এডিটর’স মাইন্ড

শোবিজের তারকারা কেন এমপি হতে চান


প্রকাশ: 12/02/2024


Thumbnail

মাধুরী দীক্ষিত। ভারতে চলচ্চিত্রের মস্ত তারকা। সিমি গারেওয়াল শোতে এসে তার জীবনের অনেক প্রসঙ্গ নিয়ে খোলামেলা কথাবার্তা বলেছেন। সিমি ওই শোতে মাধুরীকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তোমার রাজনীতি করার ইচ্ছা আছে কি না? উত্তরে মাধুরী জানতে চান, রাজনীতি করতে হবে কেন? সিমি বলেছিলেন, মানুষের সেবা করার জন্য বা বড় কোনো মহৎ কাজ করার জন্য। উত্তরে মাধুরী বলেন, ‘মানুষের সেবা কিংবা মহৎ কোনো কাজ রাজনীতি না করেও করা যায়। প্রত্যেকে তার অবস্থান থেকেই দেশের জন্য, মানুষের জন্য কাজ করতে পারেন।’ হিন্দি সিনেমার এ জনপ্রিয় অভিনয় শিল্পী বলেছিলেন, ‘প্রত্যেকের কাজের আলাদা আলাদা ক্ষেত্র আছে। সেই জায়গায় থেকেই কাজ করা উচিত। এতে দেশের মঙ্গল, জনগণের কল্যাণ।’

মাধুরীর এ বক্তব্যটি নতুন করে মনে পড়ল সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী শোবিজের তারকাদের হুমড়ি খাওয়া দেখে। গত ৬ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সংরক্ষিত আসনের জন্য আওয়ামী লীগ মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও জমা দেওয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করেছিল। তিন দিনে আওয়ামী লীগ ১ হাজার ৫৪৯টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে। শুধু ফরম বিক্রি করেই টানা চার মেয়াদে থাকা দলটির আয় প্রায় ৮ কোটি টাকা। মাত্র ৪৮টি আসনের বিপরীতে এত বিপুলসংখ্যক মনোনয়ন লাভে আগ্রহীর সংখ্যা নিঃসন্দেহে বিস্ময়কর। প্রতিটি আসনের জন্য ৩২ জনের বেশি নারী মনোনয়নপ্রত্যাশী। অবশ্য এ রেকর্ডসংখ্যক প্রার্থী হওয়ার ঘটনা আওয়ামী লীগের নতুন নয়। টানা ক্ষমতায় থাকা, প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচন, ইত্যাদি নানা কারণে বিভিন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকিট প্রাপ্তির এক অসুস্থ প্রতিযোগিতা লক্ষ করা যাচ্ছে। এ দেশে এখন যেন সবাই আওয়ামী লীগ। সংরক্ষিত ৪৮টি আসনের জন্যও তাই আগ্রহীদের সংখ্যা বেড়েছে। সংরক্ষিত নারী আসন বণ্টন করা হয় জাতীয় সংসদে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রাপ্ত আসনের ভিত্তিতে। বাংলাদেশে যারা নারী আন্দোলনের নেতৃত্বে, যেসব নারী বিভিন্ন পেশাগত ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন, তারা এই ‘পিঠা ভাগ নীতির’ তীব্র বিরোধী। ৫০টি সংরক্ষিত আসনে সরাসরি ভোটের দাবি দীর্ঘদিনের। কিন্তু দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর অনেক বিষয়ে সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থান থাকলেও, এ বিষয় তারা একমত। ভাগবাটোয়ারার মাধ্যমে যাকে খুশি নারী সংসদ সদস্য বানিয়ে, নারীর ক্ষমতায়নের জায়গাটা নষ্ট হচ্ছে। যারা সংরক্ষিত আসনে নির্বাচিত হন, তাদের মধ্যে হাতেগোনা কয়েকজন মাত্র সংসদে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পেরেছেন। অধিকাংশ নারী সংসদ সদস্যরা এখনো সংসদে ‘অলংকার’ হিসেবেই বিবেচিত হন। যেটি সরকারের নারীর ক্ষমতায়ন নীতির সম্পূর্ণ বিপরীত। তারপরও আওয়ামী লীগ সংরক্ষিত আসনে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বহুমাত্রিক বৈশিষ্ট্য রাখার চেষ্টা করে। ত্যাগী, পরীক্ষিত, মাঠে রাজনীতি করা নারীদের সামনে আনার সুযোগ কাজে লাগায় মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া দলটি। বিভিন্ন ক্ষেত্রে যারা অবদান রেখেছেন তাদের সংসদে আনার উদ্যোগ লক্ষ করা যায়। বিশেষ করে তৃণমূলের নারীদের ক্ষমতায়নের জন্য আওয়ামী লীগ সংরক্ষিত আসনকে ব্যবহার করতে একটা প্রচেষ্টা নেয় সবসময়। এ কারণে গত তিনবারে দেখা গেছে, রাজনীতিবিদদের বাইরেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখা অনেক নারীকে সংসদে আনা হয়েছে। একই মুখ বারবার সংরক্ষিত আসনে জায়গা পায়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ প্রচেষ্টা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। কিন্তু এর মাধ্যমে অনেকে সম্ভবত একটা ভুল বার্তা পেয়েছেন। বিশেষ করে শোবিজের প্রায় অবসরে যাওয়া, কর্মহীন কলাকুশলীরা। তারা মনে করেছেন, সংসদ বোধহয় রাজনীতিবিদদের জায়গা না। এটাকে তারা ক্লাব বা সমিতি মনে করেন। সংসদ সদস্য হওয়া মানে এলিট ক্লাবের সদস্য হওয়া। তাই টেলিভিশন, সিনেমায় অভিনয় করার কারণে তাদের যে পরিচিতি, সেটি ব্যবহার করে তারা সংসদ সদস্য হতে ব্যাপক আগ্রহী হয়ে উঠছেন দিনে দিনে। এবার যে ১ হাজার ৫৪৯ জন মনোনয়ন লাভের জন্য ৫০ হাজার টাকা খরচ করেছেন, তাদের বেশিরভাগই রাজনীতিবিদ। কিন্তু জনপরিচিতির কারণে শোবিজের তারকাদের নিয়ে হৈচৈ হচ্ছে। আমাদের গণমাধ্যম ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলায় ক্ষতবিক্ষত একজন পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদের চেয়ে শোবিজের প্রায় পরিত্যক্ত নায়িকার ফরম তোলার দৃশ্য কাভার করতে বিশেষ মনোযোগী। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াতের তাণ্ডবে হিংস্রতা ও বর্বরতার সাক্ষ্য বহনকারী নারীর মলিন মুখ, টেলিভিশন ক্যামেরায় ধরা পড়ে না। টিভি ক্যামেরা খোঁজে বিয়ের সাজে আসা নায়িকার গ্ল্যামারস হাসি। আওয়ামী লীগের ৪৮টি আসনে মনোনয়নে আগ্রহী শোবিজের তারকার সংখ্যা কম করে হলেও পঞ্চাশ। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ চেহারা দেখেও যদি সব সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন দেয়, তাহলেও অন্তত দুজন নায়িকা বাদ পড়বেন। শোবিজের সবাই যদি সংসদে যান তাহলে আমাদের নাটক সিনেমা কিংবা ওটিটির কী হবে? এমনিতে সিনেমার বারোটা বেজে গেছে। নাটকের মান নিয়েও অনেক প্রশ্ন। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ঘৃণা ও সন্ত্রাসের সংস্কৃতিকে উসকে দিচ্ছে। এখন সংস্কৃতিকর্মীদের অনেক কাজ। সংস্কৃতির মাধ্যমে ধর্ষণ, দুর্নীতি ও সামাজিক অস্থিরতার বিরুদ্ধে জাগরণ সৃষ্টি করার চ্যালেঞ্জ নিতে হবে তাদেরই। কিন্তু এ দায়িত্ব না নিয়ে কেন রাজনীতির মাঠে তাদের পদচারণা? তাদের কজন আদর্শের টানে আওয়ামী লীগে নৌকা ভিড়িয়েছেন তা নিয়ে দেশের জনগণের ঘোরতর সন্দেহ আছে। গত ১০ বছরে শোবিজের নারী-পুরুষ মিলে যে আওয়ামী-বলয় তৈরি করেছেন, তারা কজন ‘অতিথি পাখি’ আর কজন ‘সুবিধাবাদী’ তা সময়ই সব বলে দেবে। দুঃসময়ে তাদের কজন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক থাকে তা দেখার অপেক্ষায় রইলাম। আমার এ সন্দেহের কারণ হলো, এসব তারকা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ফটোসেশন করেই চলে যান তদবিরে। কেউ টেন্ডারের তদবির করেন, কেউ করেন ব্যাংক লোনের, কেউ চলচ্চিত্র নির্মাণের অনুদানের। এসব কথিত তারকার রাজনীতি করার সঙ্গে নগদ প্রাপ্তির লোভ সম্পর্কিত। সন্দেহ হয়, আওয়ামী লীগ টানা ক্ষমতায় আছে, এজন্যই এ তারার মেলা। ক্ষমতা কেন্দ্রে থেকে নানারকম সুযোগ-সুবিধা লাভের হাতিয়ার হিসেবেই তাদের ‘আওয়ামী প্রেম’ কি না, সে প্রশ্ন অনেকের। কারণ পেশাগত জীবনে তাদের বেশিরভাগই কর্মহীন। টুকটাক যা কাজ করেন, তা দিয়ে এরকম বিলাসী জীবন সম্ভব নয়। অভিনয়ের কষ্টের চেয়ে রাজনীতি এখন অনেক সহজ। তাই রাজনীতিই এখন তাদের পেশা।

১৯৮৪ সালে যখন সবে সাংবাদিকতা শুরু করি, তখন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের একটি অনুষ্ঠান কাভার করতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়েছিলাম। সেখানে আলমগীর কুমকুম, কবরী সারোয়ার এবং ফারুক ছাড়া পরিচিত কোনো মুখ দেখিনি। হাতেগোনা কয়েকজন মানুষ এ অনুষ্ঠানে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার দাবি করেন। এরশাদের সেই জমানায় বড় বড় সব তারকার ভিড় থাকত বঙ্গভবনের নানা অনুষ্ঠানে। রাজসভায় শুধু কবি ছিলেন না, গায়ক, নায়িকা, গায়িকা কোনো কিছুরই অভাব ছিল না। এরশাদও খুবই রোমান্টিক ছিলেন। শোবিজের তারকাদের তিনি বিশেষ যত্নআত্তি করতেন। এরশাদের পতনের পর এরশাদ ভক্ত এরকম বেশ কজন গণলাঞ্ছনার শিকার হন। কিন্তু তারা ভোল পাল্টাতে সময় নেননি। দ্রুত তারা জিয়ার সৈনিকে পরিণত হন। ’৯১ থেকে ’৯৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি জমানায় টেলিভিশন আর্কাইভ ঘাঁটলেই দেখা যাবে আমাদের টেলিভিশনে জিয়া ভক্তের কী বাম্পার ফলন হয়েছিল। এভাবেই শোবিজের তারকারা যখন যার তখন তার নীতিতে থেকেছেন। তাই এবার যারা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছেন তাদের অনেকেই কখনো তারেক জিয়া, কখনো গয়েশ্বর রায়ের সঙ্গে ফটোসেশন করেছেন। কিছু দুষ্ট লোক এসব আবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে। কে ‘জাসাস’ আর কে ‘জিসাস’ করেছে, সেসব খবরও এখন প্রকাশ্যে। তারকারা অবশ্য এটাতে বিব্রত নন। কারণ তারা অভিনয়শিল্পী। চারপাশের সঙ্গে খাপ-খাওয়ানো অভিনয় শিল্পের একটি বড় যোগ্যতা। ২০০১ সালে যারা ‘হাওয়া ভবন’ কিংবা ‘খোয়াব ভবনে’ যেতেন, তারা চরিত্রের প্রয়োজনে যেতেন। এখন যারা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন জায়গায় যান সেটাও চিত্রনাট্যের দাবি। তারকা বেচারা কী করবেন। যারা মনোনয়ন ফরম কিনেছেন, তাদের সবাই যে এ কিসিমের তা বলাটা হবে রীতিমতো অন্যায়। তাদের অনেকেই কবরী কিংবা ফারুকের মতো বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী। দুঃসময়ে আওয়ামী লীগের পাশে ছিলেন। দুয়েকজনের কথা লিখতেই হয়। রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। বন্যা আপাকে আমার মনে হয় বঙ্গবন্ধু এবং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ধারণ করা এক পরিপূর্ণ বাঙালি ব্যক্তিত্ব। সারা জীবন রবীন্দ্রসংগীতের মাধ্যমে বাঙালির আত্মপরিচয়কে তুলে ধরেছেন। অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে লালন করেছেন হৃদয় দিয়ে। শমী কায়সার শহীদ শহীদুল্লা কায়সারের কন্যা। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে সারা জীবন আপসহীন। ২০০১ সালের একটি ঘটনা আমি বিভিন্ন সময়ে স্মরণ করি। এখানেও করতে চাই। সেবারই বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো একটি সরকার তার মেয়াদ পূর্ণ করল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান লতিফুর রহমানের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করলেন শেখ হাসিনা। তখনই বিএনপি প্রচার শুরু করল ‘সাবাশ বাংলাদেশ’ শিরোনামে বিএনপি নির্মিত নির্বাচনী তথ্যচিত্র। এটিএন বাংলায় এটি প্রচারের পর হৈচৈ শুরু হলো। আওয়ামী লীগের ঘুম ভাঙল। পাল্টা প্রামাণ্যচিত্র বানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো তাৎক্ষণিকভাবে। বর্তমান অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান শরীফ, বর্তমান হুইপ ইকবালুর রহিম আর নঈম নিজামকে দায়িত্ব দেওয়া হলো ‘সাবাশ বাংলাদেশের’ জবাব দেওয়ার জন্য। কাউকে না পেয়ে তারা এলেন আমার সিদ্ধেশ্বরীর অফিসে। তাৎক্ষণিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা প্রায় অপ্রস্তুত অবস্থায় শুরু করলাম ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ। ‘সাবাশ বাংলাদেশের’ উপস্থাপক ছিলেন অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী। আমি একজন উপস্থাপকের সন্ধানে তারকাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরলাম। উপস্থাপনার দরকার নেই, শুধু মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে কথা বলার জন্য করজোড়ে অনুরোধ জানালাম কতজনকে। সবাই ফিরিয়ে দিলেন শুধু শমী কায়সার ছাড়া। ওই নির্বাচনী প্রামাণ্যচিত্রে উপস্থাপনার জন্য বিএনপি জোট আমলে সব চ্যানেলে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন শমী কায়সার। প্রচণ্ড জনপ্রিয় এ শিল্পীর ক্যারিয়ার ধ্বংস করেছিল বিএনপি-জামায়াত সরকার। কিন্তু শমী সমঝোতা করেননি। আপস করেননি। শহীদের সন্তানরা কখনো বিশ্বাসঘাতকতা করে না। তারানা হালিম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার বিভাগের (আইন) মেধাবী শিক্ষার্থী। তিনি যুবলীগে যোগ দেন ১৯৯৪ সালে, আওয়ামী লীগের কঠিন সময়ে। যখন আওয়ামী লীগের পরিচয় দেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। বঙ্গবন্ধু নিষিদ্ধ। কোনো কিছু প্রাপ্তির প্রত্যাশায় নয়, আদর্শের প্রতি ভালোবাসায় তিনি ওই সিদ্ধান্ত নেন। তাদের মধ্যে অতিচাটুকারিতা দেখা যায় না। তাদের আওয়ামী লীগ প্রমাণের জন্য অতি অভিনয়েরও দরকার হয় না। আওয়ামী লীগে যারা ’৭৫ দেখেছেন, ’৯১ বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত হয়েছেন, ২০০১ সালে সর্বস্ব হারিয়েছেন, ২০০৭ সালে আওয়ামী লীগ সভাপতির পক্ষে লড়াই করেছেন, তারা হঠাৎ বনে যাওয়া আওয়ামী লীগের বাড়াবাড়ি দেখলে ভয় পান। শোবিজের তারকারা কেন এমপি হতে চান? নাটক, চলচ্চিত্রের মাধ্যমেও তো মানুষের জন্য, দেশের জন্য কাজ করা যায়। জনগণের মধ্যে জাগরণ সৃষ্ট করা যায়। সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সংস্কৃতি সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। শোবিজের তারকাদের বহু কিছু করার আছে দেশের জন্য। সেটা না করে তাদের এমপি হতে হবে? জাতীয় সংসদে কি মধু আছে? সংস্কৃতি জগৎ থেকে নিশ্চয়ই সংসদে প্রতিনিধি দরকার। এরই মধ্যে আসাদুজ্জামান নূর এবং ফেরদৌস সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন। নারী সংসদ হিসেবে আরও এক-দুজন আসতেই পারেন। কিন্তু এভাবে এত তারকা কেন নারী কোটায় সংসদ সদস্য হতে আগ্রহী হলেন? কিছু পাওয়ার আশায়, নাকি শোবিজ জগতে তাদের প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে বলে?

 

লেখক: নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭