ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সাগর পথে স্পেনে পৌঁছানোর চেষ্টায় ৬৬১৮ অভিবাসীর মৃত্যু


প্রকাশ: 10/01/2024


Thumbnail

গেল বছর ২০২৩ সালে সাগর পথে স্পেনে পৌঁছানোর চেষ্টার সময় ৬ হাজার ৬১৮ জন মারা গেছেন। অভিবাসীদের অধিকার রক্ষায় কাজ করা স্প্যানিশ সংস্থা ওয়াকিং বর্ডারস পরিসংখ্যানটি প্রকাশ করেছে। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

কামিনান্দো ফ্রন্টেরাস (ওয়াকিং বর্ডারস) বলছে, আলজেরিয়া, ক্যামেরুন, কমোরোস, কঙ্গো, মালি, মরক্কো, সুদান, শ্রীলঙ্কা, ফিলিস্তিন, বাংলাদেশ, সিরিয়া এবং ইয়েমেনের নাগরিকরা মারা গেছেন। ২০২৩ সালে স্পেনে পৌঁছানোর চেষ্টায় মোট ১৭টি দেশের নাগরিক মারা গেছেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই আফ্রিকা মহাদেশের দেশগুলোর নাগরিক।

স্পেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, গত বছর সাগর পাড়ি দিয়ে ৩৯ হাজার ৯১০ জন স্প্যানিশ ভূখণ্ডে পৌঁছেছে। যা আগের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের তুলনায় ১৫৪ শতাংশ বেশি।

চারটি রুট ব্যবহার করে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা স্পেনে প্রবেশ করা চেষ্টা করেন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এগুলো হলো— ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জ রুট, আলবোরান সাগর রুট, আলজেরিয়ান রুট এবং জিব্রাল্টার প্রণালি রুট। ওই প্রতিবেদন অনুসারে, প্রাণ হারানো অভিবাসীদের মধ্যে বেশিরভাগেরই মৃত্যু হয়েছে ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জ থেকে উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকাকে বিচ্ছিন্নকারী বিশাল সমুদ্র পাড়ি দেয়ার সময়। এ পথে মোট ৬ হাজার ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের এই রুটের বাইরে পরবর্তী সবচেয়ে মারাত্মক রুট হচ্ছে ভূমধ্যসাগরের মধ্য দিয়ে আলজেরিয়ান রুট। সেখানে গত বছর ৪৩৪ জন মারা গেছেন। এছাড়া জিব্রাল্টার প্রণালী এবং আলবোরান সাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করে গত বছর প্রায় ২০০ জন মারা গেছেন।

আর সেনেগাল থেকে ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে কাঠের নৌকা ভাড়া করে অভিবাসীদের আসার সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে ২০২৩ সালে এই রুটে আনুমানিক ৩ হাজার ১৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সংস্থাটির হিসেব অনুযায়ী, মোট ৮৪টি নৌকা স্পেনে পৌঁছানোর চেষ্টায় সকল আরোহীকে নিয়েই সমুদ্রে অদৃশ্য হয়ে গেছে।

ওয়াকিং বর্ডারসের প্রধান হেলেনা ম্যালেনো বলেন, ‘জীবন বাঁচানোর প্রচেষ্টার সক্ষমতা আছে। আমরা যদি ক্রুজ জাহাজ, মাছ ধরার জাহাজ বা ইউরোপীয়দের বহনকারী জাহাজগুলোর মতো অন্যান্য জাহাজকে ট্র্যাক করার জন্য একই ব্যবস্থা ব্যবহার করি তবে এই প্রাণহানি অনেকাংশে হ্রাস পাবে।’

সংস্থাটি বলছে, অনেক প্রাণহানির ঘটনায় অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চালানো হয়নি বা এত দীর্ঘ সময় বিলম্ব করা হয়েছিল যে বহু অভিবাসীর জীবন হুমকির মুখে পড়ে যায়।

প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করার সময় সেনেগালিজ কর্মী পেপ সার বলেন, ‘সমুদ্রে মারা যাওয়া তরুণদের সেনেগাল সরকার বিরোধী বলে মনে করে, আর তাই তাদের মৃত্যুকে গোপন করার চেষ্টা করা হয়ে থাকে। এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই ঝুঁকিপূর্ণ যুবকদের রক্ষা করছে না যারা রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও প্রতিশোধের ভয়ের কারণে দেশ ছেড়ে চলে যায়।’



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭