ইনসাইড থট

বঙ্গবন্ধু মানুষের মৌলিক অধিকারের সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করেছেন


প্রকাশ: 27/01/2024


Thumbnail

সাম্প্রতি ‘চিকিৎসা বিজ্ঞান গবেষণার দিক নির্দেশক দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা, বিএমআরসির অগ্রযাত্রায় তিনিই প্রেরণা’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা: শাহ মনির হোসেন। বৈঠক শাহানা পারভীন যে আলোচনা করেছেন তার চুম্বক অংশ প্রকাশ করা হলো।

মহান মুক্তিযুদ্ধের পর সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে এক ধ্বংসস্তুপের ওপর দাঁড়িয়ে সেই সময়ও স্বাস্থ্য খাত নিয়ে জাতির পিতার ভাবনা, পরিকল্পনা, উদ্যোগ সবই ছিল। স্বাস্থ্য মানুষের মৌলিক অধিকারের সাংবিধানিক স্বীকৃতি তিনি প্রদান করেছিলেন। স্বাস্থ্যখাতে বাজেট তিনি বৃদ্ধি করেছিলেন। সবার জন্য স্বাস্থ্য দর্শন এবং তার বাস্তবায়ন পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্তকরণ। তিনি গঠন করেছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল, বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস, জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান নিপসম। চিকিৎসকদের উন্নত চিকিৎসার জন্যআইপিজিএমইআর প্রতিষ্ঠা বর্তমানে যা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় নামে পরিচিত। জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান, ঢাকা শিশু হাসপাতাল, সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা প্রতিষ্ঠান এই বিএমআরসি তিনিই চালু করেছিলেন। দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার স্বাস্থ্যের বহুমাত্রিক উদ্যোগ পরিকল্পনায় সফল হয়েছেন।

চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউট, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট, নিউরো ইনস্টিটিউট সহ একাধিক বিশ্বমানের বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপন করেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলকে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে স্থাপন করেছেন। একাধিক মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের মাধ্যমে চিকিৎসকদের শিক্ষা সহজীকরণ করেছেন। ওষুধ উৎপাদনে দেশ আজ স্বাবলম্বী। বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্ভাবনী শক্তি আজ বিশ্বের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে রোল মডেল হিসেবে প্রতিপন্ন এবং প্রশংসিত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গবেষণা বান্ধব। তিনি চিকিৎসা গবেষণাকে সবসময় অনেক বেশি উৎসাহ দেন। তার উৎসাহ উদ্দীপনাকে নিয়ে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল। তারই দিক নির্দেশনায় এবং বিএমআরসির চেয়ারম্যান শ্রদ্ধেয় ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী স্যারের প্রচেষ্টায় বিএমআরসি আজ অনেক বেশি সমৃদ্ধশালী। পিতার ভিত্তি, কন্যার ব্যাপ্তি এই ব্যাপ্তি আজ ছড়িয়েছে তিন প্রজন্মে। পিতা মুজিব, বঙ্গবন্ধু সুকন্যা শেখ হাসিনা যে ভোরের আলোয় জেগে ছিলেন সেই একই আলো আলোকিত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য কন্যা সায়মা ওয়াজেদ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক হলেন সায়মা ওয়াজেদ। বিশ্বের এই অঞ্চলের ৩৫ ভাগ মানুষ উন্নত স্বাস্থ্য থেকে অনেকটাই পিছিয়ে আছে। আমার বিশ্বাস, সায়মা ওয়াজেদ তার যোগ্য নেতৃত্বে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্বাস্থ্য সেবার এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবেন। 


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭