ইনসাইড হেলথ

ঋতু পরিবর্তনের সময় রোগব্যাধি : কী করবেন?


প্রকাশ: 17/02/2024


Thumbnail

তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রোগজীবাণুও সক্রিয় হয়ে ওঠে। সব মিলিয়ে আবহাওয়া পরিবর্তন হওয়ায় এই সময় বিভিন্ন অসুখের আশঙ্কা বাড়ে। শীত থেকে গরম পড়ার সময় ভাইরাস সক্রিয় হয়ে ওঠে।

এই মরশুমের মতো শহর থেকে পাততাড়ি গোটাচ্ছে শীত। শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। শীত না থাকলেও শীতের আমেজ বজায় আছে। এ সময় বাড়ে রোগব্যাধির শঙ্কা। শীতের সময়ে মানুষ ঠান্ডা পরিবেশে অভ্যস্ত হয়ে যায়। শীতের শেষে যখন তাপমাত্রা আস্তে আস্তে বাড়তে শুরু করে তখন অনেকেরই শরীর তাপমাত্রার এই বৈষম্য নিতে পারে না।

শিশু ও প্রবীনদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হওয়ায় তারা সহজে এই ঋতু বদলের আবহাওয়ার সঙ্গে নিজেদের খাপ খাওয়াতে পারে না। তা ছাড়া, তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রোগজীবাণুও সক্রিয় হয়ে ওঠে। সব মিলিয়ে আবহাওয়া পরিবর্তন হওয়ায় এই সময় বিভিন্ন অসুখের আশঙ্কা বাড়ে। এই সময় আচমকা ঠান্ডা লেগে কাশি, বুকে ব্যথা হতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে ডায়ারিয়ার প্রকোপ বাড়তে পারে। চিকেন পক্স ও বাচ্চাদের ক্ষেত্রে হামের প্রবণতাও বাড়ে। প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় এই খাবারগুলি রাখলে সুস্থ থাকবেন।

খাওয়া-দাওয়া পরিবর্তন করুন প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে

আপনি যদি খাবারে স্বাস্থ্যকর জিনিস খান তবে আপনার দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ খাবর রাখলে শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি কম হয়। যদি আপনি মনে করেন যে, আপনার ডায়েট আপনাকে সঠিক পুষ্টি দিচ্ছে না, তবে আপনি খাওয়ার পরে কিছু মাল্টিভিটামিন বড়ি নিতে পারেন।

তরল জিনিস পান করুন

আপনার শরীর যদি জলশূন্য হয়, তবে আপনি রোগ থেকে আরাম পেতে পারেন। এজন্য এই রোগগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আপনি প্রচুর পরিমাণে জল পান করা গুরুত্বপূর্ণ। তাই বিশেষজ্ঞরা পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা নির্দেশ দিয়ে থাকেন। তাঁদের মতে, একজন স্বাস্থ্যকর প্রাপ্তবয়স্ককে প্রতিদিন গড়ে ৭৮-১০০ আউন্স (প্রায় ৯ - ১৩ কাপ) তরল পান করা উচিত। ফলের রস, ডাবের জল, পানীয় জল বেশি করে পান করুন। শীত থেকে গরম পড়ার সময় ভাইরাস সক্রিয় হয়ে ওঠে। মূলত পরিষ্কার পাত্রে না খাওয়া, নোংরা জল ব্যবহারের জন্য ডায়রিয়া হয়। নুন ও চিনি মেশানো জল বা ওআরএস বার বার খাওয়ানো জরুরি।

পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন

এই সময় পর্যাপ্ত পরিমানে বিশ্রাম নিন। পুরো না ঘুমালে নিলে শরীরে রোগের ঝুঁকি বাড়তে পায়। যদি আপনার শরীর পর্যাপ্ত ঘুম না পায় বা বিশ্রাম না পায় তবে আপনার শরীর ক্লান্ত বোধ করে। এবং আপনার শরীর রোগের ঝুঁকিতে পড়তে শুরু করে। এই সময় যাদের বাত বা আর্থ্রারাইটিস আছে তাঁদের শীতের শুরু থেকেই ব্যথা বাড়তে শুরু করে। স্পন্ডিলাইটিসের দরুন বাড়তে পারে ঘাড়ের যন্ত্রণাও। হাঁটুর ব্যথা প্রতিরোধে দিনে দু’বার করে কোয়ার্ডিশেপস এক্সারসাইজ করতে হবে।

ফিট থাকতে শরীর চর্চা করুন

প্রতিদিন ৩০ মিনিটের হাঁটা বা ওয়ার্কআউট শরীরকে কেবল সক্রিয় রাখে না, তার প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। এই সময় ঠান্ডা লাগা, সর্দি কাশি-সহ অন্যান্য সমস্যা দেখা যায়। নিয়মিত শরীর চর্চার ফলে হৃদরোগ, অস্টিওপোরোসিস এবং ক্যানসারের ঝুঁকিও হ্রাস করে। চোখ-নাক দিয়ে জল পড়া, কাশি, ঝিমুনি ভাব দেখা যায়। অনেকেই ঠান্ডা লাগলে প্রথমে কিছু না ভেবে অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে ফেলেন। তা না করে সবসময় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়া উচিত।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭