ইনসাইড থট

‘সুবিধা নিশ্চিতে আমলা লীগের খুবই প্রয়োজন’


প্রকাশ: 14/02/2024


Thumbnail

আমার মনে হয়, বাংলাদেশের আমলাতন্ত্র দিন দিন যেভাবে শক্তিশালী হচ্ছে। এখনো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বদান্যতায় কমিউনিটি ক্লিনিক, বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ ইন্সটিটিউট, বঙ্গবন্ধু শেখ ফজিলাতুন্নেছা মলিকুলার ল্যাব থেকে শুরু করে আরও দুই একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে আমি যুক্ত। আমলাতন্ত্র কতটা শক্তিশালী সেটা আমি অন্যের চেয়ে তাদের ক্ষমতা সম্বন্ধে আমি ওয়াকিবহাল। সুতরাং, আমি মনে করি এই বিষয়ে অন্তত সব কিছু লেখা না গেলেও যেটুকু লেখা যায় সেটুকু দায়িত্ব। না হলে আমি জীবনের শেষ প্রান্তে এসে নিজেকে অপরাধী হিসেবে মনে করেই হয়তো বিদায় নেব।

সুতরাং, আমি আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসেবে আমলা পরিচয় দিয়ে যে সমস্ত ক্ষমতা খাটান সেই জন্য আওয়ামী লীগের অনেকগুলো সহযোগী সংগঠন আছে। যেমন মনে করা হয় আওয়ামী লীগের পরই রয়েছে যুবলীগ। যদি যুবলীগ একটি নমিনেশন (মনোনয়ন) পায়, আমলারা যারা রিটায়ার্ড (অবসর) করেছেন এবং যোগ্য তারা দুইজন কিংবা তিনজন নমিনেশন পায়। সুতরাং, তারা কিন্তু যুবলীগের চেয়েও শক্তিশালী। সেই কারণে আমি মনে করি, আমলারা আওয়ামী লীগের একটি সহযোগী সংগঠন হওয়ার দাবি রাখে। এর কারণেই আমি আমলা লীগ করতে যেন সুবিধা হয় তার কিছু খসড়া দিতে চাই। এর ফলে তাদের জন্য আমলা লীগ করা সহজ হবে। আর আমরা যারা তাদের সাথে বিভিন্নভাবে কাজ করি, তাদের জন্য এমনকি জনগণের জন্যও কাজ করা সুবিধা হবে। কারণ, তারা সরাসরি জানবেন এবং যদি কোন অসুবিধা থাকে তাহলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে অন্তত বলতে পারবেন। যেহেতু এটি আওয়ামী লীগের একটি অঙ্গসংগঠন, সেই কারণে আমার ধারণা, তারা বাধ্য হয়ে অন্ততপক্ষ্যে ওবায়দুল কাদেরের কথা শুনবেন।

প্রথমত, এর নামকরণ যদি বলা হয়, তারা যেহেতু সরকারি চাকরি করেন তাই আওয়ামী শব্দটি ব্যবহার করা ঠিক হবে না। এটা করলেই লোকে বুঝবে তাদের নাম দেওয়া হবে আমলা লীগ। আমলা লীগ বললেই সবাই বুঝবে কারণ, লীগ শব্দটিই সব লোকে বুঝে। এই আমলা লীগের প্রধান কে হবেন? প্রধান হবে তিনি যিনি চাটুকারিতায় সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছেন। এই পোষ্ট দেখিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন নাই। কারণ, এখনো কানাঘুষা শোনা যায় যে, আমলাদের বদলীতে পেঁয়াজের যেমন সিন্ডিকেট আছে, লবনের যেমন সিন্ডিকেট আছে তেমন আমলাদেরও সিন্ডিকেট আছে। ওই সিন্ডিকেটের সন্ধান যদি ঠিক মতো পাওয়া যায় তাহলে তরতর করে উপরে উঠতে দেরি হয় না। এমনকি তিনি আগেই ঠিক করে ফেলতে পারেন চাকরিতে যখন তিনি রিটায়ার্ডে যাবেন তখন তিনি কোন পোষ্টে যাবেন। সেটার একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নেওয়া প্রয়োজন। সেই কারণে এই যোগ্যতা উপরের পদধারীদের হওয়া উচিত। কারণ, না হলে যেখান থেকে এ কাজ করা দরকার হবে সেটা করতে পারবেন না।

একটা উদাহরণ দেওয়া যায়, ২০১৮ সালে কমিউনিটি ক্লিনিক ট্রাস্ট আইন পার্লামেন্ট পাস হয়। আজ ২০২৪ সাল। এখন পর্যন্ত আমাকেই ট্রাস্টের সভাপতি করা হয়েছে, আইন পাস করার আগেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মৌখিকভাবে বলে দিয়েছেন, আপনি ট্রাস্টের সভাপতি হবেন। সেদিন থেকেই আমরা সঠিকভাবে কাজ করে চলেছি। তার বড় প্রমাণ হচ্ছে, আমি আমার কৃতিত্ব দেখাতে চাই না তবুও বলতে হয়, অন্তত আমার নেতৃত্বে আমার কর্মীবাহিনী ‘দি শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ ইউনাইটেড’র সূচনা করাতে পেরেছে। তার কারণ প্রধানত তিনটি। এর মধ্যে প্রধানতম হলো, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা একটি দর্শন আমাদের দিয়েছিলেন যে, কমিউনিটি ক্লিনিক জনগণের সাথে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে কিভাবে চলবে সেই দর্শনটি এবং ম্যানেজমেন্ট যাতে জিরো হয় এজন তিনি একটি গ্রুপ করে দিয়েছিলেন যাতে রুগীরা আসে এবং কমিউনিটি সাপোর্টের কারণে যেন খরচও বেশি না হয়। আমরা কমিউনিটি ও সাপোর্টকারী গ্রুপ হিসেবে একজনকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম। তিনি নেত্রীর কর্মী কিন্তু ভলান্টারিলি সঠিকভাবেই কাজ করেছেন। এটি হলো একটি দিক।

আরেকটি দিক হচ্ছে, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার মাইক্রো লেভেলেও সোর্স আছে, তিনি খোঁজও নিয়ে দেখেছেন যে, এটি কিভাবে চলে। আর তৃতীয় কারণ হলো, আমরা তার কর্মী হিসেবে দেওয়া দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের চেষ্টা করেছি এটা জোর গলায় বলতে পারি। কেউ স্বীকার করুক আর না করুক।

আমলা নিয়ে কিছু বলতেই হয়। আমি আগেই বলেছি ২০১৮ সালে এবং এখনও পর্যন্ত ট্রাস্ট্রের কাছে কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্ব আসেনি। আমি অনেক চেষ্টা করেছি, জুতোর তলা ক্ষয় করেছি। বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছেন ফাইল ছুড়ে মেরেছে। আর, আমার জুতোর তলা ক্ষয় হয়েছে কিন্তু কোন লাভ হয়নি। এখনো পর্যন্ত সেভাবেই আছে। এইবার আমার ছোট ভাই জাহাঙ্গীর সচীব হওয়ার পর এটা একটু গতি পাচ্ছে। তাতে আমি আশাবাদী এবং দ্বিতীয়বারে কমিউনিটি ক্লিনিক ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি। আমি নিশ্চিত না যে, আমার এই টার্ম শেষ করার পর কবরে যাব কি না জানি না। কমিউনিটি ক্লিনিকের কাজ যে সম্পন্ন হবে তাও আমি নিশ্চিত না।

একজন ক্ষমতাবান আমলা, তিনি চাইলেন তারা বাড়ির কাছে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক করবেন। আমি তখন কমিউনিটি ক্লিনিক ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান। তিনি আমাকে সামান্য ‘বদার’ও করলে না। মনে হলো, তারা অধীনে আমি যেন পিওন। শেষ পর্যন্ত তিনি ফাউন্ডেশন দিয়ে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক করতে গেলেন। অবশ্য তার দুর্ভাগ, ওই জায়গায় একজন এমপি ছিলেন পুলিশের প্রাক্তন এক কর্মকর্তা। তিনি তাকে পাননি, পুলিশরা তাকে রক্ষা করে এসেছে। কিন্তু, তার সাঙ্গপাঙ্গদের পুকুরে ডুবানো হয়েছে। তারপর সেটা খোলার জন্য আমাকে অনুরোধ করলেন। তখন উপর্যপুরি আমি কেন যাবো? আর এটা হলো সিভিল আমলাদের কথা।

সকালের বুঝার সুবিধার জন্য আরেকটা উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। আর্ম ফোর্সের খুব শক্তিশালী এমনি একদম টপ লেভেলেও বলা চলে। তারা যখন আইন মেনে তাদের বাড়ির কাছে আমায় একটা কমিউনিটি ক্লিনিক করতে বলেন, তখন এমনভাবে এপ্রোচ করেন যেন, প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকের কাছে ছাত্ররা যেরকম সম্মান নিয়ে কথা বলেন তার চেয়ে সামান্য কম না। তাদের কথা শেষ হলে আমার চোখেও পানি আসে। উনি যে পজিশনে আছেন সেখান থেকে আমাকে এতো গুরুত্ব দিয়ে বলার কিছু নাই। আর, আমি এতো ক্ষমতাশালীও কেউ না। এবং তাদের একজনের জন্য গত একবছর চেষ্ঠা করে অনেকটা কাছাকাছি গুছিয়ে এনেছি। কারণ, আমলাদের সঙ্গে বেশিরভাগ কাজ করতে হয়। আমি তো আর গিয়ে গিয়ে তাদের বলতে পারিনি। গতকাল একজনকে বলেছি যে, তার কাজটা করতে কেন দেরি হচ্ছে। এটাতো মোটামুটি একবছর, তবে আরও কতদিন লাগবে তা জানা নেই। সাবেক আর্ম ফোর্সেস, নেভাল চিফ থেকে শুরু করে আরও অনেকেই ক্ষমতা দেখানো তো দূরের কথা, তারা অনেক সম্মান দিয়ে বলেন। কিন্তু, দুঃখজনক হলো, আমার যে করার ক্ষমতা নাই সেটা বলতেও লজ্জা বোধ হয়। আর আমি তো প্রধানমন্ত্রীর কাছে নালিশ পার্টির সদস্য হতে চাই না যে, বারবার যাবো আর তার কাছে নালিশ করবো। কারণ, উনি নানা কাজে ব্যস্ত থাকেন এবং বলার সময় ভাবেন যে হয়ে যাবে।

এটা প্রধানমন্ত্রীর একটি জনগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প তা সকলেই জানে। এখানে এমডি আছেন কমিউনিটি ক্লিনিক ট্রাস্টি লেভেলের। দুইজন চলে গিয়েছে, তৃতীয় ব্যক্তি আসবেন। প্রথম ব্যক্তির চতুর্থজন যিনি তাকে পোস্টিং করা হলো কিন্তু প্রথম তিনজনের বদলিও ক্যান্সেল (বাতিল) করিয়ে নিল। তারা এতো ক্ষমতাধর। দ্বিতীয়বারেও একই ঘটনা ঘটলো। আর তৃতীয়বারে অবস্থা উন্নতি হলেও গত তিন মাসে কোন এমডি পাই না। এবং, এমডি ছাড়া অনেকগুলোর কাজের কাগজপত্র এমনকি চেকও সাক্ষর করা যায় না।

এই কমিউনিটি ক্লিনিক চালানো আরেকটা উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। তখন, কায়কাউস ছিলেন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি। আমার অনুজপ্রতীয়, খুব জাঁদরেল অফিসার এবং বুদ্ধিবৃত্তিক মানুষ। আমরা টেবিল টক শুরু করলাম কমিউনিটি ক্লিনিক এবং নেত্রী কি কাজ করছেন সে জন্য এবং এটা সমস্ত দেশে সারা পড়লো। বিশেষ করে, আমার কাছে কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য সারা দেশ থেকে চিঠি আসা শুরু হলো। তাদের দাবি এটা চালাতে হবে। কিন্তু, আমার কাছে তো টাকা নাই। কমিউনিটি ক্লিনিক ট্রাস্টে দেখা গেল কিছু টাকা আছে, কিন্তু সেটা অন্যভাবে। কায়কাউস বললো যে, স্যার এটা তো বড় সমস্যা না। এটা চাইলেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পরিবর্তন করে কাজে লাগানো যাবে। যেহেতু এর ডিমান্ড আছে তাই তাকে আমি বললাম, এটা করেন। আমি আর সে থাকতে এটা করা হলো। কিন্তু, তার চলে যাওয়ার ঠিক আগের কিছুদিন টেবিল টক করলাম। তাতে আর্ন মানি ৩০ লাখ টাকাও ওপরে আমাদের কাছে পাওয়া হলো। সেই টাকা নাই। ট্রাস্ট সেই টাকা দিতে আমাদের অপারগতা জানালো। আমি বোর্ডের চেয়ারম্যান। একদিন নেত্রী বললেন যে, আপনি বোর্ডের সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করবেন। বোর্ডের সিদ্ধান্ত নিয়ে যখন কাগজপত্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাই তখন তো এর দাম থাকে না বোর্ডের। অথচ, ওই বোর্ডে মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে অনেকেই আসেন।

থিওরেটিকালি লেখা, সচিব অথবা সিনিয়র সচিব আমি তাদের চেয়ারম্যান, সেই হিসেবে এমনিতেই আমার পর্যায় ওপরে। তারা দাম দেবে কেন, কারণ, আমি যখন এয়ারপোর্টে যাই আমি তো ভিআইপি পাস পাই না। আমাকে সাধারণভাবে যেতে হয়। আর আমার অধীনে যারা তারা যায় ভিআইপি দিয়ে। এটা আমি অনেকবার উচ্চারণ করেছি এবং উচ্চ পর্যায়ে জানিয়েছি। কোন লাভ হয়নি।

গত ১৬ ডিসেম্বর। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। প্রাক্তন উপদেষ্টা হিসেবে তিন বছর দাওয়াত পেয়েছি। এরপর আর কোন দাওয়াত পাই না। এবং অনেকবার জানিয়েছি কোন লাভ হয় না। অর্থাৎ, তারা দেখে চেয়ারম্যানই যেনতেন, আমাদের কি আসে যায়। অথচ, আজ যদি এখানে আওয়ামী লীগ থাকতো এবং আমি একটা চিঠি লিখতাম যে, আমার এই অসুবিধা হচ্ছে, আমার বিশ্বাস তারা সরাসরি কাজটি করে দিতেন। আমি যদি আমলা লীগকে লিখতাম যে আমার এই কাজটা হচ্ছে না তাহলেই কেবল কাজটা হতো। আমলা লীগ থাকলে কতো সুবিধা হতো এই কাজে।

তারপর, কায়কাউসের কথা যদি বলি ৩০ লাখ টাকার বেশি আমার খুবই আপন বড় ভাই মনে করেন আমি যেহেতু বেতন ভাতা পাই না কোনমতে চলি। সে সময় তিনি আমায় কিছু টাকা দিয়েছিলেন। সেই টাকা থেকে আমি ৩০ লাখ টাকার ওপরে টাকা দিয়ে তাদের সঙ্গে আমি দায়দেনা মিটিয়েছি। কিন্তু, ট্রাস্ট থেকে পাইনি, সরকার থেকে পাইনি। এই ইতিহাস কাদের বলবো? এই জন্যই আমার দরকার আমলা লীগ। শুধু আমার উদাহরণ বলে কথা নয়, এরকম যারা উপরের দিকে উঠতে চায়, কিংবা পদন্নোতি চায় তাদেরও উপরের দিকে উঠতে একটা প্রপার চ্যানেল হবে। এতে আমলারা যেমন আরও সুসংগঠিত হবে এবং যেহেতু তারা এমনিতেই শক্তিশালী তাই তাদের একটা প্লাটফর্ম থাকা উচিত। তাহলে আওয়ামী লীগের পরই হবে আমলা লীগ। তারপর স্বেচ্ছাসেবক লীগ। এই ভাবে হলে দেশে বিদেশে শাখা থাকবে এবং তাতে সকলেরই সুবিধা হবে। তাই, আমি কায়মনোবাক্যে দোয়া করি এবং আশা করি তারা বিভিন্ন সংসঠন দেখে এরকম একটা উদ্যোগ গ্রহণ করবে। কারণ, আমলা লীগের খুবই প্রয়োজন। কারণ, এটা না হলে দেশ পরিচালনায় এখন যে ভাব এসেছে তাতে মনে হয় আমলা লীগ থাকলে অসুবিধার জায়গায় সুবিধাটাই বেশি হবে। সুতরাং, অতি তাড়াতাড়িই একটি আমলা লীগ গঠিত হবে বলেই আমি কায়মনোবাক্যে আশা করি।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭