ইনসাইড থট

‘সায়মার নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে বিশ্ব বাংলাদেশের সাফল্য গাঁথা জানবে’


প্রকাশ: 31/01/2024


Thumbnail

সাম্প্রতি ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক প্রধান পদে সায়মার অভিষেক স্বাস্থ্যখাতের গৌরব, গর্বিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর। বৈঠক অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী যে আলোচনা করেছেন তার চুম্বক অংশ প্রকাশ করা হলো।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা পেয়েছিলাম স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। যার স্বপ্ন পূরণের মাধ্যমেই আমরা একটি আধুনিক উন্নত বাংলাদেশ বির্নিমাণের পথে এগিয়ে যাচ্ছি। জাতির পিতার সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে বিরামহীন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে তিনি নিয়েছেন এক অনন্য উচ্চতায়। এর মধ্যে আমাদের অর্জনে আরেকটি পালক যুক্ত হলো। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে আনুষ্ঠানিক ভাবে যাত্রা শুরু হলো সায়মা ওয়াজেদের। এর মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশে বিশ্ব স্বাস্থ্যের নীতি নির্ধারক হিসেবে জায়গা করে নিলো। এটি বাংলাদেশের জন্য গর্বের, বাংলাদেশের অনন্য অর্জন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং নীতি নির্ধারণী পদটির জন্য একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। অনেক গুলো ধাপ পেরোতে হয়। প্রথমত, যিনি প্রার্থী হবেন, তার স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক পরিচিতি থাকতে হয়। অসাধারণ কর্মকাণ্ডের জন্য বিশ্বে তাকে নিয়ে চর্চা বা আলোচনা থাকতেই হবে। এই পদে এমন ব্যক্তিরাই নির্বাচিত হন যারা তাদের কর্মের জন্য প্রশংসিত ও পরিচিত। বিশ্বে অটিজম নিয়ে সায়মা একজন পথ প্রদর্শক। বিশ্বে অটিজম ইস্যুকে সামনে এনেছেন সায়মা। তার কারণেই জাতিসংঘ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় অটিজম ইস্যুটি অগ্রাধিকার তালিকায় স্থান পায়। 

দ্বিতীয় বিষয়টি হলো, যে দেশ থেকে একজন প্রার্থী হচ্ছেন, সেই দেশের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে অবস্থান কি। দেশটি যদি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে অনগ্রসর হয়, ব্যর্থ হয় তাহলে সেই দেশের প্রার্থীদের ব্যাপারে অন্যান্য সদস্য দেশের আগ্রহ কম থাকে। তাই একজন যোগ্য ব্যক্তি হলেই কেউ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক প্রধান পদে নির্বাচিত হতে পারেন না, যদি না ঐ দেশ স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কর্মকাণ্ড বিশ্বে একটি অবস্থান তৈরী করে। দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নতি করেছে জন্যই সায়মার পক্ষে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এরকম একটি নীতি নির্ধারণী পদে নির্বাচিত হওয়া সম্ভব হয়েছে।

শেখ হাসিনার কন্যা এই পরিচয় ছাপিয়ে সায়মা আপন আলোয় উদ্ভাসিত হয়েছে। নিজের মেধা ও মননের চর্চা করে বিশ্ব নাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন নিজেকে। এজন্য তাকে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। অটিজম ইস্যুকে তিনি নিজে আত্নস্থ করেছেন। গোটা বিশ্ব এই ইস্যুকে তুলে ধরেছেন। সায়মা জাতির পিতার দৌহিত্রী। প্রধানমন্ত্রীর কন্যা। এতো কষ্ট না করলেও তার কিছু হতো না। আরামে আয়েশে তিনি দিন কাটাতে পারতেন। কিন্তু তার মা তাকে সেই শিক্ষা দেননি। সায়মার আজকের এই অবস্থানে একজন আদর্শ মায়ের ভূমিকা তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সায়মার এই দায়িত্ব গ্রহণ, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অগ্রযাত্রার স্বীকৃতি। আমি মনে করি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় সায়মার দায়িত্ব গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত আরও এগিয়ে যাবে। সায়মার নেতৃত্বে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে নতুন অভিযাত্রায় বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশ যেমন বিশ্বের অন্য দেশের অভিজ্ঞতা গ্রহণ করবে, তেমনি বিশ্ব জানবে বাংলাদেশের সাফল্য গাঁথা।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭