ইনসাইড বাংলাদেশ

এক যুগ পরও হয়নি কিশোরগঞ্জ জেলা যুবলীগের নতুন কমিটি গঠন


প্রকাশ: 24/01/2024


Thumbnail

কিশোরগঞ্জ জেলা যুবলীগের ৩ মাসের আহবায়ক কমিটি প্রায় এক যুগ পার হলেও নতুন কমিটি হচ্ছে না হরহামেশায়। নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েও কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়ায় আশাহত হয়েছে নেতাকর্মীরা। যার ফলে সাংগঠনিক অবস্থা দিন দিন নাজুক হচ্ছে।

জানা যায়, কিশোরগঞ্জ জেলা যুবলীগের সর্বশেষ ২০১২ সালের জুলাই মাসের ৩ তারিখ আমিনুল ইসলাম বকুলকে আহবায়ক, মীর আমিনুল ইসলাম সোহেল ও রুহুল আমিন খানকে যুগ্ন আহবায়ক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি দেয় কেন্দ্রীয় যুবলীগের তৎকালীন চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজম এমপি। ৯০ দিনের আহবায়ক কমিটি বর্তমানে প্রায় ১২ বছর পেরিয়ে গেলেও আর জেলা যুবলীগের কমিটি হয়নি।

একই অবস্থা উপজেলা যুবলীগের কমিটিগুলোতেও। প্রায় সবগুলো উপজেলাতেই দীর্ঘদিন যাবত নতুন কমিটি নেই। যার ফলে ঝিমিয়ে পড়েছে সাংগঠনিক কার্যক্রম। বর্তমান কমিটির আহবায়ক আমিনুল ইসলাম বকুল জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দ্বায়িত্ব পেয়েছেন।

এদিকে দীর্ঘ সময় ধরে জেলা যুবলীগ মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় যুবলীগের রাজনীতি থেকে নিস্ক্রিয় হয় জেলার অনেক নেতৃবৃন্দ। পরে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নির্দেশনায় জেলা যুবলীগ কিছুটা গতি পায়। পদ প্রত্যাশার আশায় বর্তমানে কিশোরগঞ্জ জেলা যুবলীগের নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে জাতীয় ও রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছে।

দীর্ঘ প্রায় এক যুগ পর কিশোরগঞ্জ জেলা যুবলীগের কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিয়ে গত বছরের ১২ জানুয়ারি যুবলীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গত বছরের ১৬ জানুয়ারি থেকে ১৮ জানুয়ারির মধ্যে যুবলীগের প্রধান কার্যালয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশীদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও সর্বশেষ শিক্ষা সনদের ফটোকপিসহ জীবনবৃত্তান্ত জমা দিতে বলা হয়।

এর আগে গত ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।তাতেও ঐসময় জেলা যুবলীগের সম্মেলনের কোন সিদ্ধান্ত আসেনি। আর তাই জাতীয় নির্বাচন পরবর্তী সময়ে এখন জেলা যুবলীগের নতুন কমিটির আশায় নেতাকর্মীরা।

জেলা যুবলীগে নতুন এক চমকের অপেক্ষা করছেন তৃণমূল কর্মীরা। জেলা কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশীদের মধ্যে চলছে শীতল লড়াই। যুবলীগের বর্তমান নেতারা ছাড়াও এ পদ দুটিতে উঠে এসেছে ছাত্রলীগের একাধিক সাবেক নেতাদের নাম। আর পদ প্রত্যাশীদের প্রচার- প্রচারণায় শহরের অধিকাংশ বিলবোর্ডগুলো ছেয়ে গেছে। দীর্ঘদিন পর নতুন কমিটি গঠন প্রক্রিয়া শুরু হলে পদ প্রত্যাশীদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়।তবে এ কার্যক্রম বর্তমানে খানিকটা ঝিমিয়ে পড়ায় আশাহত হয়েছে নেতাকর্মীরা।

তবে কিশোরগঞ্জ জেলা যুবলীগের শীর্ষ পদ পাওয়ার জন্য প্রায় ডজন খানেক নেতা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। পদ প্রত্যাশীরা প্রায় সবাই রাজনীতির মাঠে সরব রয়েছেন। যোগাযোগ রাখছেন উপজেলা পর্যায়ের সম্ভাব্য কাউন্সিলরদের সঙ্গেও।

তবে সব ছাপিয়ে নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে নির্ধারিত হতে পারে কে কে হবেন আগামী দিনের জেলা যুবলীগের কাণ্ডারি। যুবলীগের বর্তমান নেতৃত্ব নাকি ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা এ পদে আসবেন- তা অনেকটাই নির্ভর করছে তাদের ব্যক্তিগত আমলনামার ওপর।সভাপতি-সম্পাদক পদে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকাও দীর্ঘ। আলোচনায় আছেন প্রায় ডজন খানেক নেতার নাম। যারা ইতিমধ্যে পদ প্রত্যাশায় নিজেদের জীবন বৃত্তান্ত কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা দিয়েছেন। যাদের বেশির ভাগই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। জনমনে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে কে হচ্ছেন কিশোরগঞ্জ জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সম্পাদক।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল বলেন, নতুন জেলা কমিটি গঠন প্রক্রিয়া এখনো শুরু হয়নি।মেয়াদউত্তীর্ণ কমিটি গুলি গঠন করতে আরো কিছু সময় লাগবে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭