নওগাঁয় পুলিশ হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় নিহত পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলার প্রধান আসামী চালক বাবুলকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে র‌্যাব-৫ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।

এর আগে বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ভোরে নওগাঁর মান্দা উপজেলায় র‌্যাব-৫ এবং র‍্যাব-২ এর যৌথ বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার বাস চালক বাবুল নওগাঁ সদর থানার চকবিরাম গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে।

আর নিহত পুলিশ কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম (৪১) ফুলবাড়ী উপজেলার লক্ষ্মীপুর জয়নগর গ্রামের আফফার উদ্দিনের ছেলে। তিনি নীলফামারী জেলায় ডিএসবিতে (এসআই) উপ-পরিদর্শক পদে কর্মরত ছিলন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিহত পুলিশ কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম নীলফামারী জেলায় বিশেষ পুলিশ শাখায় (ডিএসবিতে) এসআই পদে কর্মরত ছিলন। কাজের সুবাদে তিনি গত ২০২৩ সালের ৩ অক্টোবর রাজশাহী জেলা আদালতে সাক্ষ্য দিতে যান। সাক্ষ্য প্রদান শেষে তিনি ও তার বন্ধু সুজন আলী মোটরসাইকেলযোগে নিজ বাড়ি ফুলবাড়ি উপজেলায় যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে রাত ৮ টার দিকে বিরামপুর সরকারি কলজ সংলগ্ন তেল পাম্পে সামনে পৌঁছলে দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা নওগাঁগামী ফারুক পরিবহন নামক বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন তারা।

স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘােষণা করেন। নিহত সুজন আলী (৪০) খয়েরবাড়ি মির্জাপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে। পরবর্তীতে নিহত পুলিশ কর্মকর্তার বাবা আফফার উদ্দিন বাদী হয়ে বিরামপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এরপর র‌্যাব-৫ এবং র‌্যাব-২ এর যৌথ অভিযানিক দল আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য তৎপর হয়। তবে আসামি বাবুল প্রতিনিয়ত অবস্থান পরিবর্তন করে আত্মগোপনে থাকার চেষ্টা করছিল।

এরই ধারাবাহিকতায়, গোপন তথ্যর ভিত্তিতে র‌্যাব-৫ এবং র‌্যাব-২ এর যৌথ অভিযানে বুধবার ভোরে নওগাঁর মান্দা থানা এলাকা থেকে বাবুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে ওই দিনই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।