ইনসাইড গ্রাউন্ড

ভাগ্যের কাছে হারতে হলো বাঘিনীদের, সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়ন ভারত


প্রকাশ: 08/02/2024


Thumbnail

কথায় আছে, ‘কপালের লিখন যায় না খণ্ডন’- ঠিক যেন তাই ঘটলো বাংলার বাঘিনীদের সাথে। কঠোর পরিশ্রম, আত্মবিশ্বাস কোনোটারই কমতি ছিল না, তবুও ভাগ্যের খেলায় হার মানতে হলো লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।

সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে অপরাজিত থেকে ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। তবে শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে টানা দুবার টাইব্রেকারের পরও ড্র হলে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয় টসে। আর সেখানেই কপাল পুড়েছে বাংলাদেশের। ২২ শটের টাইব্রেকারের পর টসভাগ্যে জিতে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

বৃহস্পতিবার কমলাপুর স্টেডিয়ামে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও ভারত। ভারতের হয়ে গোল করেন শিবানি দেবী। আর ম্যাচের শেষ মুহূর্তে বাংলাদেশের হয়ে গোল করে সমতা ফেরান সাগরিকা।

এদিন ম্যাচের শুরুতেই লিড নেয় ভারত। ম্যাচের ৮ মিনিটে রক্ষণ দুর্বলতা ও গোলরক্ষকের ভুলে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ে।  ভারতীয় মিডফিল্ডার নিতু লিন্ডার থ্রুতে বাংলাদেশের দুই ডিফেন্ডারকে পেছনে ফেলে বল পান শিবানি দেবী।

বাংলাদেশের গোলরক্ষক স্বর্ণা রানী বক্সের সামনে এসে বলের নাগাল পাননি। বুদ্ধিদীপ্তভাবে প্লেসিংয়ে বল জালে পাঠান শিবানি। এর ৮ মিনিট পরেই ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ ছিল ভারতের। বক্সের মধ্যে গোলদাতা শিবানি দেবী ভালো পজিশনে বল পান। তার নেয়া ডান পায়ের শট পোস্টের সামান্য উপর দিয়ে যায়৷ তাতে এ যাত্রায় রক্ষা পায় বাংলাদেশের মেয়েরা।

পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পেতে সেভাবে সুযোগ তৈরি করতে পারেনি স্বাগতিক দল। 

ম্যাচের ৩৫তম মিনিটে স্বপ্না রাণীর দুই জনকে কাটিয়ে শট নিলেও বাইরে দিয়ে যায় ৷ প্রথমার্ধে বাংলাদেশ তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো আক্রমণ করতে পারেনি। পক্ষান্তরে ভারত প্রথমার্ধে বল পজিশন, আক্রমণ ও ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট এগিয়ে ছিল।

বিরতি শেষে খেলায় সমতা আনতে মরিয়া হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। বারবার প্রতিপক্ষের ডিবক্সে আক্রমণ চালিয়েও হচ্ছিল না তারা। ম্যাচের ৮৬তম মিনিটে স্বপ্নার রাণীর নেয়া কর্ণার কিক ক্রসবারে লেগে মাঠের বাইরে চলে যায়।

নির্ধারিত সময়েও এগিয়ে ছিল ভারত। তবে তাদের স্বপ্ন ভঙ্গ করে খেলায় সমতা ফেরান বাংলাদেশের সাগরিকা। ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হওয়ায় রেফারি ৪ মিনিট ইনজুরি সময় দেন।

এর ৩ মিনিটে আফিদা খন্দকারের থ্রো ইন থেকে বাংলাদেশের সাগরিকা বক্সের আগে জটলায় বলের নিয়ন্ত্রণ নেন৷ নিজ প্রচেষ্টায় বক্সে বল নিয়ে কোনাকুনি শটে গোল করেন সাগরিকা। যার গোলে খেলায় সমতা ফেরায় বাংলাদেশ।

টুর্নামেন্টের বাইলজ অনুযায়ী নির্ধারিত সময় সমতা থাকলে খেলা সরাসরি টাইব্রেকারে গড়ায়। সেখানেও ১১-১১ এ সমতা হয়। এরফলে টসের মাধ্যমে বিজয়ী নির্ধারণ করা হয়। টস ভাগ্যে জয় হয় ভারতের। হারের পর এই টস নিয়ে অসন্তোষ ছিল বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭