এডিটর’স মাইন্ড

মহিলা এমপি কারা হচ্ছেন?


প্রকাশ: 13/01/2024


Thumbnail

জাতীয় সংসদের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হয়েছে। এবার সংবিধান অনুযায়ী মহিলা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবে। সংবিধানে সংরক্ষিত নারী আসন রয়েছে ৫০টি। এই নারী আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আসন অনুপাতের হারে। অর্থাৎ যে দল যতগুলো আসনে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে জয়ী হয় সংরক্ষিত আসনে তার আনুপাতিক হারে আসন পান তারা। ওই রাজনৈতিক দল তাদের মতো করে মনোনয়ন বাছাই করেন এবং সংরক্ষিত আসনে যাদেরকে প্রার্থী করতে চান তাদের নাম নির্বাচন কমিশনে পাঠান। 

সাধারণত সংসদ সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হওয়ার কথা থাকলেও আসন ওয়ারী অনুযায়ী নারী সংসদের কোটা থাকার কারণে এখানে কোন ভোট হয় না। যাদের নাম নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয় তারাই সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন। এবারে নির্বাচনে যে ফলাফল সেই ফলাফল অনুযায়ী আওয়ামী লীগ সংরক্ষিত নারী কোটা পাবে ৩৭ টি আসন। আর স্বতন্ত্র যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা ১১ জন প্রার্থীর মনোনয়ন দিতে পারবেন। আর জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন পাবেন ২ জন। 

আওয়ামী লীগের ৩৭ জন সংসদ সদস্য কারা হবেন সে নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে ব্যাপক আলাপ আলোচনা এবং জল্পনা কল্পনা শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই নারী সদস্য হওয়ার জন্য অনেকে দেন দরবার দৌড়ঝাঁপ এবং তদবির শুরু করেছেন। 

বিভিন সূত্র থেকে জানা গেছে যে আওয়ামী লীগের মধ্যেও প্রাথমিকভাবে এটি নিয়ে আলাপ আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে মূল প্রশ্ন দেখা দিয়েছে স্বতন্ত্রদের মধ্যে থেকে কারা মনোনয়ন পাবেন। এটি কি আওয়ামী লীগ পছন্দ করে দেবে নাকি স্বতন্ত্ররা নিজেরা একত্রিত হয়ে তাদের মধ্যে করে প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন। এই বিষয়টি এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি বলে জানা গেছে। তবে নারী সংসদ সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ ১৪ দলের শরিকদের প্রতি সহানুভূতি দেখাতে পারে। তাছাড়াও আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কিছু পছন্দের ব্যক্তি রয়েছেন যারা মহিলা সংসদ সদস্য হিসেবে সংসদে আসতে পারেন।

গত কয়েকবারের প্রবণতা লক্ষ করলে দেখা যায় যে আওয়ামী লীগের নারী সংসদ সদস্য বারবার পরিবর্তন হয়েছে। একই ব্যক্তি একাধিকবার নারী সদস্য হননি। একাদশ জাতীয় সংসদে যারা নারী কোটায় সংসদ সদস্য হয়েছিলেন তাদের অনেকেরই এবার না থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। বরং বিভিন্ন সময় যারা ত্যাগী পরীক্ষিত তাদেরকে নারী কোটায় সংসদ সদস্য করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এবারে নারী কোটায় সংসদ সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে যে সমস্ত নারীরা সরাসরি ভোটে পরাজিত হয়েছেন তারা থাকবেন কিনা সেটি একটি বড় বিষয়। আবার যারা মনোনয়ন পাননি তাদেরকেও নারী কোটায় আনা হবে কি না এটা দেখার বিষয়।

সদ্য সমাপ্ত সংসদ নির্বাচনে মমতাজ, মেহের আফরোজ চুমকি পরাজিত হয়েছেন। তাদেরকে সংসদে রাখা হবে কিনা এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে। এছাড়াও মুন্নুজান সুফিয়ান মনোনয়ন পাননি। তিনি সংসদ সদস্য থাকবেন কি না সেটি দেখার বিষয়। সংস্কৃতি জগতের তারিন জাহান এবার মনোনয়ন পেতে পারেন এমন আলোচনা গুঞ্জন রয়েছে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত প্রিয়ভজন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। এছাড়াও শমী কায়সার এবং তারানা হালিমের নারী সংসদ সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তি হতে পারে। তবে আওয়ামী লীগ সভাপতি বিভিন্ন সময় যারা ত্যাগ শিকার করেছেন বিশেষ করে ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত যারা বিভিন্ন রকম নিযার্তন নিপীড়ণের শিকার হয়েছেন তাদের মধ্য থেকে নারী সংসদ সদস্য করার বিষয়টি বেশি করে বিবেচনা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর এক্ষেত্রে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত এবং ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপির আমলে নির্যাতিতরা প্রাধান্য পেতে পারেন। তবে জাসদের সম্পাদক শিরীন আখতারকে নারী কোটায় সংসদ সদস্য করা হতে পারে। কারণ তার আসন নিয়ে যখন টনাপোড়েন তৈরি হয়েছিল তখন তাকে আশ্বস্ত করা হয়েছিল। এছাড়াও যেহেতু হাসানুল হক ইনু পরাজিত হয়েছেন তার স্ত্রীকেও সংসদ সদস্য হিসেবে দেখা যেতে পারে। তবে নারী কোটায় সংসদ সদস্য কারা হবেন শেষ পর্যন্ত তা চূড়ান্ত করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭