ইনসাইড থট

চিকিৎসা বিজ্ঞান গবেষণার দিক নির্দেশক, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা, বিএমআরসির অগ্রযাত্রায় তিনিই প্রেরণা


প্রকাশ: 27/01/2024


Thumbnail

সাম্প্রতি ‘চিকিৎসা বিজ্ঞান গবেষণার দিক নির্দেশক দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা, বিএমআরসির অগ্রযাত্রায় তিনিই প্রেরণা’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা: শাহ মনির হোসেন। বৈঠক ডা. শাহ মনির হোসেনের আলোচনার চুম্বক অংশ প্রকাশ করা হলো।

জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ সরকারের দায়িত্ব। ১৯৭২ সালে জাতির পিতার দেশে প্রত্যাবর্তনের পর এই স্বাস্থ্যসেবাকে ঢেলে সাজিয়ে বাংলাদেশের সকল জনগণের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্য অবকাঠামো তৈরি করে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের সুব্যবস্থা গঠন করেন। মাত্র তিন সাড়ে বছরের শাসনামলে এ দেশের স্বাস্থ্যসেবা বিশেষত প্রান্তিক মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু যে পরিকল্পনা, উদ্ভাবন ও কর্মকাণ্ডের নেতৃত্ব দিয়েছেন তা অবিশ্বাস্য। চিকিৎসা বিজ্ঞান গবেষণার গুরুত্ব অনুধাবন করে জাতির পিতা বিএমআরসি প্রতিষ্ঠা করেন, যার মূল উদ্দেশ্য চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রমকে উন্নয়ন ও সমন্বয় করা। চিকিৎসা গবেষণা সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং গবেষণার ফলাফলের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করা। চিকিৎসা সেবা উন্নয়নের জন্য চিকিৎসা বিজ্ঞান গবেষণার কোন বিকল্প নেই। চিকিৎসা বিজ্ঞানে যদি গবেষণা না থাকত তাহলে হয়তো এতদিন পৃথিবী জনশূন্য হয়ে যেত। মহামারী কেড়ে নিত বহু প্রাণ। কিন্তু মানুষ রোগকে জয় করেছে। মরণঘাতী ব্যাধিকে বশীভূত করে বিজ্ঞান ও গবেষণার মাধ্যমে অগ্রসর হয়েছে। 

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নের সাথে সাথে প্রায় সকল স্বাস্থ্য সূচকের উন্নতি হয়েছে। যেমন মাতৃ মৃত্যুর হার কমেছে। শিশুমৃত্যুর হার কমেছে, টিকাদান কর্মসূচির কভারেজের ব্যাপক অবনতি হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্যাভি কর্তৃক প্রদত্ত ‘ভ্যাকসিন হিরো’ অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবাকে বিশ্বমানের নিয়ে যেতে। কিন্তু চিকিৎসা গবেষণা বাধাগ্রস্ত হয় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে জাতির পিতার নির্মম হত্যাকাণ্ডের পরে। থেমে যায় আমাদের স্বপ্ন, আমাদের অগ্রযাত্রা, গবেষণার গুরুত্ব হারায়। বিএমআরসি একটি নাম সর্বস্ব গুরুত্বহীন প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। ১৯৯৬ সালে দীর্ঘ ২১ বছর পর দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শুরু হয় মেধার লালন। চিকিৎসা গবেষণার গুরুত্ব দেন শেখ হাসিনা। ‘চিকিৎসা গবেষণার কোন বিকল্প নেই, চিকিৎসা উন্নয়নের জন্য গবেষণাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে’ দার্শনিক রাষ্ট্রপ্রধান শেখ হাসিনার এই উক্তি প্রমাণ করে তার আন্তরিকতা কত গভীর ছিল চিকিৎসা গবেষণার সম্প্রসারণের সহায়তা প্রদান করার জন্য। তিনি এসেই বরাদ্দ বাড়ান গবেষণার জন্য, গবেষণার কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। 

২০০৮ সালে দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়ে গবেষণার জন্য নেন বহুমুখী উদ্যোগ। বর্তমান বিএমআরসি ভবনটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে তৈরি হয়েছে। দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার সক্রিয় সহযোগিতায় চিকিৎসা গবেষণার মৌলিক গবেষণার জন্য তৈরি হয়েছে বঙ্গমাতা ন্যাশনাল সেলুলার এন্ড মলিকুলার রিসার্চ সেন্টার। আমরা আশা করবো বাংলাদেশের চিকিৎসা গবেষণায় এটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বিএমআরসির নেতৃত্বে গবেষণার জন্য এখন যে সকল কর্মকাণ্ড চলছে তার সুফল পেতে আমাদের আরও কিছুদিন হয়তো অপেক্ষা করতে হবে। বাংলাদেশের চিকিসা গবেষণায় বিশ্বমানের অজর্ন করেছে। বহুমূখী, বহুমাত্রিক গবেষণা হচ্ছে বিএমআরসির নেতৃত্বে। এই গবেষণার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে পারলে আমাদের শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই। আমাদের রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আমরা এই বিএমআরসির অবদান আরও উন্নতির দিকে নিয়ে যেতে পারবো।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭