ইনসাইড পলিটিক্স

সংরক্ষিত আসনে যারা মনোনয়ন পেতে পারেন


প্রকাশ: 18/01/2024


Thumbnail

আওয়ামী লীগ এখন সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন কারা পাবেন না পাবেন তা ঠিক করার কাজ করছে। আরও নির্দিষ্ট করে বললে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন এই কাজটি করছেন। আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে আসন পেয়েছে সেই আসন সমানুপাতিক হারে ৩৭ টি সংরক্ষিত আসনে তারা মনোনয়ন দিতে পারবে। আর স্বতন্ত্ররা যে আসনগুলোতে বিজয়ী হয়েছেন সেখান থেকে ১১ টি আসনে মনোনয়ন দিতে পারবেন স্বতন্ত্ররা। জাতীয় পার্টি মনোনয়ন দিতে পারবে দুই আসনে। 

জাতীয় পার্টির দুটি আসনে কারা মনোনয়ন পাবেন তা এখন মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গেছে। ঢাকা-১ থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সালমা ইসলাম আবার যে সংরক্ষিত আসনের এমপি হতে যাচ্ছেন এটি মোটামুটি নিশ্চিত। অন্যদিকে জিএম কাদের চাচ্ছেন তার স্ত্রী শেরীফা কাদেরকে যিনি ঢাকা-১৮ আসন থেকে পরাজিত হয়েছেন, তাকে মনোনয়ন দিয়ে নারী সংসদ সদস্য হিসেবে সংসদে আনতে। কিন্তু সেক্ষেত্রে তিনি প্রবল বাধার মুখে পড়তে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখন জাতীয় পার্টিতে তার অবস্থা এমনই টলটলায়মান। 

আওয়ামী লীগের যে ৩৭ জন নারী সংসদ সদস্য মনোনয়ন পাবেন বা নারী সংসদ সদস্য হিসেবে সংসদে যাবেন, তারা কোন যোগ্যতার ভিত্তিতে যাবেন—এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারক মহল একটি বৈশিষ্ট্য চূড়ান্ত করেছে, যে সমস্ত বৈশিষ্ট্য থাকলে একজন নারী সংসদ সদস্যকে মনোনয়নের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এই অগ্রাধিকারের পাঁচটি বড় বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে।

১. আগে কখনও সংসদ সদস্য হননি: যারা আগে কখনও সংসদ সদস্য হননি, তারা সংরক্ষিত কোটায় প্রথম অগ্রাধিকার পাবেন।

২. বিভিন্ন ক্রান্তিকালে ভূমিকা: পঁচাত্তরের পরবর্তী সময়ে যারা ভূমিকা রেখেছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত সংসদ সদস্য হননি, ২০০১ সালের নির্বাচনের পর যারা নির্যাতিত নিপীড়িত হয়েছেন, কিন্তু এখনও পর্যন্ত নারী সংরক্ষিত কোটায় সংসদ সদস্য হননি, ২০০৭ সালে এক-এগারো সময় যারা বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন ধরনের সংসদ সদস্য বা জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হতে পারেননি—এমন নারীদেরকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। 

৩. বড় ধরনের অবদান রাখা: যে সমস্ত নারীরা সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিল্প, সংস্কৃতি, সাহিত্য ইত্যাদি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন এবং সৃজনশীলতার জন্য আলোচিত, সামাজিক ভাবে প্রশংসিত তারা এবারের নারী সংসদ সদস্য হিসাবে আগ্রাধিকার পাবেন।

৪. জেলার ত্যাগ রাজনীতি কর্মী: যে সমস্ত স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা বিভিন্ন সময়ে ত্যাগ স্বীকার করেছেন এবং দলের আদর্শ প্রতি অনুগত ছিলেন, তারা নারী সংসদ সদস্য হিসেবে অগ্রাধিকার পাবেন।

৫. বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অবদান রেখেছেন: যে সমস্ত নারীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সাবেক বিচারক কিংবা অন্য কোন ক্ষেত্রে সমাজে অবদান রেখেছেন তিনি হতেন পারে চিকিৎসক, হতেন পারে স্থপতি, হতে পারেন সরকারি চাকুরে বা অবসর প্রাপ্ত বিচারক তারাও নারী সংসদ সদস্য হিসেবে অগ্রাধিকার পাবেন। এছাড়াও বিগত সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে যে সমস্ত নারী সংসদ সদস্যদের আসন ছেড়ে দিতে হয়েছে বা নানা রকম কৌশলগত কারণে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন কিন্তু দলের জন্য তাদের অবদান রয়েছে তারাও নারী সংসদ সদস্য হিসেবে বিবেচিত হবেন। 

ধারণা করা হচ্ছে এই সমস্ত বৈশিষ্ট্যগুলো বিবেচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি নারী সংসদ সদস্যদের তালিকা চূড়ান্ত করবেন।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭