ইনসাইড গ্রাউন্ড

শেষ ওভারের রোমাঞ্চে দারুণ জয় কুমিল্লার


প্রকাশ: 23/01/2024


Thumbnail

এমন রোমাঞ্চ আর উত্তেজনায় ঠাসা ম্যাচই তো দরকার বিপিএলে! শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৩ রান, ১ বল হাতে রেখেই ফরচুন বরিশালকে হারিয়ে রোমাঞ্চে ঠাসা ম্যাচটা জিতে নিল কুমিলা ভিক্টোরিয়ান্স। ইমরুল কায়েসের ফিফটির পর শেষ ওভারে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দলকে জিতিয়েছেন ম্যাথু ফোর্ড।

মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে বরিশালকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় কুমিল্লা। ওপেনিংয়ে এদিন কিছুটা পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়েছে বরিশাল। অধিনায়ক তামিম ইকবালের সাথে ইনিংসের উদ্বোধনীতে নামানো হয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজকে। তবে ফাটকাটা কাজে লাগেনি। ইনিংসের প্রথম ওভারেই গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফিরে গেছেন মিরাজ।

তবে তামিম শুরু থেকে বেশ সাবলীল ছিলেন। উইকেটের চারপাশে দারুণ সব শটে তুলছিলেন রান। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা প্রীতম কুমার। দলীয় ২৬ রানের মাথায় আউট হওয়ার আগে ৭ বলে ৮ রান করেন তিনি।

দারুণ খেলতে থাকা তামিমের ইনিংস অবশ্য খুব একটা লম্বা হয়নি। দলের ৪৩ রানের মাথায় ১৬ বলে ১৯ রানের ইনিংস খেলে আউট হন তামিম। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে বরিশালের বোর্ডে জমা হয় ৪৪ রান, উইকেট পড়ে ৩টি।

এরপর দলের হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম এবং সৌম্য সরকার। দারুণ কার্যকরী ব্যাটিংয়ে কঠিন পরিস্থিতি সামাল দেন দুজন। তাদের বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিংয়ে দিশা ফিরে পায় বরিশাল। পরিস্থিতি বুঝে ব্যাটিংয়ের ধার বাড়িয়েছেন দুজন। তাতে রানও উঠেছে দলের বোর্ডে।

দুজনের দারুণ ব্যাটিংয়ে এগিয়ে যেতে থাকে বরিশালের ইনিংস। তবে দলের ১০৯ রানের মাথায় থেমে যায় সৌম্য-মুশফিকের জুটি। ৩১ বলে ৪২ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন সৌম্য। তবে মুশফিককে থামানো যায়নি। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে নিজের টানা দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন তিনি। দ্বিতীয় বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে বিপিএলে ৩ হাজার রানও পূর্ণ করেছেন মুশফিক।   

ইনিংসের শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে ৪৪ বলে ৬২ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলেন মুশফিক। নির্ধারিত ২০ ওভারের খেলা শেষে বরিশাল দাঁড় করায় ১৬১ রানের পুঁজি।

কুমিল্লার হয়ে ৩ উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান। এছাড়া ২টি করে উইকেট তোলেন ম্যাথু ফোর্ড এবং রোস্টন চেইজ। তানভীর ইসলাম এবং খুশদিল শাহ শিকার করেন ১টি করে উইকেট।

জবাব দিতে নেমে কুমিল্লার হয়ে ইনিংস উদ্বোধন করেন অধিনায়ক লিটন দাস এবং এবারের আসরে নিজের প্রথম ম্যাচে খেলতে নামা মোহাম্মদ রিজওয়ান। উদ্বোধনী জুটি থেকে রান আসে ২৬। ভালোভাবে শুরু করলেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি রিজওয়ান। আউট হয়েছেন ১৫ বলে ১৮ রান করে।

এরপর তিনে নেমে গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফিরে যান তাওহিদ হৃদয়। ভালো শুরুর পর হুট করেই চাপে পড়ে যায় কুমিল্লা। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভার থেকে কুমিল্লা তোলে ৩৮ রান, উইকেট হারায় ২টি।

ধুঁকতে থাকা ওপেনার লিটন দাসের ইনিংসও বড় হয়নি। ১৮ বলে ১৩ রান করে দলের ৫৬ রানের মাথায় সাজঘরে ফিরে যান তিনি। এরপর দলের হাল ধরেন ইমরুল কায়েস। তার দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে একটু একটু করে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে কুমিল্লা।

বাকিরা আহামরি কিছু করে দেখাতে না পারলেও ইমরুল ছিলেন দারুণ সাবলীল। তার অসধারণ ব্যাটিংয়ের সুবাদে ম্যাচে জেতার মত পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ফেলে কুমিল্লা। তবে ফিফটি হাঁকিয়েই আউট হয়েছেন ইমরুল। ৪১ বলে ৫২ রান করে দলের ১১৬ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন তিনি।

এরপর ঝড় তোলেন জাকের আলী অনিক। এক ওভারেই দুই ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন তিনি। শেষ খুশদিল শাহও চালিয়ে খেলেছেন তবে ৭ বলে ১৪ রান করে শেষ ওভারে রান আউট হয়ে যান তিনি। তবে সব রোমাঞ্চ বাকি ছিল তখনও। ক্রিজে এসেই ঝড় তোলেন ম্যাথু ফোর্ড। দারুণ এক ছক্কা আর চারে ৪ বলে ১১ রানের সমীকরণকে ২ বলে ১ রানে নিয়ে আসেন ফোর্ড। শেষ সিঙ্গেল নিয়ে দলকে জেতান ফোর্ড। ১ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটের জয় পায় কুমিল্লা। 




প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭