ইনসাইড পলিটিক্স

নতুন মন্ত্রিসভা: কর্মীরা চায় জনপ্রিয় নেতাদের


প্রকাশ: 09/01/2024


Thumbnail

আগামী বৃহস্পতিবার নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হতে যাচ্ছে। নতুন মন্ত্রিসভায় কারা থাকবেন তা একান্তই প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ারাধীন বিষয়। সংবিধান এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা দিয়েছে। ১১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা চতুর্থবারের মতো এবং মোট পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন। তিনি কীভাবে তার মন্ত্রিসভা সাজাবেন এটি এখন দেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। এ নিয়ে নানারকম মতামত পাওয়া যাচ্ছে। বিগত তিন বারের মন্ত্রিসভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রকম চমক দেখিয়েছেন। এবার মন্ত্রিসভায় কী চমক থাকবে নাকি মন্ত্রিসভায় পরিচিত মুখদের সমারোহ হবে এমন আলোচনা এখন আওয়ামী লীগের সর্বত্র।

তবে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে দেখা গেছে, তারা চান জনপ্রিয় নেতাদের। যে সমস্ত নেতারা মাঠের রাজনীতি করেছে, মাঠের কর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছে তাদেরকেই মন্ত্রিসভায় দেখতে চান আওয়ামী লীগের কর্মীরা। তারা মনে করেন যে কর্মীবান্ধব নেতারা মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হলে কর্মীরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন এবং সরকার সরকারও জনপ্রিয় হবে দ্রুত। কারণ তারা জনগণের সমস্যা এবং বিষয়গুলো সহজেই জানবেন। 

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে দেখা গেছে যে, মন্ত্রিসভায় তারা আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় নেতাদের দেখতে চায়। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমানকে মন্ত্রিসভায় দেখার ব্যাপারে উদগ্রীব আগ্রহে অপেক্ষা করছে আওয়ামী লীগের সাধারণ কর্মীরা। এছাড়াও তারা আওয়ামী লীগের আরেক জনপ্রিয় নেতা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিমকে মন্ত্রিসভায় দেখতে চায়। বাহাউদ্দিন নাছিম মন্ত্রিসভায় থাকবেন এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অনেক কর্মীরা। এছাড়াও আওয়ামী লীগের আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ গত কয়েক বছরে কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করছেন। এবার নির্বাচনে তিনি কুষ্টিয়ার সবগুলো আসনের ফলাফলে ভূমিকা রেখেছেন। মাহবুবউল আলম হানিফকেও মন্ত্রিসভায় দেখতে চান আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। 

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় মির্জা আজম, তিনি সাত বারের এমপি। এই সাতবারের থাকা অবস্থায় তিনি মাত্র পাঁচ বছরের জন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তাকে এবার নতুন মন্ত্রিসভায় দেখতে চান বিপুল সংখ্যক কর্মীরা। এছাড়াও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন এবার প্রথমবারের মতো এমপি হয়েছেন। তাকেও মন্ত্রিসভায় দেখার অপেক্ষায় আছেন কর্মীরা। তাদের প্রত্যাশা যে এই সমস্ত জনপ্রিয় নেতারা মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হলে মন্ত্রিসভা কার্যকর হবে এবং জনগণ সন্তুষ্ট হবে। এরা জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে তার কর্মকান্ড গুলো পরিচালনা করবে এবং এতে সরকারের সুনাম বৃদ্ধি পাবে। 

বিগত মন্ত্রীসভার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা মনে করছেন যে, মাঠের নেতারা মন্ত্রী না হলে তারা জনবিচ্ছিন্ন থাকেন এবং যেকোনো সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে তারা ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারেন না। এছাড়া কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ না থাকার ফলে দল এবং সরকারের মধ্যে একধরনের দূরত্ব তৈরি হয়। এ রকম বাস্তবতায় নতুন মন্ত্রিসভায় যেন মাঠের নেতাদের প্রাধান্য থাকে এমন প্রত্যাশা দলের সাধারণ কর্মীদের। এখন দেখার বিষয় আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কীভাবে তার মন্ত্রিসভা সাজান।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭