ইনসাইড বাংলাদেশ

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ: পরিস্থিতি কি সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে?


প্রকাশ: 10/02/2024


Thumbnail

৭ জানুয়ারি নির্বাচনের মাধ্যমে ১১ জানুয়ারি গঠিত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম চ্যালেঞ্জ হলো দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা। নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী তিনজনই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণকে তাদের প্রধান অগ্রাধিকার হিসাবে বিবেচনা করেছেন। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য অর্থমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকও করেছেন। বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে, চালের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য খাদ্যমন্ত্রী কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। কিন্তু কিছুতেই যেন কাজ হচ্ছে না। বিশেষ করে রোজার আগে সুনির্দিষ্ট করে কিছু দ্রব্যমূল্যের দাম যেন উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাড়ানো হচ্ছে। 

ইতোমধ্যে রমজানে ব্যবহারযোগ্য কিছু পণ্যের ওপর শুল্ক কমানো হয়েছে বা প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু তার প্রভাব বাজারে এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। শুধু তাই নয়, চালের বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য খাদ্যমন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করছেন। তারা আশ্বাস দিচ্ছেন কিন্তু সেই আশ্বাসের প্রতিফলন বাস্তবে দেখা যাচ্ছে না। পেঁয়াজের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এবং আগামী এক মাসের কম সময়ের মধ্যে পবিত্র রমজান শুরু হচ্ছে। এই সময়কে ধরেই বাজারের সিন্ডিকেট তৎপরতা শুরু করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তারা কারসাজি করে পণ্যের দাম বাড়াচ্ছেন এবং বাজার পরিস্থিতিকে অস্থির করে তুলছেন। আর এ কারণেই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোন উদ্যোগই এখন পর্যন্ত তেমন ভাবে সফলতার মুখ দেখেনি। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের করণীয় কি তা নির্ধারণ করার জন্য দফায় দফায় বৈঠক করা হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হচ্ছে। কিন্তু সিন্ডিকেটের কাছে সরকার এখন পর্যন্ত অসহায় রয়ে গেছে। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি নতুন সরকার। 

সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, আগামী রমজান মাস এই সরকারের জন্য অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। এমনিতেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে মানুষের মধ্যে এক ধরনের অসন্তোষ, অস্বস্তি সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ মানুষ বাজারে গিয়ে অস্থির হয়ে উঠছেন। কেনাকাটা করতে গিয়ে তার নাভিশ্বাস উঠছে। এই পরিস্থিতিতে রমজানে যদি আরেক দফা জিনিসপত্রের দাম বাড়ে তাহলে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে এমন আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ। 

সরকারের পক্ষ সরকারও বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত। আর এ কারণেই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় তা নিয়ে নীতিনির্ধারক মহলে বারবার বৈঠক হচ্ছে। বিভিন্ন মহল মনে করছেন দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে পক্ষে প্রধান বাধা হলো সিন্ডিকেট। একটি সুনিদিষ্ট সিন্ডিকেট টার্গেট করে কিছু কিছু পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে। যেমন- পেঁয়াজের দামের কথাই বলা যায়। এ সময় পেঁয়াজের দাম বা চালের দাম বাড়ার কোন কারণ নেই। ভরা মৌসমে পেঁয়াজ কিংবা চালের দাম বাড়ার পেছনে রয়েছে একটি সুনিদিষ্ট সিন্ডিকেট। বিশ্লেষকরা মনে করেন এ ধরনের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করতে হবে। যদি সরকার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর না হতে পারে তাহলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ সরকারের জন্য একটি বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭