ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মালয়েশিয়ায় নিয়ে আসা ২১ বাংলাদেশীর কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা


প্রকাশ: 11/01/2024


Thumbnail

মালয়েশিয়ায় কলিংভিসায় গিয়ে কাজ ও খাবার পায়নি ২১ বাংলাদেশি। ওই ২১ বাংলাদেশীর কোম্পানির বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিচ্ছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। ২১ বাংলাদেশি নিয়োগকর্তার বিরুদ্ধে মানবপাচার বিরোধী এবং অভিবাসী আইন (এটিআইপিএসওএম) ২০০৭ (অ্যাক্ট ৬৭০) অনুযায়ী তদন্ত চলছে।

এ ছাড়া এরই মধ্যে যেসব নিয়োগকর্তা শ্রমিকদের এনে কাজ দিতে পারছে না, তদন্তে অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের লাইসেন্স বাতিলসহ দেশটির প্রচলিত আইনে সর্বোচ্চ ৩০ বছর অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। মালয়েশিয়ায় নিয়োগকর্তার শোষণের শিকার ওই ২১ বাংলাদেশি জন্য এ পদক্ষেপ ইয়েওছে দেশটির সরকার।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের (জেআইএম) মহাপরিচালক রুসলিন জুসোহ এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

পরিচালক বলেছেন, তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে নিয়োগকর্তার ৩০ বছর বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে এবং মানবপাচারের আরও গুরুতর অপরাধে বেত্রাঘাতও দেওয়া হবে। তবে শাস্তির বিধানের কথা বলে এলেও বাস্তবে এর প্রয়োগ খুব একটা দেখা যায় না। যার কারণে অপরাধীরা পার পেয়ে যায়।

জনগণের অভিযোগ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুত্রজায়ার অ্যান্টি-ট্রাফিকিং অ্যান্ড অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং বিভাগের অপারেশনাল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট সোমবার (৮ জানুয়ারি) সেলাঙ্গর রাজ্যের বন্দরনগরী কেলাং থেকে কলিংভিসায় গিয়ে কাজ না পাওয়া ২১ বাংলাদেশিকে উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত ২১ বাংলাদেশির বয়স ২০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।

শোষণের শিকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করা ওই ২১ বাংলাদেশি শ্রমিকদের সবার কাছে বৈধ ওয়ার্ক পারমিট, ট্রাভেল ডকুমেন্টস ছিল। তবে তাদের সবার পাসপোর্ট নিয়োগকর্তার কাছে জমা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণে ২১ বাংলাদেশি শ্রমিককে পুত্রাজায়ায় ইমিগ্রেশন সদর দপ্তরে তাদের হেফাজতে রাখা হয়েছে।

তবে ওই ২১ বাংলাদেশি শ্রমিকের নাম-পরিচয় এবং কোন কোম্পানির অধীনে কাজ করতে মালয়েশিয়ায় এসেছেন তা প্রকাশ করেনি অভিবাসন বিভাগ। শ্রমিকদের অভিযোগ, তারা কলিংভিসায় মালয়েশিয়া আসার ছয় মাস হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত তাদের কোনো কাজ দেওয়া হয়নি। বেতন, খাওয়া খরচসহ অন্যান্য সুযোগসুবিধা না পাওয়ায় তারা মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে এসব অভিযোগের সত্যতা মিলেছে বলে জানিয়েছেন ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক।

নিয়োগকর্তা দ্বারা বিদেশি শ্রমিকরা শোষিত বা নির্যাতিত হলে এবং জোর করে শ্রম আদায় করলে এ বিষয়ে অভিবাসন বিভাগকে তথ্য জানাতে দেশের জনসাধারনকে পরামর্শ দিয়েছেন ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক রুসলিন জুসোহ। প্রয়োজনে ০৩-৮০০০ ৮০০০ নম্বরে যোগাযোগ করতেও বলা হয়েছে। জনসাধারনের তথ্যের ভিত্তিতে শোষণের শিকার বিদেশি কর্মীদের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭