ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সাবেক দুই প্রধানমন্ত্রীর জয়ের দাবি নিয়ে যা বললেন সেনাপ্রধান


প্রকাশ: 10/02/2024


Thumbnail

নির্বাচনে কোনও দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে না পারায় জোট সরকার গঠনে পাকিস্তানে ব্যাপক তোড়জোড় শুরু হয়েছে।

অবশেষে, পাকিস্তানের নির্বাচন নিয়ে মুখ খুললো দেশটির প্রভাবশালী সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির। 

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান সব বিভেদকে ভুলে ঐক্যের আহবান জানিয়েছেন। দেশটির দুই সাবেক প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী দাবি করার মধ্যেই তিনি এই আহবান জানালেন।

সবশেষ ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেছে, কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সাথে যুক্ত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বেশিরভাগ আসনে জয়ী হয়েছেন। আর, আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও সেনাবাহিনীর আস্থাভাজন নওয়াজ শরীফ সরকার গঠনের জন্য অন্যান্য দলগুলোতে তাদের জোটে যোগ দেয়ার দাওয়াত দিয়েছেন। 

পাকিস্তানের এবারের নির্বাচন ব্যাপক সহিংসতা ও নজিরবিহীন বিলম্বে ভোট গণনা শুরুর মধ্যে শেষ হয়েছে। ফলে ভোটের প্রক্রিয়া নিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব থেকে এসেছে ব্যাপক সমালোচনা। তবে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন সেই সব সমালোচনাকে প্রত্যাখান করেছে এরইমধ্যেই। 

পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের সুস্পষ্ট ফলাফল আসার আগেই দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল অসিম মুনীর সব দলকে পরিপক্কতা ও ঐক্য দেখানোর আহবান জানিয়ে বলেন, মেরুকরণের রাজনীতি ২৫০ মিলিয়ন মানুষের একটি প্রগতিশীল জাতির জন্য উপযুক্ত নয়। সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। 

জেনারেল মুনির বলেন, নির্বাচন জয়-পরাজয় কোনো সংখ্যার প্রতিযোগিতা নয়, বরং জনগণের ম্যান্ডেট নির্ধারণের একটি মহড়া। তাই নৈরাজ্য ও মেরূকরণকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যেতে হবে। 

ভোটের মাঠে দারুণভাবে এগিয়ে থাকায় পাকিস্তানের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানিয়েছেন ইমরান খান। সামাজিক মাধ্যম এক্স হ্যান্ডলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি সে বক্তব্য প্রচার করা হয়েছে। সেখানে তিনি বলেন, নজিরবিহীনভাবে পাকিস্তানের মানুষ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, দু’বছরের জুলুম-অন্যায়ের পরও আমরা দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ভোটে জয়ী হয়েছি। এখন আমাদের কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। আমি সম্পূর্ণভাবে আপনাদের বিশ্বাস করে বলেছি যে আপনারা সবাই ভোট দিতে আসুন এবং আপনারা আমার বিশ্বাসের প্রতি সম্মান রেখেছেন। 

ইমরান খান আরও বলেন, আপনাদের ব্যাপকভাবে ভোট প্রদান সবাইকে বিস্মিত করেছে। ব্যাপকভাবে ভোট প্রদানের ফলে লাহোর পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে। জালিয়াতি প্রক্রিয়া শুরু হবার আগেই তার দল ১৫০ আসনে বিজয় নিশ্চিত করে রেখেছিলো। 

পাকিস্তানের ভোটে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ইমরানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে নওয়াজের দল পিএমএল-এন। তবে পিটিআই দল হিসেবে নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় সরকার গঠনে তোড়জোর চালাচ্ছেন নওয়াজ শরিফ। 

ঘোষিত ২৪৫টি আসনের মধ্যে ৯৯টি পেয়েছে পিটিআই সমর্থিতরা, পিএমএল-এন ৬৯, পিপিপি ৫২ এবং অন্যরা পেয়েছেন ২৫টি আসন। পাকিস্তানে সরকার গঠনে ১৩৩টি আসনের প্রয়োজন। ৩৩৬ আসনবিশিষ্ট পাকিস্তান পার্লামেন্টে বৃহস্পতিবার ২৬৫টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। একটি আসনে নির্বাচন স্থগিত আছে। 

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইইউ একযোগে নির্বাচনের সুষ্ঠুতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে  গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। তবে আমেরিকার জানিয়েছে, পাকিস্তানের নতুন সরকারের সঙ্গে এক সাথে কাজ করবে ওয়াশিংটন। 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭