আসন্ন ভারত সফরে মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে দেশটির সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘সকাল পর্যন্ত বিজিপিসহ ২২৯ জন বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এদের মধ্যে তাদের পরিবারের সদস্যরাও রয়েছে।’
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
বাংলাদেশি নিহত হওয়ায় ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এজন্য দেশটির রাষ্ট্রদূতকে ডেকে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রদূত তার সরকারের কাছে প্রতিবাদের বার্তা পৌঁছে দেবেন বলে জানিয়েছেন। তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে। মিয়ানমার জানিয়েছে নৌরুটে তাদের নাগরিকদের নিয়ে যাবে।’
‘সীমান্ত অরক্ষিত থাকা এবং সরকারের নতজানু নীতির কারণে মিয়ানমার সীমান্তে এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে’ বিএনপির এমন দাবির বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সরকারের নীতির কারণে ওখানে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরকান আর্মির সংঘর্ষ হচ্ছে? আসলে রিজভীর বক্তব্য পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছু নয়।’
‘নির্বাচনের পর বহির্বিশ্ব সরকারকে কতটুকু সমর্থন করবে, তা নিয়ে বিএনপির সন্দেহ ছিল। যখন দেখতে পেল নতুন সরকারকে বিশ্বের সবাই অভিনন্দন জানাচ্ছে, কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চিঠি লিখে প্রধানমন্ত্রীকে নতুন সরকারের সঙ্গে পার্টনারশিপ বাড়ানোর জন্য এবং আমাদের সম্পর্ক উচ্চতর মাত্রায় নিতে অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। এ জন্য হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে পাগলের প্রলাপ বকছে বিএনপি,’ যোগ করেন তিনি।
ভারত সফরের বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতে গিয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে। মিয়ানমার ও ভারত প্রতিবেশী রাষ্ট্র। তাই মিয়ানমারের ইস্যুতে ভারতের সহযোগিতা সবসময় চেয়ে এসেছি। মিয়ানমার যাদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ করেছে, যারা বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে তাদের বিষয়ে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে মিয়ানমার ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ রয়েছে।’