প্রকাশ: 12/01/2024
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নাজমুল হাসান পাপনকে দেওয়া হয়েছে ক্রীড়া
মন্ত্রীর দায়িত্ব। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি মন্ত্রী হিসেবে শপথও নেন। তাই স্বাভাবিকভাবেই
প্রশ্ন আসে তিনি কি বোর্ড সভাপতি থাকছেন? অথবা, ক্রীড়া মন্ত্রীর মতো এত বড় পদ সামলানোর
পরও কি বিসিবির দায়িত্ব পালন করতে পারবেন?
অবশ্য তিনি নিজেই ঘোষণা দিয়েছেন তার বর্তমান মেয়াদ ২০২৪ সালেই শেষ হবে।
তারপর আর তিনি বিসিবির সভাপতির পদে আসতে চান না। তাহলে পরবর্তী সভাপতি কে হবেন?
এই জায়গায় বার বারই মাশরাফির নামটাই ভেসে আসছে সবার আগে। জাতীয় ক্রিকেটের
সঙ্গে লম্বা সময় ধরে যুক্ত ছিলেন তিনি।
যে ২৫ জন সংসদ সদস্যকে মন্ত্রিসভায় শপথ গ্রহণের জন্য ফোন দেয়া হয়েছে, সেই
তালিকায় রয়েছেন পাপন। মন্ত্রিত্ব পেলেও বিসিবির দায়িত্বে থাকতে বাধা নেই তার। এর আগে
বিসিবি সভাপতি ছিলেন সাবের হোসেন চৌধুরী। সে সময় সংসদ সদস্য থাকা সাবের সাড়ে তিন বছর
নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ছিলেন। তবে ২০২৫ সালের মেয়াদেই পাপনের শেষ দেখে ফেলেছেন
অনেকেই।
দেশের ক্রিকেট ভক্তদের মাঝে মাশরাফিকে এই পদে দেখার আগ্রহ ব্যাপক। অনেকের
মতেই দেশের ক্রিকেটের অভিভাবকের পদে সাবেক এই টাইগার পেসারই যোগ্য ব্যক্তিত্ব। তবে,
বিসিবির গঠনতন্ত্র দেখে কিছুটা হতাশ হয়ত হতেই হবে ক্রিকেট ভক্তদের। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী
এখনই সাকিব আল হাসান বা মাশরাফি বিন মোর্তুজার বিসিবি সভাপতি হওয়ার সুযোগ নেই।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, কেউ সভাপতি প্রার্থী হতে চাইলে প্রথমেই তাকে জেলাভিত্তিক
ক্লাব কিংবা আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থাগুলোর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হতে হয়, এরপর হতে
হয় বিসিবি পরিচালক। সাকিব নিজেই এখনও ক্রিকেটার আর মাশরাফি খেলা থেকে কিছুটা দূরে থাকলেও
কোন আঞ্চলিক সংস্থায় যুক্ত হননি। বিসিবিতে দুজনের কারোরই পরিচালকের পদ নেই। ফলে সভাপতি
নির্বাচনে প্রার্থীও হতে পারছেন না তারা।
নাজমুল হাসান পাপনের দায়িত্ব ছাড়ার পর তাই সাকিব বা মাশরাফি নন, বরং বিসিবিরই
কোনো পরিচালকের এই পদে আসার সম্ভাবনা বেশি।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭