ইনসাইড পলিটিক্স

অভ্যন্তরীণ কোন্দল ঠেকাতে মরিয়া আওয়ামী লীগ


প্রকাশ: 06/02/2024


Thumbnail

আগামী ১০ ফেব্রুয়ারির আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বর্ধিত সভা ডেকেছেন। দলের অব্যাহত কোন্দল এবং নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা আসন্ন উপজেলা নির্বাচনকে নিয়ে বিভক্তির প্রেক্ষাপটে এই বর্ধিত সভা ডাকা হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের প্রধান মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল। কিছুতেই এই অভ্যন্তরীণ কোন্দল মেটানো যাচ্ছে না। অভ্যন্তরীণ কোন্দল মেটানোর জন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একাধিক উদ্যোগ এবং পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি দলের ভিতর বিশৃঙ্খলা ঠেকানোর জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির সভাসহ বিভিন্ন ফোরামে আহ্বান জানানোর পরও সারাদেশে আওয়ামী লীগের সহিংসতা চলছে। আর এ কারণে এবার সহিংসতা এবং কোন্দল রোধে আওয়ামী লীগ বর্ধিত সভা ডেকেছে। 

আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলছেন, যেকোনো মূল্যে আওয়ামী লীগের এই অভ্যন্তরীণ কোন্দল মেটাতে হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, এই বর্ধিত সভায় কোন্দল বন্ধের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুনির্দিষ্ট হুঁশিয়ারি দিতে পারেন। উল্লেখ্য যে, ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। এই নির্বাচনে যারা দলীয় প্রতীক পাবেন না তারা স্বতন্ত্র নির্বাচন করতে পারবেন এমন একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে দলের পক্ষ থেকে। মূলত বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বর্জন করার প্রেক্ষিতে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং অংশগ্রহনমূলক নির্বাচন করার স্বার্থে আওয়ামী লীগ এই কৌশল গ্রহণ করেছিল এবং এই কৌশলের কারণেই প্রায় অর্ধেক আসনে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। এখন দেখা যাচ্ছে যে, নির্বাচনের পরেও স্বতন্ত্রদের সঙ্গে দলীয় প্রার্থীদের যে সহিংসতা এবং বিভক্তি তা বন্ধ হয়নি। বরং এটি নতুন রূপ গ্রহণ করেছে। এই সন্ত্রাস এবং সহিংসতা আরও বেড়ে চলেছে। এই রকম বাস্তবতায় উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে খুব শীঘ্রই। ঈদের পরপরই উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। 

ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, দলীয় প্রতীকে তারা উপজেলা নির্বাচন করবে না। বরং তারা দলীয় ভাবে কোন প্রার্থীকে সমর্থন না দিয়ে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে। এটি আওয়ামী লীগের দ্বিমুখী কৌশলের অংশ। এর ফলে একদিকে যেমন বিএনপিসহ নির্বাচন বর্জন করা রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে আসার ব্যাপারে উৎসাহিত হবে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলও মিটতে পারে। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে বিভক্তি আরও বাড়ছে। বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের একের পর এক স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার প্রবণতাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এরকম বাস্তবতায় উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের মধ্যে বিভক্তি এবং সহিংসতা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাছাড়া সারাদেশে যে সাংগঠনিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে তা দলের উদ্বেগজনক এবং ক্ষতিকর। এই সব বাস্তবতা বিবেচনা করেই আওয়ামী লীগ এখন দলের কোন্দল ঠেকানোকে প্রধান অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করছে এবং এ লক্ষ্যেই আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বলে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭