কোনওমতো লড়াইয়ের পুঁজি পেয়েছে সিলেট

সময়টা বেশ কঠিন যাচ্ছে সিলেট স্ট্রাইকার্সের। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দিনের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিরুদ্ধে আগে ব্যাট করে টেনেটুনে ১৩৭ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে সিলেট। এবারের আসরে এখনও পর্যন্ত কোনো ম্যাচ জিততে পারেনি সিলেট। 

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় সিলেট স্ট্রাইকার্স। তবে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই হোঁচট খেয়েছে সিলেট। অল্প রানের মধ্যেই সাজঘরে ফিরেছেন দুই ওপেনার মোহাম্মদ মিঠুন এবং নাজমুল হোসেন শান্ত। ৪ বলে ১ রান করে আউট হন মিঠুন। একই ওভারে আউট হন শান্তও। ৭ বলে ৫ রান করেন তিনি। মাত্র ৮ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারিয়ে শুরুতেই কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় সিলেট।

এরপর দলের হাল ধরেন জাকির হাসান এবং হ্যারি টেক্টর। ব্যাট হাতে বেশ সাবলীল মনে হয়েছে দুজনকে। তাদের দারুণ ব্যাটিংয়ের ফলে কিছুটা আলোর দিশা পায় সিলেট। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৫ রান তোলে সিলেট। পাওয়ারপ্লে শেষেও জাকির-টেক্টরের হাত ধরে এগিয়েছে সিলেটের ইনিংস। শুরুর ধাক্কার পর বেশ পরিপক্কতার সাথেই পরিস্থিতি সামাল দেন দুজন।

তবে দলের ৬৫ রানের মাথায় থামতে হয় জাকিরকে। ২৬ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। এরপর রায়ান বার্লকে সঙ্গী করে এগিয়ে যেতে থাকেন টেক্টর। খুব আগ্রাসী না হলেও ব্যাট হাতে দায়িত্বশীল ছিলেন দুজন। যার ফলে টপাটপ উইকেট পড়েনি। ফিফটির খুব কাছে চলে গেলেও শেষমেশ ফিফটিটা ছোঁয়া হয়নি টেক্টরের। সাজঘরে ফেরার আগে ৪২ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।

বাকি সময়ে বার্লের সাথে যোগ দেন আরিফুল হক। দুজনের ব্যাটে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারের খেলা শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় সিলেট। ১২ বলে ১৭ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে টিকে ছিলেন আরিফুল। অন্যদিকে বার্ল অপরাজিত ছিলেন ২৯ বলে ৩৪ রান করে।  

চট্টগ্রামের হয়ে ৩ উইকেট নেন বিলাল খান। এছাড়া ১ উইকেট তোলেন নিহাদউজ্জামান।