ইনসাইড বাংলাদেশ

কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত, তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৫


প্রকাশ: 27/01/2024


Thumbnail

মাঘের শীতে মাঝারি শৈত্য প্রবাহে জবুথবু ও কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত কুড়িগ্রামের জনপদ। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে হিমেল হাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এ এলাকার মানুষজন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষ।

শনিবার (২৭ জানুয়ারী) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ঘন কুয়াশায় তাপমাত্রা নিম্নগামী হওয়ায় তীব্র শীত কষ্টে পড়েছেন ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমরসহ ১৬টি নদ-নদী তীরবর্তী ৪ শতাধিক চরাঞ্চলের মানুষজন। কনকনে ঠান্ডা ও শীতের দাপটে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে গোটা জনপদ। সঙ্গে হিমেল হাওয়া বাড়িয়ে দিচ্ছে শীতের তীব্রতা। খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নেওয়ার চেষ্টা করছে মানুষজন।

নাগেশ্বরী উপজেলার হোটেল শ্রমিক ফজলু রহমান বলেন, আমি হোটেলে কাজ করি, সকালে পানির কাজ করতে হয়। ঠান্ডার কারণে হাত পা বরফ হয়ে যায়। কয়েকদিন থেকে ঠান্ডা। রাতভর বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরে। ঠান্ডার মাত্রা এখনো কমেনি।

রাজারহাট উপজেলার নাজিম খান ইউনিয়নের আব্দুল খালেক বলেন, ‌‘গত ২০ দিন থাকি ঠান্ডা, কমছেই না। আমরা যারা দিন আনি দিন খাই, তাদের জন্য সমস্যা হইছে।

অন্যদিকে জেলার হাসপাতালগুলোতেও বেড়েছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, সর্দি-কাশিসহ শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। এছাড়া তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে থাকায় জেলার মাধ্যমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ের ২ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, জানুয়ারি মাস জুড়েই তাপমাত্রা এরকম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭