ইনসাইড থট

‘রাজাকার মার্কা বুদ্ধিজীবীদের আমাদের কোন প্রয়োজন নেই’


প্রকাশ: 05/02/2024


Thumbnail

একটি সংবাদ অনেকে জানেন না তাই আমি তাদের জানাতে চাই। যখন আমি জানতে পারলাম যে, জো বাইডেন দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে চিঠি লিখেছেন এবং সেই চিঠি ইতোমধ্যে সবাই দেখেছেন। তখন আমি সাথে সাথে আমার পরিচিত বেশ কিছু হাসপাতালে সিসিইউ ইউনিটকে ফাঁকা রাখার অনুরোধ জানালাম। কারণ হচ্ছে এই যে, আমি দেখলাম যে সুশীল সমাজের অনেকেই এখন বুকে ব্যথা নিয়ে অথবা হার্টে প্রবলেম নিয়ে ভর্তি হবেন। যদি আমাদের সিসিইউ ফাঁকা না থাকে তাহলে অনেকে মারা যাবে। যেমন বদিউল আলম মজুমদার। উনি লিখেছিলেন যে, জীবনে কোনোদিন দেবে (ভোটের স্বীকৃতি) না। এরকম সকলেই একের পর এক ভোটের স্বীকৃতি দিয়েছে। যাই হোক শেষ পর্যন্ত অনেকের হয়তো বুকে ব্যথা হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এরকম সংবাদ এখনো আমি পাইনি। সুতরাং আমি ধরে নিচ্ছি যে তারা হাসপাতালে ভর্তির মতো অবস্থায় যায়নি। কিন্তু তাদেরকে আমার জিজ্ঞাসা করার ইচ্ছা যে, এখন তারা কী বলবেন? বা তারা এখন কী করবেন? তাদের যারা টাকা দিত, দাতারাও এখন বলবে যে, তোমরা তো বাবা কোনো কাজের না। যা বল তার একটাও তো কোন কাজে লাগে না। তারেক জিয়া তখন টাকা বন্ধ করে দিবে এই ভেবে যে, তোমাদের টাকা দিয়ে লাভ কী? 

তবে তাদের জন্য একটা পথ খোলা আছে। সেটা হলো, ভিয়েতনাম ওয়ারের পরে যারা আমেরিকার দালালি করেছিল তাদের অধিকাংশকেই আমেরিকা নিয়েছিল এবং সেখানে স্থায়ীভাবে থাকার বন্দোবস্ত করে দিয়েছিল। এর মধ্যে সবাই শিক্ষিত এবং আমেরিকায় গেলে সবাই মোটামুটি ভালো জীবন যাপন করতে পারবেন। এবং, এই সুযোগে নিশ্চয়ই আমেরিকা সরকার নতুন আইন পাশ করবে যে, সবাইকে গ্রিনকার্ড দিয়ে দেবে এবং স্পেশাল অর্ডার মতে তাদেরকে হয়তো সিটিজেনশিপও দিয়ে দেবে। সুতরাং, একসাথে তারা তাদের সাঙ্গপাঙ্গ সবাইকে নিয়ে এবং এর সাথে যারা এদিক-ওদিক পালিয়ে বা লুকিয়ে আছে তাদেরকেও নিয়ে যেতে পারেন।

এটা একটা ভালো সুযোগ। আমার মনে হয়, আমেরিকা সুশীল সমাজের প্রতি যে কথা দিয়েছিলেন, সেইসব কথা রাখবে। যদিও এখানে একটা কথা বহুল প্রচলিত আছে যে, ইরানের শাহ্ একবার বলেছিলেন যে, আমেরিকার মতো বন্ধু থাকলে আর কোনও শত্রুর প্রয়োজন হয় না। সুতরাং, আমি অন্যভাবে যদি বলি, আমাদের দেশের কতিপয় সুশীল সমাজ যা এবং সমাজে যে সুশীল রয়েছেন তাদের নামের আগে রাজাকার সুশীল সমাজ যোগ করতে হবে। কারণ, একাত্তরের রাজাকাররা যা করেছিল আমাদের সুশীল সমাজ দেশের গণতন্ত্রকে সেই ধরনের ধ্বংস করল।

রাজনৈতিকভাবে এবং রাজনৈতিক বিশ্বাসের দিক থেকে বিএনপির সাথে আমার অবশ্যই মতপার্থক্য আছে। তারা এখন অন্য মেরুর। কিন্তু, একটি রাজনৈতিক দলকে একদম ধ্বংস করে দিতে তো কেউ চায়নি। এমনকি দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা চান না। কারণ, একটি শক্তিশালী বিরোধী দল না থাকলে ডেমোক্রেসি কোনোদিন ভালোভাবে চলে না। গণতন্ত্রকে সঠিকভাবে চালাতে হলে প্রয়োজন বিরোধী দলের। এই বিরোধী দলকে ধ্বংস করল কারা? বিরোধী দল নিজে। 

বিএনপি মূলত বিএনপি-জামায়াত ওরা সব মিলে, ওদের ছোটখাটো সংগঠনও একই গ্রুপের। আর এদেরকে ধ্বংস করল কারা? এই আমাদের তথাকথিত সুশীল সমাজরা। এরা এমন এক একটা প্রবন্ধ লেখা শুরু করলো যে, এ দেশে নির্বাচন হবে না। সেই গ্রামের গল্পের মত যে, তোর ছেলে পাস করবে না, পাস করে গেছে। চাকরি পাবে না, পেয়েছে। বলে বেতন পাবেন না, বেতনও পেয়েছে। এরপর বলে, বেতনের টাকা চলবে না। তাই এবার সে রকমভাবেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হল। তারা একের পর এক লিখে চলেছে। আর আমিও বাংলা ইনসাইডারে তিন বছর পরিষ্কারভাবে লিখেছি এবং এগুলো সব ডকুমেন্ট আছে। আমি আগেই বলেছি, সঠিক সময়ে নির্বাচন হবে, সঠিকভাবে নির্বাচন হবে এবং আমেরিকা আমাদের কোন রকম ভিসার ভয় দেখাবে না। কারণ, এইটুকু কমনসেন্স আমার আছে। আমি চোখের ডাক্তার হিসাবেও বুঝলাম যে, এখন জিওপলিটিক্যালের যা অবস্থা, সেই অবস্থায় বাংলাদেশের উপরে আমেরিকার কোন কঠিন নেওয়ার ক্ষমতা নেই। এখানে ক্ষমতার এক গল্প বলতেই হয় যে, একজন গ্রামে গেছে বেড়াতে, সে ট্রেনলাইনে সিগনাল দেয় লাল-সবুজ পতাকা উড়িয়ে মানে গার্ড। সে তার বউকে বলছে যে, জানো আমার অনেক ক্ষমতা আছে। বউ বলছে, কি ক্ষমতা? ওই লোক বললেন, আমি যে কোন গাড়ি থামিয়ে দিতে পারি। বিয়ের পর যখন গ্রামে গেছে তখন সে একটা লাল পতাকা দেখিয়ে গাড়ি থামিয়েছে। এরপর ওই গাড়ি থেকে নেমে একজন গার্ড জিজ্ঞাসা করলেন কেন লাল পতাকা দেখালেন। উত্তরে ট্রেনের গার্ড বললেন, আমি নতুন বিয়ে করেছি। বউকে ক্ষমতা দেখানোর জন্য আমি লাল পতাকা দেখিয়ে গাড়ি থামিয়েছি। এরপর গাড়ির গার্ড ট্রেনের গার্ডকে ইচ্ছে মতো ধোলাই করেছেন। এরপর সবাই যখন চলে গেছে, তখন ট্রেনের গার্ডের বউ জিজ্ঞাসা করছে, তোমার তো ক্ষমতা দেখলাম তো কেন তোমাকে মারধর করলো? তখন ট্রেনের গার্ড বলছে, আমি আমার ক্ষমতা দেখিয়েছি, তারা তাদেরটা দেখিয়েছে। তো, আমাদের সুশীল সমাজের অবস্থাও তেমন। এরা নিজেদের ইচ্ছামতো, টাকা দিয়ে যা বলতে বলা হয়েছে তাই বলেছে। আমার মতে, এদের যদিও বুদ্ধিবৃত্তিক লোক বলা হয়, আসলে তারা তা নয়। তারা কানিং বা ধূর্ত হতে পারে, কিন্তু বুদ্ধিসম্পন্ন কি না তা আলাদা বিষয়। তো আমাদের তথাকথিত যাদের রাজাকার সুশীল সমাজকে বলা চলে ধূর্ত কিন্তু তারা বুদ্ধিবৃত্তিক নয়। যে কারণে এই সকল তথাকথিত রাজাকারমার্কা বুদ্ধিজীবীদের আমাদের কোন প্রয়োজন নেই। তারা যার যার খুশি মতো অন্য দেশে চলে গেলেই বাংলাদেশের উন্নতি আরও বেশি হবে এবং আমরা সুখে-শান্তিতে থাকবো।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭