমস্ত তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে যে, আওয়ামী লীগ হয়তো দল এবং সরকারকে আলাদা করার নীতি থেকে সরে আসবে। মন্ত্রিসভায় একটি রাজনৈতিক অবয়ব দেওয়া হতে পারে এবং সেটি যদি হয় তাহলে আওয়ামী লীগের অনেক গুরুত্বপূর্ণ হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের মধ্যে জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের মতো প্রেসিডিয়ামের সদস্যরা মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। এছাড়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত থাকবেন এটা মোটামুটি নিশ্চিত।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এবং ডা. দীপু মনির মন্ত্রিসভায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মোহাম্মদ আলী আরাফাত এবং ড. সেলিম মাহমুদ মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারেন এমন আলোচনা হচ্ছে। এটি যদি শেষ পর্যন্ত সত্যি হয় তাহলে দল এবং সরকারের আলাদা করার অবস্থান থেকে আওয়ামী লীগ সরে আসবে। 

তবে কোনো কোনো আওয়ামী লীগের নেতা মনে করছেন যে, শেখ হাসিনার সরকার এবং দলকে আলাদা করার যে কৌশল সেই কৌশল অব্যাহত থাকতে পারেন। সেটা যদি রাখেন তাহলে হেভওয়েট নেতারা হয়তো শেষ পর্যন্ত মন্ত্রী নাও হতে পারেন। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এবার মন্ত্রিসভা গঠন করা হচ্ছে ভিন্ন এক প্রেক্ষাপটে। ইতোমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য এই নির্বাচন সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। বিএনপি এই নির্বাচন বর্জন করেছিল। এখন নতুন সরকারকেও তারা স্বীকৃতি দিতে রাজি নয়। এরকম বাস্তবতায় রাজপথের আন্দোলন এবং বৈশ্বিক বাস্তবতা বিবেচনা করে নতুন মন্ত্রিসভায় রাজনৈতিক নেতাদের রাখার সম্ভাবনা ব্যাপক। সেক্ষেত্রে সরকারের একটি রাজনৈতিক চরিত্র থাকতে পারে। আগামী বৃহস্পতিবারই বুঝা যাবে মন্ত্রিসভায় কারা  থাকছেন তারা থাকছেন না।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭