প্রকাশ: 29/01/2024
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে পড়তে হল না তেমন কোনো চ্যালেঞ্জের সামনে। বাংলাদেশ
প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দিনের প্রথম ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে হেসেখেলে ৮ উইকেটে
হারিয়েছে চট্টগ্রাম। দারুণ এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেও উঠে গেছে চট্টগ্রাম।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত
নেয় সিলেট স্ট্রাইকার্স। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় সিলেট। অল্প রানের মধ্যেই
সাজঘরে ফিরে যান দুই ওপেনার মোহাম্মদ মিঠুন এবং নাজমুল হোসেন শান্ত। ৪ বলে ১ রান করে
আউট হন মিঠুন। একই ওভারে আউট হয়েছেন শান্তও। ৭ বলে ৫ রান করেন তিনি। মাত্র ৮ রানের
মধ্যে দুই ওপেনারকে হারিয়ে শুরুতেই কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় সিলেট।
এরপর বেশ শক্ত করে দলের হাল ধরেন জাকির হাসান এবং হ্যারি টেক্টর। ব্যাট
হাতে বেশ সাবলীল মনে হয়েছে দুজনকে। তাদের দারুণ ব্যাটিংয়ের ফলে কিছুটা আলোর দিশা পায়
সিলেট। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৫ রান তোলে সিলেট। পাওয়ারপ্লে শেষেও জাকির-টেক্টরের
হাত ধরে এগিয়েছে সিলেটের ইনিংস। শুরুর ধাক্কার পর বেশ পরিপক্কতার সাথেই পরিস্থিতি সামাল
দেন দুজন।
তবে দলের ৬৫ রানের মাথায় থামতে হয় জাকিরকে। ২৬ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলে
সাজঘরে ফিরে যান তিনি। এরপর রায়ান বার্লকে সঙ্গী করে এগিয়ে যেতে থাকেন টেক্টর। খুব
আগ্রাসী না হলেও ব্যাট হাতে দায়িত্বশীল ছিলেন দুজন। যার ফলে টপাটপ উইকেট পড়েনি। ফিফটির
খুব কাছে চলে গেলেও শেষমেশ ফিফটিটা ছোঁয়া হয়নি টেক্টরের। সাজঘরে ফেরার আগে ৪২ বলে ৪৫
রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
বাকি সময়ে সিলেট ইনিংস এগিয়েছে রায়ান বার্ল এবং আরিফুল হকের ব্যাটে। ২৯
বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন বার্ল। অন্যদিকে আরিফুল খেলেন ১২ বলে ১৭ রানের অপরাজিত
ইনিংস। নির্ধারিত ২০ ওভারের খেলা শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান তোলে সিলেট।
বল হাতেও উজ্জ্বল ছিলেন চট্টগ্রামের বোলাররা। চট্টগ্রামের হয়ে ৩ উইকেট নেন বিলাল খান। এছাড়া
১ উইকেট শিকার করেন নিহাদউজ্জামান।
জবাব দিতে নেমে শুরু থেকে দেখেশুনে আগাতে থাকেন চট্টগ্রামের দুই ওপেনার
তানজিদ হাসান তামিম এবং আভিষকা ফার্নান্দো। উদ্বোধনী জুটি থেকে রান আসে ২৩। ১২ বলে
১৭ রান করে আউট হন আভিষকা।
এরপর ক্রিজে গিয়ে তানজিদের সাথে জুটি বাঁধেন টম ব্রুস। দুজনের দায়িত্বশীল
ব্যাটিংয়ে শক্ত ভীত পায় চট্টগ্রামের ইনিংস। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে আভিষকার উইকেট হারিয়ে
৪৭ রান তোলে চট্টগ্রাম। পাওয়ারপ্লে শেষেও ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে ছিলেন তানজিদ এবং
ব্রুস। দুজনের সাবলীল ব্যাটিংয়ে ধীরুসুস্থে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে চট্টগ্রাম।
সিলেটের বোলারদের তেমন কোনো সুযোগ না দিয়ে রান বাড়িয়ে নিতে থাকেন তানজিদ
এবং ব্রুস। তাদের কার্যকরী ব্যাটিংয়ের ফলে জয়ের খুব কাছে চলে যাচ্ছিল চট্টগ্রাম। শেষমেশ
ফিফটিও ছুঁয়ে ফেলেন তানজিদ। কিন্তু ফিফটি ছুঁয়েই হয়েছেন আউট। দলের ১১২ রানের মাথায়
৪০ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে যান তানজিদ। ভাঙে তার সাথে ব্রুসের ৮৯ রানের
জুটিটা।
এরপর শাহাদাত হোসেন দিপুকে সাথে নিয়ে এগিয়েছেন ব্রুস। শেষ দিকে তেমন কোনো
বিপদ হয়নি। হেসেখেলেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ১৪ বল হাতে রেখে
৮ উইকেটের জয় পায় চট্টগ্রাম। ফিফটি হাঁকিয়ে ৪৪ বলে ৫১ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে অপরাজিত
ছিলেন ব্রুস। অন্যদিকে ১১ বলে ১৩ রান করে টিকে ছিলেন দিপু। সিলেটের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন হ্যারি টেক্টর
এবং তানজিম হাসান সাকিব।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭