প্রকাশ: 06/02/2024
সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার তিন
বছর পর এই মুহূর্তে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির মুখোমুখি আছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে জান্তা সরকার ক্ষমতা দখলের পর থেকেই চলছিল উত্তেজনা, তবে এমন
কোণঠাসা পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীকে এর আগে আর পড়তে হয়নি। বর্তমানে সামরিক বাহিনী এমন
সশস্ত্র প্রতিরোধের মুখে পড়েছে, যা এর আগে মিয়ানমারের ইতিহাসে কখনও ঘটেনি। সামরিক বাহিনীর
মধ্যেও নজিরবিহীন আত্মসমর্পণের ঘটনা দেখা গেছে। সামরিক বাহিনীর নেতারা সামরিক পরাজয়
মানতে বাধ্য হয়েছেন।
গত অক্টোবর থেকেই জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর
আক্রমণ শুরু হয়। আর এর পর থেকেই সামরিক টহল চৌকি, অস্ত্রাগার ও বেশ কিছু শহরের নিয়ন্ত্রণ
চলে যায় বিদ্রোহীদের হাতে।
সবশেষে ঘুমধুম সীমান্তে বিদ্রোহীদের আক্রমণের
মুখে মিয়ানমারের শতাধিক সীমান্তরক্ষী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, যাদের অনেকেই আহত। শুধু
বাংলাদেশ নয়, প্রতিবেশি আরও দুটি দেশ চীন ও ভারতেও মিয়ানমারের সেনারা এর আগেও আশ্রয়
নিয়েছে। এ ধরনের জয় বিদ্রোহী অন্য গোষ্ঠীগুলোকেও সামরিক বাহিনীর ওপর আক্রমণে উৎসাহিত
করেছে।
শক্তিমত্তায় পরিপূর্ণ বিদ্রোহীগোষ্ঠী:
ভয়েস অব আমেরিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,
মিয়ানমারের বিরোধী সশস্ত্র দলে জাতিগত ২০টি গোষ্ঠীর এক লাখ ৩৫ হাজার সদস্য, ন্যাশনাল
ইউনিটি গভর্নমেন্টের (এনইউজি) আওতায় পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের ৬৫ হাজার সদস্য এবং সিভিল
ডিসঅবিডিয়েন্ট মুভমেন্টের অধীনে প্রায় দুই লাখের মতো কর্মী রয়েছে।
এনইউজির আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক উপমন্ত্রী
ডেভিড গাম অংয়ের আগে ভয়েস অব আমেরিকাকে বলেন, ‘‘স্বায়ত্বশাসনের জন্য লড়ছে এমন কয়েকটি
জাতিগত গোষ্ঠীর সাথে ২০২২ সালে জোট গঠন করেছে এনইউজি। তাদের প্রায় দুই লাখ সেনার একটি
বাহিনী রয়েছে যা আরো বাড়তে থাকবে। এটা জেনারেল মিন অং হ্লেইংয়ের বাহিনীকে মোকাবিলা
করার জন্য যথেষ্ঠ।’’
অন্য দিকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীতে প্রায়
চার লাখ সেনা রয়েছে বলে মনে করা হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ইন্সটিটিউট ফর পিসের তথ্য
অনুযায়ী, দেশটির সামরিক বাহিনীতে প্রায় দেড় লাখের মতো সেনা রয়েছে। এর মধ্যে যুদ্ধের
জন্য প্রস্তুত বা কমব্যাট রেডি ৭০ হাজার সেনাও অন্তর্ভুক্ত।
মিয়ানমারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে কাজ
করা বিশেষজ্ঞদের একটি দল যারা স্পেশাল অ্যাডভাইসরি কাউন্সিল ফর মিয়ানমার নামে পরিচিত।
তাদের তথ্য অনুযায়ী, দেশটির জান্তা সরকারের ‘‘পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ’’ রয়েছে মাত্র ১৭ শতাংশ
ভূখণ্ডের ওপর, ২৩ শতাংশ ভূখণ্ড নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। আর বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর দখলে
রয়েছে ৫২ শতাংশের মতো ভূখণ্ড। তবে এ তথ্য নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বিবিসির বার্মিজ সার্ভিসের সহকারী সম্পাদক
আয় থু সান বলেছেন, ২০২৩ সালের অক্টোবরে তিনটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর জোট থ্রি ব্রাদারহুড
অ্যালায়েন্সের আলোচিত ‘‘অপারেশন ১০২৭’’ শুরুর পর থেকে এখনও পর্যন্ত তারা দেশটির ৩০টি
শহরের দখল নিয়েছে।
অপরদিকে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারের
সামরিক বাহিনী গত তিন বছরে দেশের অনেক স্থানের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। সামরিক বাহিনীর
বহু নেতারা সামরিক পরাজয় মানতে বাধ্য হয়েছেন।
বিদ্রোহীদের শক্তিমত্তার উৎস:
যুক্তরাষ্ট্রের ইন্সটিটিউট অব পিসের মূল্যায়নে
বলছে, মিয়ানমারে বর্তমানে কর্তৃত্ববাদ বিরোধী যে প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে তা এখনও পর্যন্ত
সফল বলেই মনে হচ্ছে। দেশটিতে এর আগের গণতন্ত্র-পন্থী আন্দোলনের তুলনায় বর্তমানে চলমান
প্রতিরোধ আন্দোলন জাতীয় অভ্যুত্থানে রূপ নিয়েছে এবং এই প্রতিরোধ আন্দোলন বিভিন্ন শ্রেণির
মধ্যে এমনভাবে ছড়িয়ে পড়েছে যারা জান্তা সরকারকে উৎখাতে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে
রাজি।
প্রতিরোধ আন্দোলন সফল করার জন্য এটা ভিত্তি
হিসেবে কাজ করে এবং কাঠামোগত বাধা ও তেমন কোনও আন্তর্জাতিক সমর্থন ছাড়াই তা বাস্তবায়িত
হচ্ছে। সংস্থাটি বলছে, টানা দুই বছর ধরে ছোট ছোট সফলতা পাওয়ার পর এই আন্দোলন ২০২৩ সালের
অক্টোবর থেকে সুসংগঠিতভাবে দেশজুড়ে সামরিক অভিযান পরিচালনা শুরু করেছে, যা এখন আসলেই
জান্তা সরকারের শাসনকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
এদিকে সামরিক বাহিনী প্রতিদিনই পরাজয়ের মুখে
পড়ছে এবং তারা দখল হয়ে যাওয়া ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতেও ব্যর্থ হচ্ছে। এমন অবস্থায়
সামরিক বাহিনী দ্রুত জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা হারাচ্ছে। বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য
করে বিমান হামলা ও অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনা সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে জনগণকে আরও বেশি
উস্কে দেওয়া ছাড়া কোনও কাজে আসছে না।
অলটারনেটিভ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন বার্মা নামে
একটি সংস্থার সমন্বয়ক ডেবি স্টথার্ড বলেন, ২০২১ সালে সেনা অভ্যুত্থানের সময়ও দেশটির
অনেক অঞ্চল বিদ্রোহীদের দখলে ছিল। যাদের বলা হতো জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী। তিনি বলেন,
তাদের সাথে পরে পিপলস ডিফেন্স ফোর্স, যারা মূলত নতুন গঠিত শহরভিত্তিক গোষ্ঠী জান্তা
সরকারের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে নিতে প্রস্তুত ছিল, তারাও যোগ দেয়। কারণ বেসামরিক জনগণের
বিরুদ্ধে জান্তা সরকারের অত্যাচার বেড়ে গিয়েছিল। যার ফলশ্রুতিতেই আজ এই হাল জান্তা
সরকারের।
এদিকে বিবিসি বার্মিজ সার্ভিসের সাংবাদিক আয় থু সান বলেন, এমন অবস্থায় সামরিক বাহিনীর অনেক সমর্থকের মধ্যেও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। সামরিক বাহিনী কিছু এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারানোর পরও যদি বর্তমান সমস্যার সমাধানে নমনীয় হয়, তাহলে তারা সেনাপ্রধানকে সমর্থন দেবে বলে মনে হচ্ছে না।
মিয়ানমারে জাতিসংঘের বিশেষ দূতের বরাত দিয়ে
থাইল্যান্ড-ভিত্তিক মিয়ানমারের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতির এক প্রতিবেদনে বলা
হয়, অভ্যুত্থানের পর বাজেটে সামরিক ব্যয় বাড়লেও গত বছরের অক্টোবরে শুরু হওয়া বিদ্রোহী
গোষ্ঠীর আক্রমণের কারণে জান্তা সরকার কয়েক ডজন শহর, কয়েকশ টহল চৌকি, পুরো একটি অস্ত্রাগারের
নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে।
এমন পরাজয়ের কারণে সামরিক শাসনের কট্টর সমর্থকরাও
সেনাপ্রধান মিন অং হ্লেইংয়ের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে। কারণ এসব পরাজয় সামরিক বাহিনীর
জন্য লজ্জাজনক হিসেবে মনে করছে তারা। গত ৩১ জানুয়ারি মিয়ানমারে পঞ্চম দফায় জরুরি অবস্থার
মেয়াদ বাড়ানোর পর স্থানীয় বাসিন্দারা সেনাপ্রধানকে বার্মিজ ভাষায় ‘টো’ বা ‘নবায়ন’ নামে
ডাকতে শুরু করেছে।
কারণ মিয়ানমারের সংবিধান অনুযায়ী, দেশটিতে
সাময়িকভাবে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা যায় এবং পরে সর্বোচ্চ দুই বার ছয়
মাস করে মেয়াদ বাড়ানো যায়। মিন অং হ্লেইং এই নিয়মের তোয়াক্কা না করে পঞ্চমবারের মতো
জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়িয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, শান্তি এবং স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা
করে প্রতিশ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য জরুরি অবস্থা বাড়ানো দরকার।
মিয়ানমার ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যালায়েন্স-এমএনডিএএ,
আরাকান আর্মি এবং তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি যারা যৌথভাবে থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স
নামে পরিচিত, তারা জানুয়ারিতে উত্তরাঞ্চলের শান রাজ্য থেকে সামরিক বাহিনীকে বিতাড়িত
করেছে। ধারণা করা হয়েছিল যে, এর পাল্টা অভিযান চালানো হবে। কিন্তু সেটি এখনো হয়নি।
পরাজয় সন্নিকটে:
মিয়ানমার ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যালায়েন্স (এমএনডিএএ)
আরাকান আর্মি এবং তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি যারা যৌথভাবে থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স
নামে পরিচিত, তারা জানুয়ারিতে উত্তরাঞ্চলের শান রাজ্য থেকে সামরিক বাহিনীকে বিতাড়িত
করেছে। ধারণা করা হয়েছিল, এর পাল্টা অভিযান চালানো হবে। কিন্তু সেটি এখনও হয়নি। এই
রাজ্যে কয়েকজন জেনারেলসহ সেনারা আত্মসমর্পণ করেছে এবং বর্তমানে একটি ভঙ্গুর অস্ত্রবিরতি
চলছে। আঞ্চলিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সামরিক বাহিনীর জন্য এটা শুধু এখন একটি পরাজয় নয়,
বরং এটা ইঙ্গিত যে, জনপ্রিয়তা হারিয়ে সামরিক বাহিনীর দিন ফুরিয়ে আসছে।
তবে নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) এমদাদুল
ইসলাম বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনী দুর্বল হয়ে গেছে ভাবলে ভুল হবে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর
সঙ্গে যদি সিত্ত্বে বা নেপিদোতে বা রেঙ্গুনের আশেপাশে বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধ হতো
তাহলে আশঙ্কা করা যেতো যে তারা দুর্বল হয়ে গেছে। কিন্তু সেটি দেখা যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, মিয়ানমার ন্যাশনাল ডিফেন্সের সাথে
আরাকান আর্মির তেমন কোন যোগসূত্র নাই। তাদের
যোগসূত্র আছে কাচিন ইন্ডিপেনডেন্ট আর্মি, শান, তাং বা ওয়া আর্মির সাথে। এরা আবার ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্টের সাথে তেমনভাবে
সংশ্লিষ্ট নয়।
বরং বর্তমানে নর্দান অ্যালায়েন্স বা ফ্রেন্ডশিপ অ্যালায়েন্স চীনের আশির্বাদপুষ্ট। এখানে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী আবার চীনের আশির্বাদপুষ্ট। বরং এটা চীনের একটি সুনিপুন কৌশল বলে মনে করেন তিনি। আরাকানে ভূ-রাজনৈতিক কৌশল ও ভূ-রাজনৈতিক অর্থনীতি বিষয়ক বিপুল স্বার্থ রয়েছে চীন ও ভারতের। সেটার উপর পারস্পরিক আঘাত হানার প্রচেষ্টা থেকে এই যুদ্ধ চলছে বলে তিনি মনে করেন।
এদিকে যুদ্ধে টিকে থাকতে তারা বিমান হামলার
ওপরও নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এখনই সেনাবাহিনীর পরাজয়
সম্পর্কে বলা যাচ্ছে না। কারণ শান রাজ্যে সমস্যার মুখে পড়লেও অন্যান্য স্থানে দ্রুতই
ঘুরে দাঁড়াচ্ছে সামরিক বাহিনী। মানবাধিকার সংস্থা ফ্রি বার্মা রেঞ্জার্স গত সপ্তাহে
কারেন রাজ্যের যে চিত্র তুলে এনেছে সেখানে দেখা যায়, সেখানে সামরিক বাহিনীর কাছে বিদ্রোহীদের
চড়া মাশুল দিতে হচ্ছে। সেনাবাহিনীর সাথে যুদ্ধে সেখানে সাতজন বিদ্রোহী নিহত এবং ৪০
জন আহত হয়েছে।
মিয়ানমারের স্থানীয় একটি ক্রাইসিস গ্রুপের
উপদেষ্টা রিচার্ড হরসি বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনী বা জান্তা সরকারের জন্য পরাজয় অনিবার্য
নয়। তবে তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। তারা জানে এই অবস্থা থেকে বের হয়ে আসার একমাত্র
পথ হচ্ছে লড়াই চালিয়ে যাওয়া। আর তারা সেটাই করবে। তাই পরাজয় অবশ্যম্ভাবী নয়। তবে এটা
গত কয়েক দশকের তুলনায় এখন কিছুটা বেশি সম্ভাবনাময় বলে মনে হচ্ছে।
মিয়ানমারের চলমান উত্তেজনা ও অস্থিতিশীলতা প্রতিবেশীসহ আঞ্চলিক হুমকি সৃষ্টি করলেও প্রতিবেশি দেশগুলো এখনও কোনও ধরনের সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসেনি। প্রতিবেশি দেশগুলোর মধ্যে থাইল্যান্ড মিয়ানমার থেকে পালিয়ে যাওয়া শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু নতুন থাই সরকার মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সাথে তার ঐতিহ্যগত সম্পর্ক এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছে যার কারণে এই এলাকায় প্রবেশাধিকার সীমিত হয়ে আসছে মিয়ানমারের নাগরিকদের জন্য।
এদিকে মিয়ানমারের সাথে ভারতের ১৬৪৩ কিলোমিটার
উন্মুক্ত সীমান্ত রয়েছে। একই সাথে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন ভারত সরকার
মিয়ানমারের সাথে সই করা ছয় বছর মেয়াদি উন্মুক্ত চলাচল বিষয়ক একটি চুক্তিও বাতিল করার
বিষয়ে ভাবছে। এই চুক্তির মাধ্যমে মিয়ানমার ও ভারতের বাসিন্দারা কোনও ভিসা ছাড়াই পরস্পরের
সীমানার ১৬ কিলোমিটারের মধ্যে চলাচল করতে পারে।
এই চুক্তির মাধ্যমে মিয়ানমার ও ভারতের বাসিন্দারা
কোনও ভিসা ছাড়াই পরস্পরের সীমানার ১৬ কিলোমিটারের মধ্যে চলাচল করতে পারে। চীনের সাথে
জান্তা সরকারের সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়টিও আবার পুনর্বিবেচনার মুখে পড়েছে। মিয়ানমারের
অভ্যন্তরে সামরিক জেনারেলদের প্রশ্রয়ে এবং চীনের নাগরিকদের টার্গেট করে পরিচালিত প্রতারণা
চক্রকে উৎখাতের বিষয়ে জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী বিশেষ করে থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সকে
সমর্থন দিয়েছে বেইজিং।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ওপর গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য চাপ দিয়ে আসছে।
সূত্র: বিবিসি
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭