ইনসাইড থট

সংরক্ষিত আসনে এমপি নির্বাচন নারী ক্ষমতায়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখে


প্রকাশ: 07/02/2024


Thumbnail

আওয়ামী লীগের নারী সংরক্ষিত এমপি আসনে ফরম নেওয়া শুরু হয়েছে এবং আগামীকাল এটা শেষ হয়ে যাচ্ছে। এদিকে ১৪ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভা ডাকা হয়েছে। সেখানে হয়তো দল ঠিক করবে কাকে মনোনয়ন দেয়া হবে। এখন এটা নিয়ে সব জায়গায় আলাপ আলোচনা হচ্ছে। এখন শোবিজের একেক জন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে দেয়া শুরু করেছে যে, তারা মনোনয়ন ফরম কিনেছেন ইত্যাদি। কেউ কেউ এটাকে তাদের অধিকার বলছেন। 

অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, ৩০০ নির্বাচিত আসনের মধ্যে এই ৫০ আসনের প্রয়োজনীয়তা কি? আবার আমাদের দেশে যারা বুদ্ধিজীবী হিসেবে নিজেদেরকে জাহির করতে খুব ভাগ্যবান মনে করেন, তারা বলেন যে, নারী আসনে সিট ঠিক রেখে এরিয়া অনুযায়ী তাদের নির্বাচিত হওয়া উচিত। এইসব বিভিন্ন আলাপ আলোচনা হয়। আবার, অনেকের কাছে এই প্রশ্ন, আসলে এই নারী সংসদ আসনের প্রয়োজনীয়তাটা কি? এটা শুরু হয়েছে কবে সেটা বড় কথা নয়। বড় কথা হচ্ছে এইটাতো এখন বাস্তবতা হয়ে গেছে এবং নারী সংসদ আসন চলছে। 

কিন্তু আমি এর প্রয়োজনীয়তা দেখি অন্যভাবে, সেটা হচ্ছে, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা এই নারী সংসদের যে ৫০ টি আসন, এই আসন গুলোকে তিনি ব্যবহার করতে চান নারীর ক্ষমতায়নের জন্য। যেমন, কমিউনিটি ক্লিনিকে তিনি গ্রামের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শিক্ষিত মেয়েদেরকে নিতে বলেন। যাতে করে তাদের ক্ষমতায় আনা হয়। না করে কমিউনিউটি হেলথ ওয়ার্কার করেন। তাতে করে যে মাইক্রো ক্রেডিট দিলে কবে ক্রেডিট পাবে জেনে অনেকের স্বামীরা তাদের জোর করে টাকা নিয়ে যায়, জুয়া খেলে, ফেন্সিডিল খায়। আর যদি সে কমিউনিটি ওয়ার্কার হয় তাহলে সমাজের কাছে তার সম্মান বাড়ে। সুতরাং এই সব কারণের জন্যে নারীর ক্ষমতায়নে এখানে তিনি ২ টি কাজ করছেন।

প্রথমত, ৫০ জন নারী যারা সংসদ সদস্য হবে তারা সংসদ কিভাবে চলে সেটা দেখতে পাবেন, কিভাবে আইন পাস হল সেটা দেখতে পাবে এবং এর থেকে যাদের পটেনশিয়ালিটি আছে তারা এতে কিছু মন্ত্রী কিংবা প্রতিমন্ত্রীও হবে। এই ভাবেই কিন্তু আজকে শিরীন শারমিন চোধুরী স্পিকার হয়েছেন। তিনি প্রথমবার প্রতিমন্ত্রী হিসেবে এই দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় যোগদান করেছিলেন। তারপর তিনি স্পিকার হন। অর্থাৎ এখানে বসেই তিনি তার পটেনশিয়ালিটি বুঝতে পারেন। তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, নারী সংরক্ষিত আসন যেগুলো এটি রাজনীতির ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়ন এবং নারীকে সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠার একটি বিরাট রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করছেন দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। কারণ যাদের পটেনশিয়ালিটি থাকবে তারা রাজনীতিতে টিকবেন, দলে অবস্থান থাকবে, দেশের জন্য কাজ করবে। আর যাদের সেই ক্ষমতা নেই তারা চলে যাবে। কারণ আমাদের দেশে এখনো যেই সামাজিক চিত্র, তাতে সাধারণ নির্বাচনে সত্যিকারের নারীদের নির্বাচনে জেতা এখন পর্যন্ত বেশ কঠিন। কারণ এটা কেউ স্বীকার করুক র না করুক।

শুধু তাই না, এখন পর্যন্ত আমরা ওই জায়গায় পৌঁছাতে পারিনি যে, সাধারণ নির্বাচনে গণ্ডগোল না। এই সমস্ত বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নারীদের যদি ক্ষমতায়ন করতে হয় এবং ভবিষ্যতে এ দেশের সমাজের নারীদের অবদান যদি রাখার সুযোগ করে দিতে হয় তাহলে তাদের জন্য সুযোগ করে দিতে হবে। দার্শনিক রাষ্ট্রনায়কই প্রথম নারীদের সচিব হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এর আগে এটা বাংলাদেশে ছিল না। ডিসি, এসপি এবং আর্মিতে সব জায়গায় নারীদের গুরুত্ব দিয়েছেন। এর আগে কেউ চিন্তাও করেনি একটি জেলায় ডিসি হবে মহিলা। সুতরাং রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আমি মনে করি এর একটা বিরাট দার্শনিক ভিত্তি আছে এবং এই কারণেই মহিলা সংরক্ষিত আসন রাখা এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং এর গুরুত্বটা সবাইকে অনুধাবন করতে হবে। 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭