ইনসাইড পলিটিক্স

তৃণমূল গোছাতে জেলা এবং সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন করবে আওয়ামী লীগ


প্রকাশ: 10/02/2024


Thumbnail

আজ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথমেই তিনি স্বাগত ভাষণে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ে সুস্পষ্ট বক্তব্য রাখেন। তিনি নির্বাচনে হারার পর কাদা ছোড়াছুড়ি করা, নির্বাচন নিরপেক্ষ হয়নি এমন বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেন। এরপর বিভিন্ন স্থানীয় পর্যায়ের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন। 

একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, কোন্দল দল নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ তিন ধাপের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছে। 

প্রথমত, অবিলম্বে যেন কোন্দল বন্ধ হয় সে জন্য সাংগঠনিক সম্পাদকদেরকে সুনিদিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে এবং এরপর যারা কোন্দল করবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে।

দ্বিতীয়ত, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, উপজেলা নির্বাচনে এমপি, মন্ত্রী বা দলীয় নেতারা কোন প্রার্থীকে সমর্থন দিতে পারবেন না। কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিতে পারবে না। যদিও নির্বাচন আইন অনুযায়ী এমপি-মন্ত্রীরা কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা করতে পারেন না। কিন্তু আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতারা মনে করছেন যে, এমপিরা প্রকাশ্যে প্রচারণায় অংশগ্রহণ না করলেও গোপনে গোপনে তারা তাদের নিজস্ব প্রার্থীকে সমর্থন দেবেন। এটা যেন না করা হয়, তার সত্যিকার অর্থেই যেন উপজেলা নির্বাচনটি উন্মুক্ত হয় সেই ব্যাপারটি লক্ষ্য রাখার জন্য আওয়ামী লীগ হাইকমান্ড থেকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। 

তৃতীয়ত, জেলায় জেলায় আওয়ামী লীগ যেন সম্মেলন করে সেই বার্তা দেওয়া হয়েছে। যে সমস্ত জায়গায় সম্মেলন হয়নি সেখান থেকে সম্মেলন শুরু করে পর্যায়ক্রমে সব জেলায় সম্মেলন সমাপ্ত করা, উপজেলা সম্মেলন সমাপ্ত করার জন্য একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে আগামী বছর শেষ দিকে। অর্থাৎ এবার আগস্টের পর থেকে বা চলতি বছরের শেষ থেকে জেলায় জেলায় সম্মেলনগুলো এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সম্মেলন করে নেওয়ার উদ্যোগ আওয়ামী লীগ গ্রহণ করতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃত্ব থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে যারা দলের শৃঙ্খলা বিরোধী কাজকর্ম গুলো করছেন, যারা দলের নিয়ম নীতি মানছেন না তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

এই বৈঠকের একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিক ছিল যে, দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে যারা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করেছেন তাদেরকে দায়মুক্তি দেওয়া। কারণ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ৪৭ ধারা অনুযায়ী দলের কোন নেতা বা কর্মী দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে স্বতন্ত্র ভাবে নির্বাচন করতে পারেন না। আর একারণেই তাদের বিরুদ্ধে শান্তিমূলক ব্যবস্থা বহিষ্কারাদেশ পর্যন্ত দেয়া হতে পারে। কিন্তু এবার কৌশলগত কারণে আওয়ামী লীগ স্বতন্ত্রদেরকে স্বাগত জানায়। 

আওয়ামী লীগ সভাপতিও আজ বর্ধিত সভায় বলেছেন যে, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র ছিলো, নির্বাচন যেন অংশগ্রহণমূলক না হয় সেজন্য পরিকল্পনা ছিল। আর এ কারণেই স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরকে নির্বাচনে দাঁড়ানোর সুযোগ তৈরি করে দেয় আওয়ামী লীগ। তা না হলে এই নির্বাচন নিয়ে অনেক রকম প্রশ্ন তৈরি হত। আর এ কারণেই যারা স্বতন্ত্র হয়েছেন বা হতে পারেননি কিন্তু নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কোন শান্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করার জন্য একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে এটি আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে চূড়ান্ত ভাবে অনুমোদন করা হবে বলে জানা গেছে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭