ইনসাইড বাংলাদেশ

সংসদীয় কমিটিতেও ঠাঁই হলো না জাহিদ মালেকের


প্রকাশ: 05/02/2024


Thumbnail

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয় গত ৩০ জানুয়ারি। মাঝে কিছু দিন সংসদ মুলতবি দিয়ে গতকাল রোববার থেকে আবার সংসদ অধিবেশন শুরু হয়েছে। এ সময় সবার নজর ছিল সংসদের দিকে! কারণ ইতোমধ্যে নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সংসদের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, চিফ হুইপ ও অন্য পাঁচ হুইপ নিয়োগও সম্পন্ন হয়েছে। এরপর সবার আগ্রহ ছিল জাতীয় সংসদের বিভিন্ন সংসদীয় কমিটির গুলো দিকে। কে কোন কমিটির সভাপতি হচ্ছেন তা নিয়ে সবার আগ্রহ।

প্রধানমন্ত্রীসহ ৩৭ সদস্যের এ মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছে অনেক নতুন মুখ। পাশাপাশি ছিটকে পড়েছেন সরকারের অনেক হেভিওয়েট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী। সেজন্য এবার সংসদীয় স্থায়ী কমিটির দিকে তাকিয়ে ছিলেন অনেক বাদপড়া মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী। কমিটির সভাপতি হতে নানা মহলে যোগাযোগ ও তদবিরও করে আসছিলেন অনেকেই। অবশেষে গতকাল জাতীয় সংসদের ১২টি স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয় এবং আজকে আরও ১৬ টি স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়েছে।

অতীতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিগুলো পর্যালোচনা করে দেখা গেছে যে, সাধারণত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি করা হয় সদ্য সাবেক সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীকে। দায়িত্ব প্রাপ্ত নতুন মন্ত্রীকে সহযোগিতা করতেই সদ্য সাবেক মন্ত্রীকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি করার রেওয়াজ আছে। তবে এবার এর কিছুটা ব্যতিক্রম লক্ষ্য করা গেছে। অধিকাংশ সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে সদ্য সাবেক মন্ত্রীদের স্থান হলেও এবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে ঠাঁই পাননি সদ্য সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি করা হয়েছে শেখ ফজলুল করিম সেলিমকে।

অনেকে ধারণা করছেন নানা রকম আলোচনা সমালোচনার জন্যই হয়তো জাহিদ মালেক শেষ পর্যন্ত ঠাঁই পাননি। কারণ বিভিন্ন সময় তার বিতর্কিত কর্মকাণ্ড এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ সরকারকে বিব্রত করেছিল। তার নেতৃত্বে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল করোনা কালে। বিশেষ করে করোনার সময় কেনাকাটায় অনিয়ম, বিশৃঙ্খলার একটা চূড়ান্ত রূপ ধারণ করেছিল। এছাড়াও মন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেও তিনি ডেঙ্গু মোকাবেলার সময় বিদেশে গিয়েছিলেন তথ্য গোপন করে। বছরজুড়েই তাকে নিয়ে নানা রকম আলোচনা সমালোচনা ঝড় বয়ে যেত। এ রকম পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যখাতে তার সিন্ডিকেটের কথাও শোনা যেত। মন্ত্রিসভায় তার বাদ যাওয়াটা ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। আর সর্বশেষ তিনি সংসদীয় কমিটি থেকেও বাদ পড়লেন।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭