প্রকাশ: 27/01/2024
কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকা অভিমূখে আন্তঃনগর এগারসিন্দুর প্রভাতী/গোধুলি ও কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করে। যার আসন সংখ্যা দুই হাজার সাতটি। এছাড়া প্রতিদিন চট্রগ্রামগামী দুটি ট্রেনের একশো সত্তরটি আসনের টিকিটের বরাদ্দ কিশোরগঞ্জ স্টেশনের যাত্রীদের জন্য।
অতিরিক্ত স্টপেজ আর অত্যধিক যাত্রী উঠায় ট্রেন গুলো লোকাল ট্রেনে পরিনত হয়েছে। নরসিংদী থেকে বিপুল পরিমান যাত্রী ওঠে যা ট্রেনের ধারন ক্ষমতার বাইরে চলে যায়। ফলে দমবন্ধ হয়ে যাবার মত অবস্থায় যাতায়াত করে কিশোরগঞ্জ এর যাত্রীরা।
এর মধ্যে রেলের টিকেট কালো বাজারিদের হাতে চলে যাওয়ায় যাত্রীরা জিম্মি হয়ে গিয়েছে। কিশোরগঞ্জ স্টেশনে ৭ দিন আগে গিয়েও টিকিট পাওয়া যায় না এমন অভিযোগ স্থানীয় প্রশাসন কে দীর্ঘদিন যাবত করা হলেও কার্যকরী পদক্ষেপ না নেওয়ার ফলে টিকেট কালোবাজারী সিন্ডিকেট এর দৌরাত্ন বাড়ছেই। টিকেট কালোবাজারি তে স্টেশন এর কিছু অসাধু কর্মকর্তা এবং স্হানীয় কিছু টিকেট কালোবাজারি জড়িত।
সাধারনত টিকেট কালোবাজারিরা টিকেট প্রতি ২০০/৩০০ টাকা বেশী নিয়ে বিক্রি করে, ঈদ আসলে এর পরিমান আরো বৃদ্ধি পায়।কালোবাজারিরা শোভন শ্রেণী ১২৫ টাকার টিকেট ২৫০/৩০০ টাকা। শোভন চেয়ার ১৫০ টাকার টিকেট ৩০০/৩৫০ টাকা, প্রথম শ্রেণীর ২০০ টাকার টিকেট ৪০০/৫০০ করে বিক্রি করছে বলে জানা যায়।
যাত্রীদের অভিযোগ,কাউন্টারে গিয়ে টিকেট পাওয়া যায় না। তাই অনেক টা বাধ্য হয়েই কাউন্টারে না গিয়ে কালোবাজারিদের কাছে থেকেই টিকেট কিনতে হচ্ছে।
এ ছাড়া ১৩৫ কিলোমিটার পথ যেতে প্রায় ৪ থেকে ৬ ঘন্টা সময় নেয় ট্রেন। এগারসিন্ধুর ট্রেনের সার্ভিসের অবস্থাও বেগতিক।
যাত্রীদের সূত্রে জানা যায়, স্টেশনের পাশের দুএকটি দুকানে এসব কালোবাজারির টিকেট কিনতে পাওয়া যায়, এছাড়া স্থানীয় কয়েকজন টিকেট কালোবাজারির নামও শোনা যায়। প্রায়শই এদেরকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেফতার করে। কিন্তু কিছুদিন পর জামিনে বের হয়ে আবার তারা একই কাজে লিপ্ত হয় বলে টিকেট কালোবাজারি রোধ হচ্ছে না বলে মনে করেন যাত্রীরা।
এ বিষয়ে স্টেশন মাস্টার মিজানুর রহমান বলেন, 'টিকেট কালোবাজারি রোধে আমরা সব সময় কাজ করছি। এখন রেজিস্টেশন কৃত নাম্বারের অনূকূলে টিকেট বিক্রি করা হয়। যার ফলে টিকেট কালোবাজারি অনেকাংশে কমে গেছে। তারপরেও আমরা সার্বক্ষণিক তদারকি করছি কেউ যেন টিকেট কালোবাজারি করতে না পারে'।
তা ছাড়া টিকেট কালোবাজারের সাথে জড়িত কাউকে পাওয়া গেলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও রেলওয়ে পুলিশ তাৎক্ষনিক ব্যাবস্থা নেবে বলেও জানান তিনি।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭