প্রকাশ: 08/02/2024
পাকিস্তানে
আজ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নজিরবিহীন সন্ত্রাস, ভোট ডাকাতি, একচেটিয়া
পক্ষপাত এবং ন্যাক্কারজনক হস্তক্ষেপের
মধ্য দিয়ে তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে
এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
পাকিস্তানে
অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য তত্ত্বাবধায়ক
সরকার ব্যবস্থা চালু হয়েছিল। এই
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা তারা বাংলাদেশি মডেল
হিসেবে ধার করেছিল। কিন্তু,
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি সেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষক সেনাবাহিনীর ইচ্ছে পূরণের হাতিয়ার, তা নির্বাচনের মধ্য
দিয়ে প্রমাণিত হল।
পাকিস্তানের
এই নির্বাচনে ইমরান খানকে ক্ষমতায় আসতে না দেওয়ার
জন্য যা খুশি তা-ই
করা হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে এমনভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে যা
নজিরবিহীন এবং গণতন্ত্রের সমস্ত
শিষ্টাচার লঙ্ঘন করার সামিল। আর এই
সব কিছুই হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মদদে।
ইমরান
খান পাকিস্তানের জনগণের কাছে জনপ্রিয় নেতা
ছিলেন এবং এখনও তার
জনপ্রিয়তা নিয়ে কোন রকম
সন্দেহ নেই। সর্বশেষ নির্বাচন
জরিপেও দেখা যাচ্ছে, যদি
ইমরান খানকে এরকমভাবে কোনঠাসা করা না হতো,
যদি সত্যিকার অর্থে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হতো, তাহলে সেই
নির্বাচনে পিটিআই প্রধান ইমরান খানের বিজয় ছিল নিশ্চিত।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের
আগে একের পর এক
এমন সব মামলা দেওয়া
হয়েছে যাতে ইমরান খান
কোনভাবেই নির্বাচনে প্রার্থী হতে না পারেন
এবং তার দল যেন
কোনভাবেই ক্ষমতায় আসতে না পারে।
কারণ, পাকিস্তান চায় না ইমরান খান ক্ষমতায় থাকুক।
পাকিস্তান যেটি চায় না পাকিস্তানের
জেনারেলরাও তা চায় না। আর
এর মাধ্যমে প্রমাণিত হলো যে, তত্ত্বাবধায়ক
সরকার মডেল আসল নিরপেক্ষ
নির্বাচনের গ্যারান্টি দেয় না।
তবে
পাকিস্তানে যেভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শাষণ করেছে, যেভাবে
সবকিছুকে নিয়ন্ত্রণ করেছে, তাদের ইচ্ছা পূরণ করেছে, সেটি
বাংলাদেশেও তারা করতে চেয়েছিল।
কিন্তু, শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশে
এটা করতে ব্যর্থ তারা
হয়েছে। এখন বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বের সম্পর্ক নিয়ে এগিয়ে যেতে
চেয়েছিল। পাকিস্তানে যেভাবে তারা ইমরান খানকে
ক্ষমতাচ্যুত করেছে, বাংলাদেশেও ঠিক একই প্রক্রিয়ায়
প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করার ইচ্ছে ছিল
তাদের। পাকিস্তানে তারা যেভাবে সেনাবাহিনীকে
এবং তথাকথিত সুশীল সমাজকে ব্যবহার করেছে, বাংলাদেশেও সেই একই প্রক্রিয়া
তারা অনুসরণ করতে চেয়েছিল। কিন্তু
পাকিস্তানে পেরেছে, বাংলাদেশে পারেনি।
বাংলাদেশে
এটি না পারার কারণ
হলো- প্রথমত, শেখ হাসিনার দৃঢ়
নেতৃত্ব এবং আপসহীন মনোভাব।
দ্বিতীয়ত, প্রতিবেশি
রাষ্ট্র ভারতের সমর্থন এবং সহযোগিতা। তৃতীয়ত, গণতন্ত্রের প্রতি
বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্খা এবং আগ্রহ। চতুর্থত, বাংলাদেশের
সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব এবং শক্তিশালী গ্রহণযোগ্য
মনোভাব। আর এই সমস্ত
কারণেই শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানে
গণতন্ত্র হয়েছে একটি তামাশা। অন্যদিকে,
বাংলাদেশ বিদেশি প্রভাবমুক্ত থেকে নিজেদের গণতন্ত্রকে
বিকশিত করার সুযোগ পেয়েছে।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭