ইনসাইড থট

‘জনগণকে নিরাশ করবেন না দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা’


প্রকাশ: 11/01/2024


Thumbnail

বাংলাদেশের ইতিহাসে গণতান্ত্রিকভাবে পঞ্চমবারের মতো সরকার গঠন করবেন দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। তিনি দর্শন দিয়েই দেশ পরিচালনা করেছিলেন এবং তার ফলশ্রুতিতেই জনগণ তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছে, এই দেশটিকে এককথায় সোনার বাংলা গড়ায়। এখানে ৪১ কিভাবে ৫০ বছর কিভাবে হবে সে ইতিহাস আমি আনছি না। এখন সমস্ত লোক আলাপ-আলোচনা শুরু করেছে যে, উনি কোন ধরনের ক্যাবিনেট করবেন। সোজা কথায় বলা চলে যে, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক যেকোনো টিমকে দিয়েই সঠিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার সম্পূর্ণ ক্ষমতা রাখেন। সুতরাং এককথায় যদি বলি, ক্যাবিনেটে কাকে রাখলেন কি না রাখলেন, আমার মতে দেশ পরিচালনায় দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার ব্যাপারে এটা বিরাট কোন মূল্য বহন করে না। 

অনেকে মনে করেন, এটা স্বাভাবিক অবশ্য যে, যখন আমাদের দেশের যে সিস্টেম, যে সিস্টেমে দেশ চলে অর্থাৎ সংসদীয় গণতন্ত্র। সংসদীয় গণতন্ত্র অর্থ হচ্ছে যে, সংসদের ক্যাবিনেটের সামগ্রিকভাবে একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। আমারও ব্যক্তিগতভাবে সৌভাগ্য হয়েছে প্রায় আড়াই বছর এই ক্যাবিনেটে বসার। আর পাঁচ বছর একনেক।

আসলে যদি আমি বলি, দেশ পরিচালনা করে একনেক (Executive Committee of the National Economic Council)। কারণ সেখানেই কিভাবে খরচ হবে, দেশ কিভাবে চলবে, আর রাষ্ট্র বিষয়সমূহ বিভিন্ন এগুলি মূলত ক্যাবিনেটে ঠিক করা হয়। কিন্তু, লোকে ক্যাবিনেটেরটাই বেশি জানে। ক্যাবিনেটে হয় কি যে, ভালো যদি কেউ থাকেন তিনি অনেক কনট্রিবিউট করেন সত্য। নেত্রী খুব ধৈর্য সহকারে শোনেন এবং সবার মতামতের ভিত্তিতেই তিনি পরিশেষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। আমার মনে পড়ে না কখনও তিনি কোন সিদ্ধান্ত আগেই ঠিক করে এসে পরে কারও ওপরে চাপিয়ে দিয়েছেন। 

আর মন্ত্রণালয় চালাতে হয় মন্ত্রীদের। যে যে মন্ত্রী তার তার ক্ষমতাবলে এবং সংবিধানে বলা আছে কিভাবে চলতে হবে। কিন্তু আমাদের দেশের মোটামুটি অধিকাংশ না বলে বলা উচিত সব মন্ত্রী যখন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হয়, তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আগে যান। সুতরাং যদি আগে যে সিদ্ধান্তই নিতে সাহস করে কেউ কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে না। আমি অন্তত গর্বভরে বলতে পারি, আমার ছোট একটি কাজ কমিউনিটি ক্লিনিক যেভাবে নেত্রী আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন, আমি তো সমস্ত কাজ সেই ভাবেই করি। যখন অসুবিধা মনে করি তাকে জানিয়ে রাখি এবং আমি বুঝতে পারি যে উনি কোন দর্শনে কমিউনিটি ক্লিনিক করেছেন এবং কোন দর্শনে চালাতে হবে। তা আমি যদি সম্পূর্ণটা বুঝি, তাহলে একই উত্তরের জন্যই বারবার তাকে কেন বিরক্ত করতে যাব এবং এই যে দিক নির্দেশনা যেটি শেখ হাসিনার কাছ থেকে পাওয়া গেল। এটা দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক আমাকে সোজাসুজি রোডম্যাপের মতো করে দিয়েছেন আমার ব্রেনে, এভাবে চালাতে গেলে, এভাবে কমিউনিটি ক্লিনিক চলবে এবং তার রেজাল্টও আসছে আজকে ইউনাইটেড নেশনসে। কিন্তু না তো রোজ তো তাকে বিরক্ত করতে হয়নি। কিন্তু আমার প্রতিটি দাঁড়ি কমাতে দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার টাচ (স্পর্শ) আছে। আমার নিজস্ব কোন এর ভিতরে আইডিয়া নাই, আমি একজন তার সামান্য কর্মীর বাইরে সামান্য কোন আলাদা অবদান নেই। কিন্তু এমন একজন কর্মী, যে বুঝেছে যে আমার মাস্টার কি চায়। এখন কেবিনেটে যদি ভালো লোক আসে তাহলে এই সুবিধা হয়, আর না হলে হয় না। কিন্তু এখন এমন হয়ে গেছে যে, এই ভাবে লোক পাওয়া যাবে না বাংলাদেশে। এই জনগণ যেটা আশা করে সেটা তো অনেক ভালো যে ওমুক লোক সৎ, ওমুক লোক হলে ভালো হবে। আর একটি দেশ চললে শুধু সততা একমাত্র বিষয় হতে পারে না। এটা অনেকের শুনলে খারাপ লাগবে, কিন্তু আমি বুঝে বলছি। কিন্তু, অসৎ লোকের দ্বারা দেশে অবশ্যই ক্ষতি হবে। সুতরাং, তিনি কাজটি উদ্ধার করা জন্যে, তার নিজের পকেটের টাকা যাবে না, কিন্তু সম্পূর্ণভাবে সব জায়গা থেকে সরকারি টাকা একদম নষ্ট হবে না, এটা বোধ হয় ঠেকানো সম্ভব না। জনগণ আশা করে যে, নতুন নেতৃত্ব দিতে হবে। নতুন নেতৃত্ব বলতে মিক্স করা। পুরোনো কিছু নেতা থাকতে হবে। কারণ, তারা যখন কেবিনেটে বসে তখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন এবং অন্যান্য নতুন মন্ত্রীদের প্রয়োজনে তারা বিভিন্নভাবে সহায়তা করেন। 

আর, নতুন নেতৃত্ব দিতে হবে কেন? কারণ হচ্ছে যে ‘ট্রায়াল এন এর’র এর মতো। উনি আগেরবার কিছু নতুন নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাদের অনেকের ভিতরে পদার্থ ছিল না। তবুও তাদের পাঁচ বছর সুযোগ দিয়েছেন। যারা কিছু প্রমান করতে পারেননি, তাদের মোটামুটিভাবে দেশের জন্য ভবিষ্যতে রাজনৈতিক নেতৃত্ব দেওয়া মতো যে সুযোগ, সে সুযোগ তারা মনে করতে হবে হারিয়ে ফেলেছেন। তার ভেতরে খুব রেয়ার দুই একজন হতে পারে তারা রিকভার করে আবার আসবেন। না হলে অনেকেই ইতিহাসের অন্ধকারে চলে যাবেন। সুতরাং, নতুন নেতৃত্ব এখানে আসতেই হবে এবং আসবেও। এবং অনেক পুরোনো যারা হয়তো প্রতিমন্ত্রী ছিলেন তাদের কাজও তিনি দেখেছেন, মূল্যায়ন করেছেন তারা এবার অনেকে গুরুত্বপূর্ণ পদে আসবেন। যাদেরকে মনে করা হয়েছে যে নেত্রী বোধ হয় ভুলেই গেছেন বা কিছুই নাই তারাও দুই একজন কিন্তু এবার কেবিনেটে আসবেন। আর ঢালাওভাবে যে লোকে মনে করছে, পুরোনো সবাইকে বাদ দেওয়া হবে, তা নয়। কারণ হচ্ছে, তুলনামূলকভাবে যে কেবিনেট শেষ হচ্ছে এরা কিন্তু বয়সের দিক থেকে এখনো বৃদ্ধ না। এই কারণের জন্য অনেকেই যারা ভালো কাজ করেছেন তারা কনটিনিউ করবেন। কারণ, ওইরকম যারা অনেক বৃদ্ধ তাদের অবশ্যই বাদ দেওয়া উচিৎ। তারা যোগ্যতাও তেমন একটা রাখতে পারেনি এবং বয়সেও ভারে তাদের মন্ত্রী হওয়া উচিৎ না। এরা হবেনও না। এটা আমি বিশ্বাস করি। এমনকি আজকেই যখন কেবিনেট ডিকলেয়ার (ঘোষণা) করা হবে তখন অনেকে একটু অবাক হবেন যে, এরাও মন্ত্রী হলো। আবার এরাও বাদ গেল। এটাই হলো স্বাভাবিক সৌন্দর্য এই পার্লামেন্টি ডেমোক্রেসির। 

তবে, আমি মনে করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেভাবেই সাজাবেন সে ধারায় তিনি ইলেকশনে যেভাবে বলেছেন যে, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবেন এবং কখন কোন সময়ের ভিতরে করবেন বলেছেন; প্রত্যেকটা করতে সক্ষম হবেন। সুতরাং, আমার মনে হয়, আমরা কাজের দিকেই বরং নজর দিব, তা টিম ওয়ার্ক হলো, হাতের পাঁচটা আঙুল কি সমান হয়? সমান হলেও ধরা যায় না। সুতরাং, এখানে কিছু দুর্বল মন্ত্রীও থাকবে, খুব ভালো মন্ত্রীও থাকবে, কিছু মন্ত্রী থাকবে মাঝামাঝি। এদের দ্বারাই কেবিনেট হবে, এটাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এবং, জনগণের এটাই আশা করা উচিৎ। তারা দ্বারাই বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে যাবে এবং যে স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন সেই স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার দ্বারা পূরণ হবে। এবং, বুঝতে হবে যে, পরবর্তী নির্বাচন যে পাঁচ বছর পরে তাতেও নেতৃত্ব দিতে হবে শেখ হাসিনার। সুতরাং এইখানে তার একটা অতিরিক্ত দায়িত্ব হবে, কোন ধরণের কেবিনেট তিনি করবেন। এখানে আমাদের অনেকের চিন্তাধারার সঙ্গে তার চিন্তাধারা এক হবে এটা আশা করা ঠিক না। 

জনগণ চায় যে, নতুন মন্ত্রীসভা আসলে জিনিসপত্রের দাম একটু কমবে, ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভ বাড়বে, দুর্নীতি কমে যাবে। আমি বলি এগুলোর সবই হবে। এখানে মন্ত্রী যেই হোক না কেন জিনিসপত্রের দাম কমবে, রিজার্ভের পরিমানও বাড়বে এবং দুর্নীতির কিন্তু জিরো টলারেন্সের দিকে যাবে। একদিনে জিরো টলারেন্স হয় না। কিন্তু, আপনারা দেখবেন যে, যখন সরকার গঠন হয়েছে এবং কাজ শুরু হয়েছে তখন মনে হবে যেন এক নতুন শেখ হাসিনা। তখনই বুঝবেন যে, যারা দুর্নীতি করে তাদের ব্যাপারে তিনি কত কঠোর হতে পারেন। এবং যারা দুর্নীতি না করে তাদেরকে তিনি কতটা আদর করেন। এটা জনগণ আশাও করে এবং অবশ্যই জননেত্রী জনগণকে নিরাশ করবেন না। কারণ, তিনি তো জনগণের জন্যেই। তিনি বলেন, আমার তো কিছু নাই, সব হলো এই দেশের মানুষের। সুতরাং, মানুষকে তিনি বিমুখ করবেন না।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭