ইনসাইড বাংলাদেশ

এক মামলায় ঝুলে থাকলো ফখরুল-আব্বাস মুক্তি


প্রকাশ: 25/01/2024


Thumbnail

গত বছরের ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে হামলা ও ভাঙচুর চালানোর মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত।

বিএনপির এই দুই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে হওয়া অন্য মামলাগুলোতে জামিন পেলেও এই এক মামলায় জামিন না পাওয়ায় কারাগার থেকে মুক্তি মিলছে না।

পুলিশের করা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী বলছেন, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনার সঙ্গে বিএনপির এই নেতারা জড়িত নন। আদালত চাইলে তাদের জামিন দিতে পারেন। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনসূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

তথ্যসূত্রে জানা যায়, ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ ঘিরে হামলা, ভাঙচুর, সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হয়। এর মধ্যে পল্টন থানায় আটটি ও রমনা মডেল থানায় তিনটি । বর্তমানে তিনি কারাগারে। তবে এই ১১ মামলার মধ্যে ১০টিতেই তার জামিন মঞ্জুর করেন বিচারিক আদালত। শুধু প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় জামিন আবেদন খারিজ করেন হাইকোর্ট। এ মামলায় আসামিপক্ষ আপিল করবে কি না- তা নিয়েই চলছে পরামর্শ।

গত ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে মির্জা ফখরুলকে আটক করে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় ওইদিনই গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষ জামিন চেয়ে আবেদন করে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত ফখরুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে।

অন্যদিকে গত ২৮ অক্টোবরের সমাবেশ ঘিরে হামলা, ভাঙচুর, সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মোট ১০টি মামলা হয়। গত ২ নভেম্বর দিনগত রাত পৌনে ১টার দিকে গুলশানের ৮১ নম্বর রোডের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

এরপর পল্টন থানার দুই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় তাকে। ওই দুই মামলায় গত ১৭ জানুয়ারি তার জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হক। এরপর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন ছয়টি মামলায় ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় আমীর খসরুর জামিন মঞ্জুর করেন।

সর্বশেষ বুধবার (২৪ জানুয়ারি) পল্টন থানার নাশকতা মামলা ও রমনা থানায় প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলার ঘটনায় করা মামলায় জামিন শুনানির দিন ধার্য ছিল। এদিন পল্টন থানার নাশকতার মামলায় আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। তবে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় আমীর খসরুর জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত।

এ বিষয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ গণমাধ্যমকে বলেন, আটকের পর বিএনপি মহাসচিবকে ১১ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। এরমধ্যে তাকে ১০ মামলায় জামিন মঞ্জুর করেছেন বিচারিক আদালত। তবে, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় তার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। এ মামলায় চেম্বার জজ আদালতে নাকি নিম্ন আদালতে জামিন আবেদন করবো এ বিষয়ে জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করবো।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭