ইনসাইড বাংলাদেশ

ময়মনসিংহ রঙিন ফুলকপি চাষে স্বপ্ন বুনছেন কৃষক মাহফুজ


প্রকাশ: 10/02/2024


Thumbnail

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় বাণিজ্যিকভাবে রঙিন ফুলকপি চাষে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন বুঁনছেন উপজেলার মন্ডলশেন এলাকার কৃষক মো.মাহফুজুর রহমান। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে উচ্চমূল্যের প্রশিক্ষণ নিয়ে এবছর ১৫ শতাংশ জমিতে "ক্যারোটিনা" জাতের রঙিন ফুলকপি চাষ করেছেন তিনি।

 

চাষ পদ্ধতি সাদা ফুলকপির মতো রঙিন কপি চাষেও খরচ সমান,ফলন ও লাভ দুটোই বেশি এবং দেখতে  সুন্দর,খেতেও সুস্বাদু হওয়ায় বাজারে এর বেশ চাহিদা রয়েছে।

 

এছাড়া দামও বেশি পাওয়া যাচ্ছে বলে তার দেখাদেখি,বাণিজ্যিকভাবে রঙিন ফুলকপি চাষে এলাকার অনেকেই আগ্রহ দেখাচ্ছেন। কৃষকদের মাঝে এ বিষয়ে উন্নত প্রশিক্ষণ ও সহায়তা বৃদ্ধি করা গেলে সবজি চাষের নতুন দিগন্ত সৃষ্টি করবে রঙিন ফুলকপি চাষ বলেও জানান মাহফুজুর।



 

রঙিন ফুলকপি চাষ করা প্রসঙ্গে উপজেলার মন্ডলশেন এলাকার বাসিন্দা কৃষক মাহফুজর রহমান বলেন,আমি এ রঙিন ফুলকপির চাষ কোনদিন করিনি। প্রতিবছর পেঁয়াজ ও বিভিন্ন সবজির আবাদ করি,কিছুদিন আগে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আমি বিভিন্ন উচ্চমুল্যের সবজি চাষের উপরে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম।

 

সেখানে জানতে পারি,সাদা ফুলকপির চেয়ে রঙিন ফুলকপি বেশি লাভজনক। তাই কৃষি অফিসের পরামর্শে ও সহযোগিতায় আমি ১৫ শতক জমিতে রঙিন ফুলকপির চাষ করেছি। আমি বিষমুক্ত ভাবে চাষ করছি।

 

পোকা মারার জন্য হলুদ ফাঁদ এবং সেক্স ফেঁরোমন ফাঁদ ব্যবহার করছি।’এর গাছ দেখতে সাদা ফুলকপির মতো হলেও ফুল বিভিন্ন রংয়ের হয়ে থাকে। এর মধ্যে হলুদ ও পিংক রংয়ের ফুলকপি দেখতে ও খেতে সুস্বাদু।

 

তিনি আরও বলেন, ‘এ এলাকার আমার আগে কেউ এ রঙিন ফুলকপি চাষ করেনি। কৃষি অফিস থেকে আমাকে ফুলকপির চারা, জৈবসার,রাসনায়িক সার,হলুদ ফাদ এবং ফেরোমন ফাঁদ এবং পরিচর্যার জন্য খরচও দিয়েছে।

 

তাছাড়া সাদা ফুলকপির মতোই চাষাবাদ করতে হয়। জমিতে গাছগুলো খুবই ভালো হয়েছে এবং লাগানোর ৬৫-৭০ দিনের মধ্যেই ফুল চলে আসে এবং ফুল আসার এক সপ্তাহের মধ্যে তা বাজারে বিক্রির উপযুক্ত হয়।

 

ইতিমধ্যে কিছু ফুলকপি আমি বাজারে বিক্রি করেছি। বাজারে এর দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। আশা করছি দাম ভালো থাকলে রঙিন ফুলকপি চাষে আমার ভাগ‍্য বদলাবে। এলাকার অনেকেই রঙিন ফুলকপি চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

 

রঙিন ফুলকপি চাষ  বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেলিনা পারভীন জানান,এলাকার কৃষকরা প্রতিনিয়ত প্রযুক্তি গ্রহনে আগ্রহী হচ্ছেন। নিরাপদ সবজি হিসেবে সাদা ফুলকপির চেয়ে রঙিন ফুলকপির পুষ্টিগুণ ও চাহিদা দুই'ই বেশি।

 

দেখতে সুন্দর রঙিন ফুলকপিতে ভিটামিন এ,সি,কে,ফলিকএসিড, বেটা-ক্যারোটিন ও প্রচুর এন্টিএক্সিডেন্ট রয়েছে। যা শরীরের জন্য অনেক উপকারী।সাধারণ ফুলকপির মতো একই পদ্ধতিতে রঙিন ফুলকপির চাষে খরচ ও পরিশ্রম একই হওয়ায় কৃষকদের লাভ বেশি হয়।

 

উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কৃষককে ফুলকপির চারা, রাসায়নিক সার,হলুদ ফাঁদ ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হয়েছে।কৃষক রঙিন ফুলকপির ভালো ফলন ও দাম পেয়ে বেশ খুশি। আগামীতে উপজেলায় রঙিন ফুলকপির আবাদ আরো বৃদ্ধি পাবে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭