ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিজয়ের ব্যাটে খুলনার বিজয়


প্রকাশ: 22/01/2024


Thumbnail

কী দারুণ এক ম্যাচই না দেখা গেল! টি-টোয়েন্টি ম্যাচ তো এমনই হওয়া উচিত। রোমাঞ্চ আর উত্তেজনায় টইটম্বুর রানবন্যার ম্যাচে শেষ হাসি হেসেছে খুলনা টাইগার্স। রানবন্যার ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে খুলনা।  

 টসে জিতে আগে ফরচুন বরিশালকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় খুলনা টাইগার্স। আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে কিছুটা দেখেশুনে এগিয়েছে বরিশাল। উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ১৪ রান। ১৪ বলে ১১ রান করে সাজঘরে ফিরে যান ইবরাহিম জাদরান।

এরপর তামিম ইকবাল এবং সৌম্য সরকার মিলে জোট বাঁধেন। সময়ের সাথে সাথে বেড়েছে রানের গতিও। পাওয়ারপ্লে থেকে ১ উইকেট হারিয়ে ৪৪ রান তোলে বরিশাল। তামিম-সৌম্যর জুটি এগোচ্ছিল ভালোভাবেই। তবে দলের ৬০ রানের মাথায় দুজনের ভুল বোঝাবোঝির কারণে রান আউট হন সৌম্য। ১০ বলে ১৭ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি।

এরপর ক্রিজে আসেন মুশফিকুর রহিম। তামিমের সাথে দারুণভাবে ক্রিজে জমে যান মুশফিক। দুজনের ব্যাটে চড়ে এগোতে থাকে বরিশালের ইনিংস। ফিফটি ছোঁয়ার সম্ভাবনা জাগালেও শেষমেশ তা ছুঁতে পারেননি তামিম। আউট হয়েছেন ৩৩ বলে ৪০ রান করে, দলের রান তখন ১১৭। এরপর ক্রিজে আসেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মুশফিকের সাথে ক্রিজে সেট হয়ে যান রিয়াদ। দুজনের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ফুলেফেঁপে উঠতে থাকে বরিশালের স্কোরবোর্ড। এরই মাঝে ফিফটি ছুঁয়ে ফেলেন মুশফিক।

অন্যদিকে রিয়াদ ১৯ বলে ২৭ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে দলের ১৭১ রানের মাথায় আউট হন। তবে মুশফিককে থামানো যায়নি। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে ৩৯ বলে ৬৮ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলেন মুশফিক। শেষ বলে হাঁকিয়েছেন দারুণ এক ছক্কা। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় ফরচুন বরিশাল।

বরিশালের হয়ে ওশান থমাস, নাসুম আহমেদ এবং মুকিদুল ইসলাম নেন ১টি করে উইকেট।

বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নামা খুলনা পেয়েছে উড়ন্ত সূচনা। শুরু থেকেই বেশ মারমুখি ছিলেন দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় এবং এভিন লুইস। বিশেষ করে আগুনে রূপে ছিলেন লুইস। চার-ছক্কার বৃষ্টিতে বরিশালের বোলারদের তুলোধুনো করতে থাকেন তিনি। মাত্র ২১ বলের মধ্যে ছুঁয়ে ফেলেন ফিফটিও। তবে ফিফটি হাঁকিয়েই থেমেছেন তিনি। দলের ৭৭ রানের মাথায় ২২ বলে ৫৩ রান করে আউট হন লুইস।

এরপর দলের হাল ধরেন বিজয় এবং আফিফ হোসেন ধ্রুব। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভার থেকে বিপিএলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৮৭ রান তোলে খুলনা, উইকেট হারায় ১টি। লুইসের তৈরি করা মঞ্চটা কাজে লাগিয়ে দলের রান বাড়াতে থাকেন আফিফ এবং বিজয়। দুজনের সাবলীল ব্যাটিংয়ে কক্ষপথেই ছিল খুলনা।

সময় বুঝে ব্যাটিংয়ের ধার বাড়িয়েছেন আফিফ এবং বিজয়। বরিশালের বোলারদের কোনোরকম পাত্তা না দিয়ে রান তুলতে থাকেন দুজন। দারুণ এক ফিফটি তুলে নেন বিজয়। আফিফও ছিলেন ফিফটির পথেই। তবে ৩৬ বলে ৪১ রান করে আউট হয়ে ফিফটিটা ছুঁতে পারেননি তিনি। দলের ১৫২ রানের মাথায় আউট হন আফিফ। বিজয় এবং আফিফের জুটি থেকে রান আসে ৭৫।

এরপর বিজয়ের সাথে যোগ দেন শাই হোপ। প্রথম বলেই দারুণ এক চার মেরে ইনিংস শুরু করেন হোপ। শেষ দিকে বিজয় এবং হোপের সাবলীল ব্যাটিংয়ে জয়ের খুব কাছে পৌঁছে যায় খুলনা। শেষে দারুণ এক চার মেরে খুলনাকে জিতিয়েছেন অধিনায়ক বিজয়। ১২ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের জয় পায় খুলনা টাইগার্স। ৪৪ বলে ৬৩ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন বিজয়। অন্যদিকে ১০ বলে ২৫ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত টিকে ছিলেন হোপ। 

বরিশালের হয়ে ২ উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ ইমরান। 




প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭