ক্লাব ইনসাইড

জাবিতে গণধর্ষণে জড়িতদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন


প্রকাশ: 11/02/2024


Thumbnail

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গণধর্ষণের জড়িতদের বিচার দাবিতে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে ১৯৯৮ সাল থেকে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দল যখন ক্ষমতায় থাকে তাদের ছাত্র সংগঠনের ছত্রছায়ায় মেধাবী শিক্ষার্থীরা মাদকাসক্ত হয়। তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে এবং ক্ষমতায় থেকে ধর্ষক হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে চায়' বলে মন্তব্য করেছেন দর্শন বিভাগের অধ্যাপক কামরুল আহসান। 

রবিবার (১১ জানুয়ারি) বেলা ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে সম্প্রতি গণধর্ষণের ঘটনায় নিপীড়নের সাথে জড়িতদের বিচার দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় অধ্যাপক কামরুল আহসান আরও বলেন,  র‍্যাব বলেছে জাবি প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছেন, ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেছেন জাবি প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছেন। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে জাবি উপাচার্য এবং প্রশাসনের দায়িত্ব কি শুধু বাসভবনে থাকা? আর উপাচার্য ভবনে উপাচার্য পদ উপভোগ করা নাকি? জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান জড়িত এখানে।

তিনি আরও বলেন, আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি এটা কোনো দলের প্রোগ্রাম নয়, এটা বিশ্ববিদ্যালয় বাঁচাও আন্দোলন। জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের ব্যানারে দাঁড়িয়েছি বলে রাজনৈতিক বক্তব্য ভাবার কোনো কারণ নেই, পতাকাটা বাঁচানোর প্রশ্ন এসেছে। আমরা জানি র‍্যাব এবং ইউজিসি অভিযোগ তুলেছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে। আসুন সবাই দলমত নির্বিশেষে নিপীড়কের বিরুদ্ধে সোচ্চার হই। 

মানববন্ধন কর্মসূচিতে অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তারের সঞ্চালনায় গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, ২৫ বছর পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের ন্যায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে এবং একই ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ দ্বারা সংগঠিত হয়েছে। এর সাথে সাথে ধর্ষণের সাথে নতুন করে যুক্ত হয়েছে মাদক। অসংখ্য শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঝরে গেছে মাদকের ভয়াল থাবায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে অবৈধ ছাত্ররা অবাধে থেকে চাঁদাবাজি করছে, মাদকের প্রসার ঘটাচ্ছে। উপাচার্য এসব অপকর্ম সম্পর্কে জেনেও যদি না জানার ভান করেন, তাহলে তিনি পদে থাকার অযোগ্য। বিশমাইল এলাকায় ছাত্রদল একটা স্লোগান দিলে তিন মিনিটের মধ্যে ছাত্রলীগের ছেলেপেলেরা দৌড়ানো শুরু করে। অথচ সাত-আটঘণ্টা ধরে একটি গ্রাফিতি আকা হয়েছে, এটা তাদের চোখেই পড়েনি।

প্রশাসন যদি অছাত্রদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতো, তাহলে আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই জঘন্য দিন দেখতে হতো না মন্তব্য করে প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অছাত্রদের হল থেকে বের করার জন্য যে কার্যক্রম চালাচ্ছে তাতে এখন পর্যন্ত কোনো ছাত্রকে হল থেকে বের করতে পেরেছে? এখন পর্যন্ত অছাত্রদের কোনো তালিকা করতে পেরেছে? আমরা দাবি জানাচ্ছি প্রতিটি হলের বৈধ শিক্ষার্থীদের রুম এলোটমেন্টের তালিকা প্রকাশ করা হোক। গতবছর জুন মাসে মীর মোশারফ হোসেন হলের শিক্ষার্থী প্রত্যয় হলের অবৈধ শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করার জন্য অনশনে বসেছিলেন। তখন প্রশাসন তাকে আশ্বাস দিলেও কোনো কাজ হয়নি।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭