ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

হামলা, সংঘাত, প্রাণহানিতে শেষ হল পাকিস্তানের ভোট, চলছে গণনা


প্রকাশ: 08/02/2024


Thumbnail

বিচ্ছিন্ন কিছু হামলা ও সংঘাতের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের বহুল আলোচিত জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন চলছে ভোট গণনা। বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ পাকিস্তানে ৮৫৫টি আসনে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন হয়।

এদিন ডেরা ইসমাইল খান জেলার কুলাচি এলাকায় টহলরত পুলিশের একটি দল লক্ষ্য করে একটি বোমার বিস্ফোরণ এবং গুলি বর্ষণে চার পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। সেখান থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তরের একটি এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর গাড়ি লক্ষ্য করে বন্দুকধারীদের হামলায় আরো এক ব্যক্তি নিহত হন।

বেলুচিস্তান প্রদশের বিভিন্ন এলাকায় ভোট চলাকালে গ্রেনেড হামলার খবর পাওয়া গেছে। যদিও ওইসব হামলার কারণে ভোট গ্রহণে কোনো বিঘ্ন ঘটেনি। হতাহতের কোনো ঘটনাও ঘটেনি বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সরকে জানান মাকরান বিভাগের কমিশনার সাঈদ আহমেদ উমরানি।

আগের দিন বুধবার বেলুচিস্তান প্রদেশে পৃথক দুইটি বোমা হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হন।

নর্থ ওয়াজিরিস্তানের প্রার্থী মহসিন দাওয়ার পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের কাছে (ইসিপি) এক চিঠিতে স্থানীয় ‘তালেবান’ তার এলাকায় কয়েকটি ভোটকেন্দ্রের দখল নিয়ে পোলিং কর্মকর্তা এবং স্থানীয়দের হুমকি-ধামকি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন।

যদিও নির্বাচন কমিশন বা নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানানো হয়নি।

দেশ গভীর অর্থনৈতিক সংকটে, লাগামহীনভাবে বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতি, সহিংসতা ও কারচুপির আশঙ্কার মধ্যেই পাকিস্তান জুড়ে বৃহস্পতিবার জাতীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। যাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১৭ হাজারেরও বেশি প্রার্থী।

এর আগে দেশটিতে ২০১৮ সালে নির্বাচন হয়েছিল। সেবারের তুলনায় এবারের নির্বাচনে অনেক পরিবর্তন ছিল। এবারের নির্বাচনের জন্য ৪৮ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি বরাদ্দ করা হয়েছিল। এছাড়া এবার দেশটির মোট নাগরিকের মধ্যে ৫০ শতাংশ ভোটার ছিলেন। এমনকি এবারের নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক ১৮ হাজার স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন করেছেন। ব্যালট পেপার ছাপাতে ব্যবহার করা হয়েছে ২০ কোটি ৬০ লাখ কাগজ।

পাকিস্তানে এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনটি আলাদা মামলায় কারাদণ্ড পেয়ে তিনি এখন জেলে বন্দি আছেন। তবে ইমরান খান জেলের ভেতর থেকেই নিজের ভোট প্রদান করেছেন।

নির্বাচন উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়। এদিন সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যা বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে। সবমিলিয়ে ৯০ হাজার ৬৭৫টি বুথে ভোট দেন সাধারণ ভোটারর। এসব ভোট কেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলেন ১৪ লাখ কর্মী।

এদিকে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ভোটের দিন পাকিস্তানে ইন্টারনেট ও মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন করে দেওয়া হয়। ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফসহ বেশ কয়েকটি দল মোবাইল সংযোগ চালু করার দাবি জানায়।

পাক সংবাদমাধ্যম জিও টিভি জানিয়েছে, মধ্যরাতের পর ভোটের ফলাফল জানা যাবে। আর পূর্ণ ফল জানতে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনা সিস্টেমে ফলাফল জানা যাবে।

ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হওয়ার এক ঘণ্টা পর থেকেই ফলাফল প্রকাশের অনুমতি দেওয়া হয় পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলোকে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭