ইনসাইড থট

৫২ বছর ইতিহাসে মাত্র দুজন ব্যক্তি বাংলাদেশকে সঠিক দিক নির্দেশনা দিয়েছিল


প্রকাশ: 27/01/2024


Thumbnail

সাম্প্রতি ‘চিকিৎসা বিজ্ঞান গবেষণার দিক নির্দেশক দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা, বিএমআরসির অগ্রযাত্রায় তিনিই প্রেরণা’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা: শাহ মনির হোসেন। বৈঠক সৈয়দ বোরহান কবীর যে আলোচনা করেছেন তার চুম্বক অংশ প্রকাশ করা হলো।

আমরা যদি লক্ষ্য করি বাংলাদেশের দিক নির্দেশনার ক্ষেত্রে দুজন নেতা শুধুমাত্র এই ৫২ বছর ইতিহাসের সঠিক দিক নির্দেশনা দিয়েছিল জনগণকে। আর বাকি সকল নেতৃত্ব বাংলাদেশকে ব্যর্থতা এবং অন্ধকারের দিকে নিয়ে গেছে। যে দুজন নির্দেশক পথ প্রদর্শক নেতা আমাদের সঠিক পথে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের একজন অবিসংবাদিত ভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। অন্যজন দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। সঠিক নির্দেশনা না থাকলে একটি রাষ্ট্র কোন অন্ধকার গহ্বরে যেতে পারে ৭৫ থেকে ৯৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ তার প্রমাণ। নেতৃত্ব শুধুমাত্র রাষ্ট্রের নেতৃত্ব নয়, নেতৃত্বে একজন পরিবারে যদি সঠিক অভিভাবক না থাকে সেই পরিবার সঠিক পথে পরিচালিত হয় না। একটি সমাজে যদি সঠিক নেতৃত্ব না থাকে, সমাজ ঠিক ভাবে চালিত হয় না। আমরা বিএমআরসির কথাই যদি ধরি ২৫ জুলাই ২০১৬ সালে দায়িত্ব নিয়েছিলেন অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী। তার আগের বিএমআরসি এবং তার নেতৃত্ব করার পর বিএমআরসির পার্থক্য যদি দেখি আকাশ পাতাল পার্থক্য এবং এখানেই সঠিক নেতৃত্বের যোগ্যতা, সঠিক নেতৃত্বের আলোকবর্তিকার তাৎপর্য আমরা অনুভব করতে পারব। আর যিনি জাতীয় নেতা যিনি রাষ্ট্রের নেতা তার দায়িত্ব হল প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানে সঠিক নেতৃত্ব নির্বাচন করা এবং সেই নেতৃত্বকে একটি পথ নির্দেশনা দেওয়া, যে কাজটি করছেন দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। 

রাজনীতি হল আসলে ড্রাইভিং সিট। যদি একটি দেশের রাজনীতি ঠিক না থাকে, গণতন্ত্র না থাকে তাহলে এ দেশের কোন উন্নয়ন, কোন অগ্রযাত্রার সঠিক পথে পরিচালিত হয় না। দার্শনিক কথাটা এই কারণে গুরুত্বপূর্ণ যে বিএমআরসির মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে একমাত্র দার্শনিক নেতা ছাড়া কেউই গুরুত্ব দেন না। তারা মনে করেন যে এগুলো অতি দরকার নেই। আমার রাস্তা বানাতে হবে, আমার বাড়ি বানাতে হবে। আমার সিঙ্গাপুরের টাকা জমাতে হবে। আমার আমেরিকায় টাকা জমাতে হবে। আমার রাষ্ট্রক্ষমতা মানে লুটপাট, কিন্তু দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা বুঝেছিলেন যে, একটি কল্যাণকামী রাষ্ট্র যদি আমরা গড়তে চাই তাহলে অবশ্যই গবেষণাকে গুরুত্ব দিতে হবে এবং সেই গবেষণাটা সার্বিক গবেষণার ক্ষেত্রে চিকিৎসা বিজ্ঞান গবেষণাকে আমার কেন্দ্রীভূত জায়গায় রাখতে হবে। আমাদের একটি জনগোষ্ঠি তৈরি করতে হবে। যারা প্রযুক্তি নির্ভর, যারা বিজ্ঞান মনস্ক। আর সেই জনগোষ্ঠী তৈরি হবে বিএমআরসিকে নেতৃত্বে। আমি অত্যন্ত আশাবাদী যে, বিএমআরসির যে বর্তমান নেতৃত্ব রয়েছে তারা এই নতুন অভিযাত্রায় বিএমআরসিকে অবশ্যই সেই লক্ষ্যে নিয়ে যাবে। সে লক্ষ্য শেখ হাসিনা চান, যে লক্ষ্য রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা স্থির করেছেন এবং যেই লক্ষ্য অর্জনে স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুব রহমান। যে লক্ষ্য অর্জনের জন্য ৩০ লাখ শহীদ প্রাণ দিয়েছিল।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭