প্রকাশ: 12/01/2024
শীত একদম জাঁকিয়ে
বসেছে। শৈত্যপ্রবাহে সারাদেশের মানুষ অনেকটাই বিপর্যস্ত। পৌষের শেষে এসে ঘন কুয়াশা
আর হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু পঞ্চগড়ের সাধারণ মানুষ। তাপমাত্রা সামান্য
বাড়লেও হাড় কাঁপানো শীতে যেন কাবু হয়ে পড়েছে সব মানুষ। রাতভর হিম বাতাস আর ঘন
কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে চারদিক। টিপটিপ বৃষ্টির মতো ঝরা কুয়াশা থাকছে পুরোটা রাত। সকাল
সকাল ভেজা রাস্তা দেখেই সারা রাতের কুয়াশার আন্দাজ পাওয়া যাচ্ছে।
সারাদিন দেখা
মিলছে না সূর্যের মুখ। শীতের প্রকোপ বাড়তে শুরু করায় জেলার হাসপাতালগুলোতে দিন দিন
শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে ডায়েরিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট রোগীর সংখ্যা বেশি। শীতে
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। গত কয়েকদিন ধরে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে
প্রতিদিন শীতজনিত শতাধিক রোগী বৃদ্ধি পাচ্ছে। বহির্বিভাগ থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা। যারা
বেশি অসুস্থ তারা কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
শুক্রবার (১২
জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করে
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস, যা বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন ছিল ১২ দশমিক
৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়ার এ পরিস্থিতিতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে বলে
জানিয়েছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস।
এদিকে
বৃহস্পতিবার দিনের তাপমাত্রা (সর্বোচ্চ) ১৫ দশমিক ৬ থেকে বেড়ে রেকর্ড করা হয়।
কিন্তু সন্ধ্যার পর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় পুরো এলাকা। রাতভর বৃষ্টির মতো ঘন
কুয়াশা ঝরেছে। সাথে উত্তরের হিম বাতাসের কারণে তীব্র শীত অনুভূত হয়েছে। তবে গত তিন
ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি। এতে হিম বাতাসে খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।
শীতের কারণে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ রিকশা-ভ্যানে উঠতে চান না। কনকনে শীতে দৈনন্দিন
আয় কমে গেছে রিকশা-ভ্যানচালকসহ এসব শ্রমজীবী মানুষের।
ভোর থেকেও ঘন
কুয়াশায় ঢেকে ছিল পুরো এলাকা। ঘন কুয়াশা আর বাসাতের কারণে স্থবিরতা দেখা দেয়
জনজীবনে। কিন্তু জীবিকার তাগিদে সকালে কাজে যোগ দেওয়া খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ
বেড়েছে। সীমাহীন কষ্টে রয়েছেন রিকশা-ভ্যানচালক ও কৃষি শ্রমিকরা। শীতের কারণে জরুরি
প্রয়োজন ছাড়া কেউ রিকশা-ভ্যানে উঠতে চায় না। কনকনে শীতের কারণে দৈনন্দিন আয় কমে
গেছে এসব শ্রমজীবী মানুষের। শীতের দাপট বেড়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ।
সকালের ঠান্ডা
বাতাসে কাবু হয়ে পড়া মানুষ গরম কাপড় পরে বের হওয়ার পাশাপাশি অনেকেই খড়কুটো
জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিম ঠান্ডা বাতাস ও
শীতের কারণে বাড়তে শুরু করেছে বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। জেলা ও উপজেলার
হাসপাতালগুলোতে আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগী বাড়তে শুরু করেছে। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ
থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন চিকিৎসকরা।
তেঁতুলিয়া
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ্ বলেন, তেঁতুলিয়ার আকাশের উপরিভাগে ঘন কুয়াশা থাকায় এবং দিনের ও রাতের
তাপমাত্রা সামন্য কমবেশি থাকায় বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। এ ছাড়া উত্তরের হিম বাতাস এ
জনপদে শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এখন থেকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭