টেক ইনসাইড

ইন্টারনেট সাইবার হামলায় আপনি কি সুরক্ষিত?


প্রকাশ: 13/02/2024


Thumbnail

ইন্টারনেট ব্যবহার করেন না এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। তবে প্রাপ্ত বয়স্ক থেকে শুরু করে সম্প্রতি শিশুরাও এই ইন্টারনেট ব্যবহারে নিয়মিত হচ্ছে। যুগের সাথে সম্পৃক্তে আধুনিকতার ফলে জানা অজানা অনেক মানুষই ইন্টেরনেটে আসক্ত হচ্ছে। কিন্তু এই ইন্টারনেট ব্যবহারে আপনি কি আসলেই সুরক্ষিত?

মূলত সাইবারের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয় এবং প্রয়োজনীয় ও অপ্রয়োজনীয় তথ্য সহজেই শেয়ার করা বা বিতরণ হয়। সাইবার কার্যক্ষমতা সাধারণত কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সংক্রান্ত হয়ে থাকে, যাতে তথ্য সহজেই শেয়ার ও অ্যাক্সেস করা যায়।

সাইবার ব্যবহার হয় মূলত কমিউনিকেশনের বা যোগাযোগের জন্য, যা সুস্থ এবং তাৎক্ষণিক যোগাযোগ সরবরাহ করে জীবন যাত্রা সহজ করে তুলে। কিন্তু কিছু দুষ্ট প্রকৃতির এবং অপরাধ জগতের মানুষ এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তাদের স্বার্থ হাসিল করে। 

এই অপরাধ কম্পিউটার বা ইন্টারনেট মাধ্যমে অনেক ভিন্ন ধরনের কার্যকর হতে পারে। এটি আমাদের দৈনন্দিন ডিজিটাল জীবনের বিভিন্ন দিকে একাধিক ধরনের হামলা, ফিশিং, ম্যালওয়্যার, ডোস হামলা, সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, আইডেন্টিটি চুরি, বৃহত্তর বা কম্পিউটারের সিস্টেমে অনুপ্রবেশ, সাইবার স্থলান্তর, এবং একাধিক অন্যান্য ধরনের হামলা হতে পারে।

ফিশিং করে মিথ্যা ওয়েবসাইট, ইমেইল বা অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের আকর্ষণ করে পাসওয়ার্ড, ব্যক্তিগত তথ্য, সংরক্ষণ করে তা ভুক্তভোগীকে প্রদান করে। অনেক সময় একজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী অজানা ভাবে কম্পিউটারে ক্ষুদ্র প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার ইনস্টল করে আর তাতেই চুরি হয়ে যেতে পারে মূল্যবান সব তথ্য। ব্যক্তির নামে কোন অবৈধ কাজ বা ক্রাইম করার জন্য তার সাথে ভিন্ন উপাধি বা তথ্য ব্যবহার করা হয়। শুধু তাই নয়, সাইবার অপরাধীরা সামাজিক কৌশলের ব্যবহারের মাধ্যমে ও ব্যক্তির ভালবাসা, আত্মবিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয় যাকে সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বলা হয়।

সাইবার সুরক্ষা এমন কার্যক্ষমতা যা ইন্টারনেট এবং ডিজিটাল উপাদানের সুরক্ষা করে এবং যে সাইবার অপরাধ করে থাকে কোন প্রমাণ, বা দৃশ্যমান দেখায়না। সাইবার দিয়ে অপরাধ করাকে সাধারণত সাইবার বুলিং বলা হয়। যাতে শিকার হয় বর্তমান জেনারেশনের স্মার্ট বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস অসচেতন ব্যবহারকারীরা। 

বাংলাদেশে সাইবার অপরাধ নিধনের জন্য কিছু উপায় এবং উদ্যোগ সম্পন্ন হচ্ছে এবং ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানগুলি সাইবার সিকিউরিটি ক্যাপাসিটি তৈরি করতে চেষ্টা করছে, যাতে ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান নিজেদের তথ্য রক্ষা করতে পারে।

জনগণের নিরাপত্তা এবং সিকিউরিটি কথা বিবেচনা করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুরু থেকেই বিষয়টি আমলে নিয়ে সাইবার বুলিং বা সাইবার অপরাধ দমনের জন্য ‘সিটি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন চালু করার নির্দেশ দেন। বাংলাদেশ পুলিশ কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম এর অধীনে এটি পরিচালিত করছে।

এর আগে এর নাম করণ ছিলো সাইবার সিকিউরিটি এন্ড ক্রাইম বিভাগ। আর এতে করে বাংলাদেশ পুলিশ এবং অন্যান্য কর্মকর্তা সাইবার অপরাধের নিরসনের তাদের প্রতিরোধ ক্যাপাবিলিটি উন্নত করছে, যাতে অপরাধীদের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী লড়াইতে যাত্রার অবসান করা যায়। সরকার আইন এবং নীতি তৈরি করেছে যাতে সাইবার ইনসিডেন্ট রিসপন্স ক্যাপাবিলিটি তৈরি করে এই অপরাধের শাস্তি দেওয়া যায় এবং অপরাধীদের প্রতি একটি প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি হতে করতে পারে।

১৯৯৩ সালে বাংলাদেশে প্রথম ইন্টারনেটের ব্যবহার শুরু হওয়ায় মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার যাত্রা শুরু করে। ২০২৩ সাল পর্যন্ত ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়ছে ১০ কোটিরও বেশি। ইন্টারনেট এবং সাইবারের কার্যক্ষমতা আমাদের ডিজিটাল জীবনে সহায়ক হতে সাহায্য করে। 

আধুনিক টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক, যেমন ইন্টারনেট চ্যাট রুম, ইমেইল, নোটিশ বোর্ড ও গ্রুপ এবং মোবাইল ফোন ব্যবহার করে, অপরাধমূলক অভিপ্রায়ে কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে সম্মানহানি, কিংবা সরাসরি বা পরোক্ষভাবে শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি, বা ক্ষতির কারণ হওয়া।

এ ধরনের অপরাধ একটি জাতির নিরাপত্তা ও আর্থিক স্বাস্থ্য হুমকি হতে পারে। এই ধরনের অপরাধের ধরনগুলির মাধ্যমে অপরাধীরা ব্যক্তিগত এবং আধিকারিক তথ্যের ব্যবহারের মাধ্যমে লাভ করতে চেষ্টা করতে পারে। সাইবার সুরক্ষা বজায় রাখার জন্য অভিজ্ঞতা, সচেতনতা, এবং সুরক্ষার উপায়গুলি রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭