ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে পথ খুঁজছে বিএনপি


প্রকাশ: 12/02/2024


Thumbnail

এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দলীয়ভাবে না করার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু মাঠের অন্যতম বিরোধী দল বিএনপি এ ব্যাপারে এখনও কোন আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানায়নি। তবে বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে পথ খুঁজছে বিএনপি। এই নির্বাচনে অংশ নেয়া বা না নেয়ার প্রশ্নে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক লাভ-ক্ষতি হিসাব কষছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা। 

বিএনপির কোন কোন মহল মনে করছে যেহেতু উপজেলা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী থাকছে না। তাতে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে সরকারি দলের একতরফা প্রভাব কিছুটা কমতে পারে। সেক্ষেত্রে বিএনপি নির্বাচনে ভালো করার সম্ভাবনা দেখছে।

বিএনপির তৃণমূলের নেতারা বলছেন, এবার আওয়ামী লীগের অনেকে উপজেলায় নির্বাচন করবে। সংসদ নির্বাচনে তাদের মধ্যে (আওয়ামী লীগ ও দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী) যে বিভক্তি হয়েছে, তা শিগগির মিটবে না। নির্বাচনে অংশ নিলে সেখান থেকে বিএনপির জন্য একটা সুবিধা আসতে পারে।

বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা বলছেন, বিএনপি শুধু নির্বাচনমুখী দলই নয়, এ দলের ভিত্তিই হলো জনগণ ও সুষ্ঠু ভোট। কিন্তু জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের পরপরই উপজেলা পরিষদের নির্বাচন দলকে অনেকটা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলেছে। নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে তৃণমূলের যেমন চাপ রয়েছে তেমনি সরকারকে চাপে রাখার কৌশল হিসেবে উপজেলা নির্বাচন বর্জনের কথাও ভাবা হচ্ছে। তবে বিএনপির অধিকাংশ নেতাই মনে করেন কর্মীদের হতাশা দূর করার জন্য এবং দলকে সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী করতে উপজেলা নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। আর সেক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাচন প্রশ্নে নমনীয়তা দেখাতে পারে বিএনপি। অর্থাৎ দলীয় ভাবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিলেও নেতাকর্মীরা নির্বাচনে অংশ নিলে কারও বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে না। এ ব্যাপারে দল নীরবতা অবলম্বন পন্থা গ্রহণ করতে পারে বলে দলের নীতিনির্ধারক মহলে আলোচনা রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর বিএনপি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনের পরেও স্থানীয় সরকারের নির্বাচনগুলোতে প্রথম দিকে অংশ নিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি। এর ধারাবাহিকতায় সব সিটি করপোরেশন নির্বাচনও বর্জন করে। এরপর দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হওয়ায় কুমিল্লায় মনিরুল হক, নারায়ণগঞ্জে তৈমুর আলম খন্দকারসহ অনেককে দলীয় পদপদবি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭