ইনসাইড টক

‘আগামী পাঁচ বছর বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের ওপর সায়মার তীক্ষ্ণ দৃষ্টি থাকবে’


প্রকাশ: 24/01/2024


Thumbnail

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বলেছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্বাস্থ্য খাতের দায়িত্ব পেয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। গতকাল তিনি আনুষ্ঠানিক ভাবে এই দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেছেন। এর আগে বাংলাদেশের কেউই এই দায়িত্বে ছিলেন না। আমরা খুবই সৌভাগ্যবান যে, আমরা সায়মা ওয়াজেদকে আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে পাচ্ছি। এটা বাংলাদেশ তথা এদেশের জনগণের জন্য একটি বিরাট প্রাপ্তি। সায়মা ওয়াজেদ স্বাস্থ্য খাতে খুব অভিজ্ঞ একজন ব্যক্তিত্ব। আমরা জানি সে অনেক দিন ধরে সারা বিশ্বে অটিজম এবং নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা প্যানেলেরও সদস্য। তাছাড়া ডব্লিউএইচওর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে ‘অটিজম-বিষয়ক শুভেচ্ছা দূত’ হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করছেন।

গতকাল মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদর দপ্তরে সংস্থাটির দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যার সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। তার এই দায়িত্ব গ্রহণ বাংলাদেশের তথা এই অঞ্চলের স্বাস্থ্য খাতকে কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে তা নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সাথে আলাপচারিতায় অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক এসব কথা বলেছেন।  

অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বলেন, কমিউনিটি লেভেলে কাজ করার একটা বড় অভিজ্ঞতা সায়মার রয়েছে। তিনি কমিউনিটি লেভেলে স্বাস্থ্যের যে বিভিন্ন সমস্যা এগুলোর ব্যাপারে তার স্বচ্ছ এবং যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমাদের দেশের জনগণের স্বাস্থ্যের যে সমস্যাগুলো রয়েছে সেগুলোর ব্যাপারে তিনি অবহিত আছেন। তিনি নারী ও শিশু নিয়ে অনেক গবেষণা করেছেন এবং এখনো করে যাচ্ছেন। আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে তিনি তার মেধা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে একটি লক্ষণীয় পরিবর্তন আনবেন এটা বলার অপেক্ষা রাখে না।

তিনি বলেন, সায়মার অধীনে এই অঞ্চলে ১১ টি দেশ রয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ একটি। প্রত্যেক আঞ্চলিক পরিচালকেরই নিজস্ব কিছু অগ্রাধিকার ভিত্তিক কর্মপন্থা থাকে। তিনি প্রত্যেক দেশের সাথে কথা বলে আলাদা আলাদা চাহিদা অনুসারে একটি কর্মপন্থা তৈরি করবেন। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের সমস্যাগুলো সম্পর্কে যেহেতু তিনি অবহিত আছেন সেজন্য তিনি হয়তো বাংলাদেশের জন্য অগ্রাধিকারের বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিবেন। বাংলাদেশে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করার অনেক সুযোগ আছে। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও কাজ করার সুযোগ রয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, অটিজম এবং নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার শুধু বাংলাদেশেই নয়, এটা বৈশ্বিক সমস্যা। এটাকে যে ম্যানজে করা যায়, এটি যে ভয়ের কোনো বিষয় নয়, এই বাচ্চারাও যে সমাজে অবদান রাখতে পারে সেটি সায়মা ইতোমধ্যে প্রমাণ করেছেন এবং মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছেন। এছাড়া নন কমিউনিকেবল ডিজিজ নিয়েও কাজ করার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। আমাদের দেশে স্বাস্থ্য খাতে প্রশাসনিক দিকটা এখনো অনেক দুর্বল সেখানে ডব্লিউএইচওর মাধ্যমে সায়মা বাংলাদেশে বড় অবদান রাখতে পারেন। কমিউনিটি ক্লিনিক মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। এটাকে এখন মানুষের কাছে স্থায়ী রূপ দেওয়ার দাবিদার রাখে। এটিকে আরও বেশি জনবান্ধব করা, সেবার মানকে উন্নত করার ক্ষেত্রে ডব্লিউএইচওর আঞ্চলিক অফিস অবদান রাখতে পারে।

ডা. দীন মোহাম্মদ বলেন, ডব্লিউএইচও প্রত্যেকটা সদস্য রাষ্ট্রের টেকনিক্যাল পার্টনার হিসেবে কাজ করে। তাদের নিজস্ব কিছু কর্মসূচি থাকে আর কিছু কর্মসূচি থাকে সরকারের লাইন ডিরেক্টরের মাধ্যমে করে থাকে। তারা দ্বি-বার্ষিক পরিকল্পনা গ্রহণ করে থাকে। ডব্লিউএইচওর কাছে সরকার যেকোনো টেকনিক্যাল সাহায্য চাইতে পারে। এক্ষেত্রে ডব্লিউএইচও তখন সরকারকে সাহায্য করে। ডব্লিউএইচও অফিস বাংলাদেশে আছে, যেটি আঞ্চলিক অফিসের অধীনে। আঞ্চলিক অফিসের আলাদা বাজেট থাকে। আঞ্চলিক পরিচালকের কিছু এখতিয়ারভুক্ত থাকে। আঞ্চলিক পরিচালক চাইলে একটি দেশের সমস্যাগুলো দূর করতে পারে। আমি মনে করি এ ব্যাপারে আগামী পাঁচ বছর বাংলাদেশের ওপর সায়মার তীক্ষ্ণ দৃষ্টি থাকবে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ করার ক্ষেত্রেও স্বস্থ্যের যে একটা বড় বূমিকা রয়েছে সেখানে সায়মা ওয়াজেদ বেশি দৃষ্টি দিবে।


 


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭