ইনসাইড পলিটিক্স

সংরক্ষিত আসনে কারা মনোনয়ন পাচ্ছেন?


প্রকাশ: 08/02/2024


Thumbnail

আওয়ামী লীগ সংরক্ষিত ৪৮টি আসনের জন্য মনোনয়ন ফর্ম বিক্রি এবং জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ করেছে। ৬ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মনোনয়ন ফর্ম বিক্রি এবং জমা দেওয়ার দিন নির্ধারিত ছিল। এই সময়ের মধ্যে ১৪৫৯ জন মনোনয়নপত্র তুলেছেন। এটি রেকর্ড সংখ্যক মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা। এর আগে সংরক্ষিত আসনের জন্য এতজন কখনও মনোনয়নপত্র জমা দেননি।

আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র জোট হিসেবে ৪৮টি আসনের জন্য মনোনয়ন দিতে পারবেন। আর জাতীয় পার্টি পাবে ২টি আসন। আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি। ওইদিনই জানা যাবে যে, ৪৮টি আসনের জন্য আওয়ামী লীগ কাদেরকে নির্বাচিত করেছে। অন্যদিকে, জাতীয় পার্টি এখন পর্যন্ত তাদের মনোনয়ন প্রক্রিয়া শুরু করেনি। 

প্রসঙ্গত যে, নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে সংরক্ষিত আসনের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৮ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। 

আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম দিন যে রকম উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিল। দ্বিতীয় দিন উৎসাহ-উদ্দীপনায় অনেকটাই ভাটা পড়ে যায়। বিভিন্ন কারণে উৎসাহ-উদ্দীপনা কম হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে। প্রথমদিন ৮১০ টির বিপরীতে তৃতীয় অর্থাৎ শেষ দিনে মনোনয়নপত্র কেনা হয়েছে মাত্র ২১৭টি। 

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন মনোনয়ন প্রত্যাশী সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন মহল থেকে শুনেছেন যে ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারক মহল চূড়ান্ত করে ফেলেছে কারা মনোনয়ন পেতে পারেন। ৬৫ জনের তালিকার কথাও আওয়ামী শিবিরের আলোচিত হয়েছে। আর, এই কারণেই দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দিন মনোনয়নপত্র কেনার হিড়িক কম ছিল।

তবে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে থেকে কাকে কাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে সেজন্য মনোনয়ন বোর্ডের সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

তবে বিভিন্ন সূত্র বলছে যে, ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি ৬৫ জনের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করছেন। এই সংক্ষিপ্ত তালিকায় কাদের নাম আছে? এ নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে বিভিন্ন রকম-আলাপ আলোচনা এবং গুঞ্জন রয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন যে এবার সংসদে যাচ্ছেন তা মোটামুটি নিশ্চিত। 

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন লাভের জন্য যে পাঁচ শর্ত তার অন্যতম শর্ত হলো, যারা অতীতে কখনও সংসদ সদস্য হিসেবে সংরক্ষিত কোটায় নির্বাচিত হননি। সেই বিবেচনায় আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা এবং ফরিদুন্নাহার লাইলি এবার যে মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন তা অনেকেই নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মারুফা আক্তার পপির মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল বলেও বিভিন্ন সূত্র আভাস দিয়েছেন। 

এবার মনোনয়ন ফরম কেনার ক্ষেত্রে তারকাদের হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। অপু বিশ্বাস থেকে শুরু করে সোহানা সাবা পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। তবে গতবারের মতো এবারও অধিকাংশ শোবিজের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের হতাশ হতে হবে। এই কোটায় একজনমাত্র মনোনয়ন পেতে পারেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো আভাস দিয়েছে। গতবার এ কোটায় মনোনয়ন পেয়েছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা। এবার এই কোটায় রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা মনোনয়ন পাবেন বলে মোটামুটি নিশ্চিত করেছে আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র। 

এছাড়াও বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য বিশিষ্ট নারী ব্যক্তিত্বদেরও সংরক্ষিত কোটায় মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রাক্তন আমলা, প্রাক্তন বিচারপতি, এনজিও সেক্টরে অবদান রাখা নারী ব্যক্তিত্ব এবং ব্যবসায়ী নারী ব্যক্তিত্বরা অগ্রাধিকার পাবেন। 

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, ৪৮টি আসনের মধ্যে অর্ধেক দেওয়া হবে সরাসরি রাজনীতিবিদদের। ২৪ থেকে ২৫টি আসন পাবেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্র এবং মাঠ পর্যায়ের নারী নেতৃবৃন্দ যারা আগে কখনো এমপি হননি, দলের জন্য বিভিন্ন সময় অবদান রেখেছেন, ত্যাগ স্বীকার করেছেন এবং দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের মতো কোন কাজ করেননি, যাদের বিরুদ্ধে কোন ফৌজদারি মামলা নেই। আর, বাকি অর্ধেক আসনে মনোনয়ন দেওয়া হবে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিদেরকে। ১৪ ফেব্রুয়ারি বোঝা যাবে, আসলে শেষ পর্যন্ত সংরক্ষিত আসনে কারা আওয়ামী লীগের টিকিট পাচ্ছেন?



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭